a
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী আবারও সৌদি আরবের দক্ষিণের 'কিং খালিদ' বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা করেছে। আজ রবিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার কথা নিশ্চিত করেন।
সৌদির খামিস মুশাইত এলাকায় অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে কে-টু ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা করা হয়।
সৌদির গণমাধ্যম দাবি করছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেনি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর আগে, গত কয়েক সপ্তাহে কিং খালিদ বিমানঘাঁটিতে এ নিয়ে কয়েক দফা হামলা চালায় ইয়েমেনি বাহিনী। কয়েক দিন আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আরামকো তেল স্থাপনায় ছয়টি ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালায় ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ইয়েমেনের জনপ্রিয় সংগঠন হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত ইয়েমেনি সেনারা সৌদি আরবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ও তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। হুদিতের দাবি- সৌদি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।
ফাইল ছবি
ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকদিনের তুমুল লড়াইয়ে ১৪০ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলতি সপ্তাহে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মারিব শহর এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে শুক্রবার ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী এবং স্বাস্থ্য দফতরের বরাতে ডন এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, গত চারদিনের সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর অনুগত প্রায় ৪৭ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। উভয়পক্ষের যুদ্ধে ইরান সমর্থিত ৯৩ জন হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়, সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল মারিবের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি বাহিনী ও হুতি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে আসছে। যদিও হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ তাদের সদস্য হতাহতের বিষয়টি
এখনো নিশ্চিত করেনি।
ইরানি মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর দেশটির সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বি মানসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে আব্দে রাব্বি মানসুর দেশ ছেড়ে পালিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলে যান।
এরপর ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি সামরিক জোট। প্রতিশোধ নিতে কিছুদিন পর সৌদি শহরগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইরানের মিত্র হুতি বিদ্রোহীরা।
ফাইল ছবি
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজসংক্রান্ত ফেসবুক পেজ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি দেশের সাংবাদিকদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বিধিমালা কেন করা হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ সেপ্টেম্বর এই রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, স্বরাস্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রাফিকা খাতুন। রাস্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজসংক্রান্ত ফেসবুক পেজ বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মোহাম্মদ জয়নুল ইসলাম গত মাসে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। সূত্র: সমকাল