a এরদোগান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করছেন মুসলিম দেশগুলোকে
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

এরদোগান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করছেন মুসলিম দেশগুলোকে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১, ১১:০৮
এরদোগান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করছেন মুসলিম দেশগুলোকে

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান । ফাইল ছবি


 
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় টানা কয়েকদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার তিনি আফগান ও কিরগিজ প্রেসিডেন্টর সঙ্গে ফিলিস্তিনে সম্প্রতি ইসরাইলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে আলাপ আলোচনা করেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইয়েনি শাফাক। 

কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সদর জাপারোভের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, এরদোগান আশা করছেন আল-আকসা মসজিদ, গাজা ও ফিলিস্তিনিদের হামলাকারী ইসরাইলকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তার সঙ্গে তুরস্কের পাশে কিরগিজস্তানকে থাকতে অনুরোধ করা হয়।

এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি হামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানের যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে তুরস্ক পাশে রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন এরদোগান। 

এর আগে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও আলোচনা করেন এরদোগান। গত বুধবার আলেজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এরদোগান। তিনি এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। 

ইসরাইলের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গত ৯ মে পবিত্র শবে কদরের নামাজ শেষে আল-আকসা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। এরপর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর নিশংস হামলায় এখন পর্যন্ত ৮৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন।   

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশংকা করছে জাতিসংঘ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২, ১২:৪৯
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশংকা করছে জাতিসংঘ

ফাইল ছবি: আন্তোনিও গুতেরেস

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সামনের মাসগুলোতে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে আশংকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। তিনি আশংকা করছেন, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে রফতানি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে।

রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এসব বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমুখী তেল, গম ও ভুট্টা রফতানি হতো। এগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় এখন বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাপক কমেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

জাতিসংঘের হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যপণ্যের দাম ইতোমধ্যেই সারাবিশ্বে অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে। নিউইয়র্কে গতকাল বুধবার মিস্টার গুতেরেস বলেন, খাদ্য সংকটের কারণে কোটি কোটি মানুষ অপুষ্টি, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে। সবাই এক সাথে কাজ করলে এ মূহুর্তে বিশ্বে যথেষ্ট খাদ্য আছে। কিন্তু যদি এ সংকটের সুরাহা না হয়, তাহলে সামনের মাসগুলোতে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকারে দেখা দিতে পারে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা ছাড়া খাদ্য সংকটের কার্যকর কোনো সমাধান নেই। একই ভাবে বৈশ্বিক বাজারে রাশিয়া ও বেলারুশের সারেরও বিকল্প নেই।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তার যোগাযোগ আছে যাতে করে খাদ্য রফতানি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। তিনি এমন সময় এমন মন্তব্য করলেন যখন বিশ্ব ব্যাংক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের যত গম উৎপন্ন করে তার ৩০ ভাগ উৎপাদন করে থাকে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন ৪৫ মিলিয়ন টন খাদ্য শস্য প্রতি মাসে রপ্তানি করতো। কিন্তু রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সব রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের হিসেবে ২০ মিলিয়ন টন ভুট্টা এখনো সেখানে আটকা পড়ে আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

এ যেন এক অন্য সদরঘাট


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১, ০৭:০০
এ যেন এক অন্য সদরঘাট

ছবি: এম.এস.প্রতিদিন

সদরঘাটের সাথে পরিচিত নন এমন লোক বাংলাদেশে হয়ত খুজেই পাওয়া যাবে না। সদরঘাট হলো দক্ষিণবঙ্গগামী সকল মানুষের জন্য নদীপথে ঢাকা ত্যাগের প্রধান ফটক। ২২টি জেলার মানুষের কাছে প্রধান চলাচল মাধ্যম সদরঘাট। পূর্বে সদরঘাটের নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসতো এদিক সেদিক ময়লার ভাগাড় কিন্তু বর্তমান সদরঘাটের চিত্র দেখে অনেকেই বিশ্বাস কর‍তে পারবে না তারা কোথায় চলে এসেছে।

বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিআইর সাবেক যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে দখলদারদের থেকে সদরঘাটের বিভিন্ন যায়গা উদ্ধার করে গ্রিন সদরঘাট করা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন তার সেই পদক্ষেপ আজ মানুষের সামনে দৃশ্যমান। 

বর্তমানে দেশের এই নদী বন্দরকে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩২টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেকোনো সময় যাত্রী সেবা দিতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। দখলি স্থান উদ্ধার করে সেখানে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ, ঝাউ গাছ, বট গাছ, কৃষ্ণচূড়া গাছ উল্লেখযোগ্যভাবে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে। একেবারে লালকুঠি ঘাট থেকে পশ্চিমের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার পাশে ড্রামের ভিতর লাগানো হয়েছে ঝাউ গাছ এছাড়া লালকুঠি ঘাট থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত ইট দিয়ে গোলা করে মাটি উচু করে বট গাছ লাগানো হয়েছে। যা টার্মিনালের সামনের সড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে। 

টার্মিনালের সামনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা যা খুব প্রয়োজন ছিল এমন গুরুত্বপূর্ণ যায়গায়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত প্রত্যেক গেট দিয়ে ঢুকার সময়ই মন কেড়ে নিবে বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্যে।
বর্তমানে যাত্রীর চাপ হালকা করতে বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাট আলাদা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, পূর্বে সদরঘাটে পন্টুন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি উচ্ছেদ অভিযানের পর পন্টুনের সংখ্যা এখন ৩০টি। ঘাটে কমেছে কুলি ও দালালদের দৌরাত্ব।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক