a
ফাইল ছবি
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট রিওভেন রিভলিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন মন্ত্রীসভা।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে ইসরায়েলি আইনপরিষদ নেসেটের অধিবেশনের আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য লাপিদ-বেনেতের জোট সরকারের প্রতি সমর্থন দেয়। এর ফলে দেশটির দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান ঘটে। ২০০৯ থেকে টানা ১২ বছরসহ মোট ১৫ বছর তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আস্থাভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই জোট সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা নেসেটে তাৎক্ষণিকভাবে শপথ নেন। আগের সমঝোতা অনুযায়ী চার বছর মেয়াদের সরকারের প্রথম দফায় দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন নাফতালি বেনেত। ২০২৩ সালে শেষ দুই বছরের জন্য ইসরায়েলের নেতৃত্বের দায়িত্ব বেনেতের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন ইয়ায়ির লাপিদ।
এদিকে আজ সোমবার কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বেনেতের কাছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রবিবার রাতেই এ বিষয়ে নাফতালি বেনেতকে বার্তা দেওয়ার কথা জানায় নেতানিয়াহুর দপ্তর।
ইয়ায়ির লাপিদের ইয়েশ আতিদ ও নাফতালি বেনেতের ইয়ামিনা দল ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজের মধ্যপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট, অ্যাভিগদর লিবারমানের রক্ষণশীল ইসরায়েল বেইতেইনু, মিরেভ মিশেইলির নেতৃত্বের মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি, গিদন সারের নেতৃত্বের মধ্য-ডানপন্থী নিউ হোপ পার্টি, নিৎজান হরোউৎজের বামপন্থী মেরেৎজ ও মানসুর আব্বাসের নেতৃত্বের আরব-ইসরায়েলিদের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড আরব লিস্ট এই জোটে রয়েছে।
ফাইল ছবি
আজ শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। শনিবার দুপুরে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার নির্বাচন বয়কট করতে পারেন। অর্থনৈতিক সংকট এবং কট্টোর শাসনের কারণে ক্রমবর্ধমান হতাশা থেকে তারা এ নির্বাচন বয়কট করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন সাত জন। তিন জন সরে দাঁড়ানোয় এখন প্রার্থী রয়েছেন চারজন।
মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত হাসান রুহানি বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারে কট্টরপন্থীদের ভোট দিতে বিরত থাকতে বলেছেন।
ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব রিজভী। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে তার নিজ বাসভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলটি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তাকে কোথায় তুলে নিয়ে গেছে তার হদিস এখনো জানানো হয়নি। এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর চরম আক্রমণ। সরকার দেশ-বিদেশে সর্বদিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। সাজানো পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মজনুকে আটকের সরকারের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। দেশকে দেউলিয়া করে এখন মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের পতনের সম্ভাবনা দেখে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই দেশব্যাপী শুরু করেছে গায়েবি মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক। আমি রফিকুল আলম মজনুর গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং গোয়েন্দা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি রফিকুল আলম মজনুকে কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিস দিয়ে তাকে তার পরিবারে কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ সূত্র: যুগান্তর