a চাঁদের জমি দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে
ঢাকা রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চাঁদের জমি দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২১
চাঁদের জমি দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে

ফাইল ছবি

 
চাঁদে জমি বিক্রি করেন মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপ। প্রতি একর জমির দাম মাত্র ২৫ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার টাকা। চাঁদে জমির মালিকানা আইনত বৈধ। জমির দলিল, এমনকি মৌজা-পরচার মতো আইনি নথিও আছে।

তবে চাঁদে জমি কিনলেও তা চোখে দেখার সুযোগ প্রায় নেই। তাই দলিলের সঙ্গে ক্রেতাদের একটি করে চাঁদের মানচিত্র দেন হোপ। যাতে তারা বুঝতে পারেন ঠিক কোন জায়গায় নিজের জমি কিনলেন।

এ পর্যন্ত নাকি বিশ্বজুড়ে ৬০ লাখেরও বেশি ক্রেতাকে চাঁদের ৬১.১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছেন হোপ। তার দাবি, চাঁদের জমির চাহিদা ভালই। এমন নাকি অনেকেই আছেন যারা জমি কিনতে বার বার ফিরে আসেন তার সংস্থায়।

ক্রেতার ব্যাপারে কোনো বাছবিচার নেই এই হোপের। তারকা থেকে সাধারণ চাকুরিজীবী— সবাই রয়েছেন তার ক্রেতার তালিকায়। ৬৭৫ জন নামী তারকা তার কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন হোপ। ক্রেতাদের মধ্যে নাকি তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যানও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন হোপ।

জমির দাম রাখা হয়েছে সাধারণের মানুষের নাগালের মধ্যেই। ২৪.৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হয়ে হোপের বিক্রি করা একর প্রতি চাঁদের জমির দাম। শেষ ৫০০ ডলারেই। বেশি দামেরও জমি আছে। এক একটি মহাদেশের সমান সেই জমির দাম প্রায় ১৪ কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে জমি যেমনই হোক, একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন হোপ, সব জায়গা থেকেই পৃথিবীকে সমান ভাবে দেখা যাবে।

হোপ জানিয়েছেন চাঁদের সবচেয়ে বৃহদাকৃতি জমির অংশটিতে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর জায়গা আছে। যদিও সেই জমির ক্রেতা এখনও পাননি হোপ। বেশি চাহিদা ১৮০০-২০০০ একরের জমিগুলোর। ম্যারিয়ট হিলটনের মতো বেশ কিছু হোটেলও জমি কিনেছে তাদের কাছ থেকে।

হোপের সংস্থার নাম লুনার অ্যাম্বাসি। যার বাংলা অর্থ চন্দ্র দূতাবাস। চাঁদে হোপের জায়গাজমির ‘দেখভাল’ করে এই সংস্থাটিই।

হোপ নিজেই সংস্থার সিইও। যদিও এই সিইওর অর্থ চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার নয়। সেলেশ্চিয়াল এগজিকিউটিভ অফিসার। মহাজাগতিক বিশেষ অধিকর্তা। তবে নিজেকে ‘চাঁদের মালিক’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন হোপ।

চাঁদের জমির ব্যবসার বুদ্ধি এবং রসদ দুই-ই হোপ পেয়েছিলেন তাঁর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানের দৌলতে।

এ ব্যাপারে জাতিসংঘের আনা একটি প্রস্তাবের ফাঁকফোকরই সাহায্য করেছিল হোপকে। ওই প্রস্তাবের মূল বিষয় ছিল সৌরজগতের মধ্যে থাকা মহাজাগতিক বস্তু। জাতিসংঘ বলেছিল, বিশ্বের কোনো দেশ বা কোনো দেশের সরকার সৌরজগতের কোনো মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি সত্ত্ব দাবি করতে পারবে না।

১৯৬৭ সালে আনা ওই প্রস্তাবে পৃথিবীর প্রায় সবক’টি দেশ সম্মতি দিয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাবে কিছু অসম্পূর্ণতাও ছিল। মহাজাগতিক বস্তুর উপর সরকার বা দেশের অধিকার নিয়ে কথা বললেও এমনটা কোথাও বলা ছিল না যেকোনো ব্যক্তি এই দাবি করতে পারবেন না। হোপ ওই অসম্পূর্ণতাকে কাজে লাগিয়েই চাঁদের মালিকানা দাবি করেন।

বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। আটের দশকের একেবারে গোড়ার দিকে লেখা ওই চিঠিতে চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করেন হোপ। সে চিঠির জবাব আজও  আসেনি। তবে জাতিসংঘের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রক্তপাত বন্ধে আফগান ছেড়েছি, টাকা আনিনি: আশরাফ ঘানি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৩৩
রক্তপাত বন্ধে আফগান ছেড়েছি, টাকা আনিনি: আশরাফ ঘানি

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন।

তালেবানের কাবুল দখলের পর তিনি দেশত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা প্রত্যাখান করেন। খবর আরব নিউজের।

গত বুধবার আশরাফ ঘানি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি শুধু দেশবাসীর শান্তির কথা ভেবে দেশত্যাগ করেছি। সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা আনিনি। এগুলো সব মিথ্যা প্রচারণা।

গত রোববার তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন আশরাফ ঘানি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশরাফ ঘানি তার বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে এভাবে তিনি থাকতে চান না। দেশে ফেরার জন্য আফগান নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে বলেও জানান ওই ভিডিও বার্তায়।
 
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ ঘানি চারটি গাড়িভর্তি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন বলে আফগানিস্তানে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।

রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের মুখপাত্র নিকিতা ইশেনকো জানিয়েছিলেন, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় চার গাড়ি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন আশরাফ ঘানি। সেই অর্থের একটি অংশ তিনি হেলিকপ্টারে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সব কিছু গড়বড় হয়ে যায়। কিছু অর্থ বিমানবন্দরেই রেখে যান ঘানি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আওয়ামী লীগ খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না: কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২৩, ০৬:০৯
আওয়ামী লীগ খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না: কাদের

ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ হত্যা-খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বার বার হত্যা-ক্যু-খুন-গুম ও ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির নির্মম শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গুম নিয়ে বিএনপি মিথ্যা বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তাদের গুমের নাটকের নেপথ্যের আখ্যান আজ দেশবাসীর অজানা নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ গুম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করছে, তা বাস্তবতাবিবর্জিত ও ভিত্তিহীন। বিদেশি বন্ধু ও প্রতিনিধিদের করুণা লাভের আশায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ধারাবাকিভাবে গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বিএনপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব ও কোন্দলের ফলে যেসব গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেটার দায় তারা সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায় সরকারের উপর চাপানো হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই জামাল উদ্দিন নিজ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা গুমের শিকার হয়েছিল। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একইভাবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায়ভারও সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন। এমনকী বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা তার বক্তব্যে বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির লোকজনই গুম করেছে। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সীমাহীন ত্যাগ ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে পাহাড় সমান প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে  আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক