a
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলেছে। ভারতের এএনআই নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) বাহিনীর ১৩২টি লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্রোহী পক্ষের বরাতে রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের মধ্যে প্রাণহানী বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে জান্তা ১২০টি টাওয়ার থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধুমাত্র গত মাসেই দেশটির সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৫৬০ জন সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৫২ জন।
তবে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তু জাতীয় ঐক্যের সরকারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি এত সংখ্যক সেনা সদস্য নিহত হতো, তাহলে দেশ পরিচালনার মতো কেউ থাকতো না।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে দেশটির জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী। এরপর অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৬ এপ্রিল সু চিকে স্টেট কাউন্সেলর করে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন। এই সরকার মূলত দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং নির্বাসিত থেকে কাজ করছে।
গত ৮ মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ৭ হাজার ১৬৪ জন বিদ্রোহীকে আটক করাসহ ১ হাজার ১১৬ বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: বিলাওয়াল ও নওয়াজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই হতে চান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এবার হয়তো সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো, এমন শর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে জোট সরকার গঠনে রাজি হয়েছে পিপিপি। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে জোট সরকার গঠনের চেষ্টায় রোববার দুই দলের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) একই পদ্ধতিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। সেসময় দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রোববারের বৈঠকে পিপিপি-পিএমএলএন উভয় পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন। ভেতরের খবর বলছে, বৈঠকে পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপি’কে জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সময় পিপিপি’কে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও অবহিত করেছে নওয়াজ শরিফের দল। বৈঠকের শুরুতে পিএমএল-এন নেতারা দাবি করেন, তারাই প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখবেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দাবি করেন, পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (সিইসি) এরই মধ্যে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে। এরপর দুই দলের নেতারা পাঁচ বছরের মেয়াদ অর্ধেক করে নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্তে একমত হন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুধু গতকাল রোববারই পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রায় ৪০০টি অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। এসব সেনার কিছু অংশকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়। শিল্পাঞ্চলটি দনবাস হিসেবে পরিচিত।
জেলেনস্কি বলেন, ‘দোনেৎস্ক অঞ্চলে আগের মতো ভয়াবহ লড়াই চলছে। যদিও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আজ তুলনামূলক কম হামলা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো রুশ গোলাবর্ষণের পরিমাণ অনেক বেশিই হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ের সময় আমরা ধীরে এগোচ্ছি। আজ দিন শুরুর পর পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪০০ গোলা হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দখলদারদের সম্ভাবনাকে অব্যাহত ও খুব সুচিন্তিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গতকাল দিনের শেষ দিকে জেলেনস্কি প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ বাহিনী সরে গেলে সম্প্রতি আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহরের ফের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে সেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শীতে ঘর গরম রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আগের দিন কিয়েভ দাবি করেছিল, দক্ষিণাঞ্চলে দূরপাল্লার গোলা হামলায় প্রায় ৬০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার একক হামলায় রুশ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের এমন দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সূত্র: প্রথম আলো