a
ফাইল ছবি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানের অস্থিতিশীল অবস্থার অবসানে তিনি তালেবান নেতার সাথে সাক্ষাতে প্রস্তুত রয়েছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তুর্কি বিভাগকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আফগান জনসাধারণের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষেই বিপর্যয়কর।’
পরিস্থিতির উন্নতিতে তালেবানের সাথে তুর্কি কর্মকর্তাদের আলোচনার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমিও এমন অবস্থানে যেতে পারি যে তাদের (তালেবান) নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবো।’
এরদোগান বলেন. ‘কেননা যদি আমরা এই গুরুতর পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারি, তবে আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
এদিকে বুধবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফোনালাপ করেন বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক-আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। এরদোগান আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন থাকবে বলে ফোনালাপে জানান।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে তালেবান। ইতোমধ্যেই তারা নয় প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর আগে জানিয়েছিলেন, তুরস্ক আফগান রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখার বিষয়ে আগ্রহী এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
গত ছয় বছর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
ফাইল ছবি
তালেবানের কবলে পড়া কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না অনেক দেশ। যার জেরে ভারতের আকাশপথ থেকেও বিমান ঘুরিয়ে নিচ্ছে সংস্থাগুলি। সেটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের আকাশপথ ধরে ইউরোপের সীমান্তে প্রবেশ করা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বহু বিমান সংস্থাই আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইছে না। কোনো কোনো দেশ ইতোমধ্যেই দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রাপথ বদলের নির্দেশ দিয়েছে। অসুবিধা হলো, যাত্রাপথ বদলালে বহু বিমান ভারতের আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের পথ পরিবর্তন করতে হবে। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ''এতদিন বহু বিদেশি বিমান দিল্লি হয়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ইউরোপে ঢুকে যেত। ভারতের আকাশ সীমা ব্যবহারের জন্য তারা বিপুল অঙ্কের মাশুল দিত। কিন্তু রুট পরিবর্তন হলে তারা ভারতের এয়ারস্পেসে ঢুকবে না।''
বস্তুত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু বিমান কলকাতার উপর দিয়েও যাতায়াত করে। সেই বিমানগুলিও রুট বদলাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের আরেক কর্মকর্তার বক্তব্য, ইতোমধ্যেই বহু বিমান রুট বদলেছে। আফগানিস্তানের আকাশপথ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা দিল্লি এবং এবং পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই পুরোওয়া রুট বদলে নের পরিকল্পনা করছে।
এর আগে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বেশ কিছুদিন পাকিস্তানের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়েও দিল্লির উপর দিয়ে যাওয়া বিমান যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। তবে সে ঘটনা ছিল সাময়িক। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অনেক জটিল। আদৌ সেখানকার আকাশপথ অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এবং সে কারণেই বহু বিমান সংস্থা নতুন রুট তৈরির পরিকল্পনা করছে।
এমনিতেই করোনার কারণে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানাচ্ছে, ভারত হয়ে পাকিস্তানে ঢোকা বিমানের সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ কমে গেছে।
শুধু তাই নয়, কোনো কোনো বিমান সংস্থা এই রুটের বিমান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। কারণ করোনায় বিমান সংস্থাগুলিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সাময়িক রুট বদলে তারা ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে চাইছে না।
কোনো বিমান যখন অন্য দেশের আকাশসীমায় ঢোকে তখন সেই দেশ তাকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) পরিষেবা প্রদান করে। তার বিনিময়ে বিমানসংস্থা ওই দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়। এর থেকে লাভবান হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের ভয়, তালেবানের ভয়ে তাদের সেই রোজগার অনেকটাই কমে যেতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার ও ডয়েচে ভেলে।
ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের
অগ্নি-সন্ত্রাস করতে জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে তাদের আসল মুরুব্বী বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে তাদের আসল মুরুব্বী বিএনপি। এর মানে তারা আবারও অগ্নি-সন্ত্রাস ও ভাঙচুরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের শনিবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর নিকুঞ্জ খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তো তাদের ডাকছি না। সাধিলে আবার খাইব। তত্ত্বাবধায়ক মানলে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করলে কার সাথে বসবে? বাতাসের সঙ্গে সংলাপ করবে সরকার পদত্যাগ করলে? মির্জা ফখরুল ইসলাম অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে- বিএনপির মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পার্লামেন্টের বিলুপ্তি- এই তিন ভূত নামাতে হবে।’
মার্কিন ভিসানীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায় না- জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। অপকর্ম করলে বিএনপিকে এর মূল্য দিতে হবে।’
বিএনপি সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করে উল্লেখ করে- ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবার পদযাত্রা করবে। তাদের শরিক হলো ৫২ দল। ভিতরে ভিতরে অনেকেই ভেগে গেছে। এখন কত দলের জগাখিচুড়ি ঐক্য। যে ঐক্যে নেতা নেই, মানুষ নেই- সে আন্দোলন গণ-আন্দোলনে রুপ নিবে না।’
আন্দোলনে নেতা লাগে- জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুই নেতাই দণ্ডিত। এদের একজন হাসপাতালে, অন্যজন পালিয়ে লন্ডনে। প্রতিদিন সেখান থেকে অনলাইনে ফরমায়েশ দিচ্ছে। আদালতের রায় না মেনে টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ পাঠাচ্ছে।’
বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণ-আন্দোলন চাইলে, গণ-আন্দোলনের ঢেউ চাইলে, সৎ সাহস থাকলে আসুন, রাজপথে আসুন, মোকাবিলা হবে- কে হারে, কে জিতে। আমরা মাঠে থাকব, মোকাবিলা করব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভবিষ্যৎবাণী করছেন যে- আওয়ামী লীগ নাকি ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। ২০০৮ এর নির্বাচনে তারা বলেছিল- আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। সে নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছে।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এতই যদি বুকে বল নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে। আসেন খেলার মাঠে। খেলার মাঠে না এসে ফাউল শুরু করেছেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ খেলার মতো খেলতে নামলে আপনাদের পালানোর পথ থাকবে না।’ সূত্র: ইত্তেফাক