a
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ার গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের কথিত ‘সার্বভৌম অধিকার’ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে দামেস্ক। সিরিয়া বলেছে, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও সিরিয়ারই থাকবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “অধিকৃত গোলান মালভূমি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে আরব প্রজাতন্ত্র সিরিয়া। ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের প্রতি আমেরিকার নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের ধারাবাহিকতায় ব্লিঙ্কেন ওই বক্তব্য দিয়েছেন যা নিন্দনীয়।”
ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌম অধিকার’কে স্বীকৃতি দেয় কিনা।
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বৈধতার প্রশ্ন বাদ দিলে গোলান মালভূমির ওপর বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সিরিয়া সীমান্তের ওপার থেকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি বন্ধ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে। আপাতত হুমকি বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে দখলিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌমত্বকে’ স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি বা কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।
ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের জবাবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে আছে।
ফাইল ছবি
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শওকত মির্জিওয়েভ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে তালেবানের সাথে যোগাযোগও করেছেন। তিনি বলেন, যদি আফগান জনগণের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। খবর ইয়েনি সাফাকের।
গতকাল শুক্রবার উজবেকিস্তানের উত্তরের নাভোই এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট শওকত আরো বলেছেন, আফগানদের সহযোগিতা করার জন্য সীমান্তের একটি সেতু খুলে দিয়েছে উজবেকিস্তান।
এছাড়া বিদেশ থেকে আফগানদের যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় তা উজবেকিস্তান থেকে রেলপথে আফগানিস্তানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটাই একমাত্র রেলপথ যা আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ফাইল ছবি
মুখের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ও রাতে এই দুইবেলা ভালো টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। পাশাপাশি টুথব্রাশ সময়মতো বদলে নিতে হবে। আমাদের একটা বাজে স্বভাব, ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো একদম অকেজো হলেই ব্রাশ ফেলে দেই। এমনটা ঠিক নয়।এটি ওরাল হেলথের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুখেরর ব্রাশ ৩-৪ মাস পরপর বদলানো ভালো। আর যদি আগেই কোনো কারণে ব্রিসেলস নষ্ট হয় তাহলে দ্রুত বদলাতে হবে। আরেকটি বিষয়, বাড়িতে কেউ সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ১-২ দিনের মধ্যে ব্রাশ বদলে ফেলতে হবে সবাইকে। মুখ দিয়ে অনেক রোগ শরীরে ছড়ায়। তবে ব্রাশের কিছু যত্নও নিতে হবে। তবেই তিন চার মাস পর সুস্থ ওরাল হেলথ নিশ্চিত করতে ব্রাশ বদলানো যেতে পারে। টুথব্রাশ ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো হলো:
১। নিজের টুথব্রাশ ইচ্ছা/অনিচ্ছায় অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২। টুথব্রাশ মাউথওয়াশ বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। গরম পানি অনেক সময় ব্রিসেলসের ক্ষতি করে। বেসিনের কলের পানি দিয়ে ধুলেই চলবে।
৩। ভুল করে কেউ কারোর ব্রাশ ব্যবহার করতেই পারে। সেরকম কিছু হলে ফেলে দিতে হবে।
৪। পরিবারের সবার টুথব্রাশ যেন একে অপরের গায়ে গা লাগিয়ে না থাকে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫। টুথব্রাশের জন্য আলাদা বদ্ধ ক্যাপ দরকার নেই। প্লাস্টিক এই ক্যাপ ব্যবহার করে নিরাপদ ভাবার কারণ নেই। উলটো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সূত্র: ইত্তেফাক