a
ফাইল ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি গোপনীয় নথি ফাঁস এবং সেসব নথি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন বিমানবাহিনীর ১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। তার নাম জ্যাক টাশেরা (২১) । সে মার্কিন বিমানবাহিনীর এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য।
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারলান্ড। তিনি বলেন, অনুমতিব্যতিত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক অতি গোপনীয় নথি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও এর তথ্য বেহাতের ঘটনা তদন্তে সন্দেহভাজন টাশেরাকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গারলান্ড জানান, “এফবিআই সদস্যরা টাশেরাকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে তদন্ত চলমান।”
এফবিআই জানিয়েছে, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সংস্থাটির সদস্য নর্থ ডিগটন শহরের একটি বাড়ি থেকে টাশেরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তৎপরতা চলছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন
ফাইল ছবি
গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রায় দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই রায় দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ ভিত্তিক জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানটি।
ইসরায়েলকে গণহত্যা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে ও নিজেদের পক্ষে প্রমাণ সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই আদেশে গাজায় ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন, আন্তর্জাতিক ম্যান্ডেট ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে সমস্ত প্রমাণের নির্ভরযোগ্যতা স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আদালতের অস্থায়ী ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে অবশ্যই গণহত্যামূলক বলে বিবেচিত হতে পারে এমন যে কোন কাজ প্রতিরোধ করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে—একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, শারীরিক ক্ষতি ঘটানো, একটি গোষ্ঠীর ধ্বংস ঘটাতে পরিকল্পিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, জন্ম রোধ করা ইত্যাদি।
২. ইসরায়েলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তার সামরিক বাহিনী কোনো গণহত্যামূলক কাজ করবে না।
৩. ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় গণহত্যার জন্য উস্কানি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এমন কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য প্রতিরোধ ও শাস্তি দিতে হবে।
৪. মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরাইলকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. ইসরায়েলকে অবশ্যই গণহত্যার মামলায় ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রমাণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
৬. ইসরায়েলকে এই আদেশের এক মাসের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
আদালত হামাসের হাতে জিম্মিদের ভাগ্য নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: ই্ত্তেফাক
ফাইল ছবি
কসোভো সীমান্তে সামরিক সমাবেশ করছে সার্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। তবে এমন রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে ইউরোপের রাশিয়ার অন্যতম মিত্র দেশ সার্বিয়া।
আল জাজিরার খবরে প্রকাশ, সামরিক সমাবেশ করার ইউউ এবং মার্কিন প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ বলে উল্লেখ করেছে সার্বিয়া। এর আগে গত সপ্তাহে একটি গুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়। এই ঘটনা অস্থির বলকান অঞ্চল আরো ‘উত্তেজনা’ সৃষ্টি হবে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভিউসিস ইন্সটাগ্রামে এক ভিডিওতে বলেছেন, এটা একটি মিথ্যা ক্যাম্পেইন।
ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ইতোমধ্যে তারা অনেক মিথ্যা বলেছে। সার্বিয়ার বাস্তবধর্মী (সফিসটিকেটেড) অস্ত্র রয়েছে এতে তারা বিরক্ত।’
এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র কসোভো সীমান্ত থেকে বেলগ্রেডকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কসোভোর একটি মঠে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সার্বিয়া সীমান্তে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও আর্টিলারি মোতায়েন করে বলে সতর্ক করে হোয়াইট হাউস। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শনিবার কসোভোর সরকার জানিয়েছে, তারা ‘তিনটি ভিন্ন দিক’ থেকে সার্বিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। সার্বিয়াকে অবিলম্বে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার এবং সীমান্ত এলাকা অসামরিকীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশঙ্কা করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে রাশিয়া সার্বিয়াকে দিয়ে নতুন কোনো ঘটনা ঘটাতেও পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন