a
সংগৃহীত ছবি
করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় জাপানে কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। টোকিও, ওসাকা, হোগো ও কিওটোতে ১১ মে জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু এখন তা বাড়িয়ে মাসের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে। খবর-বিবিসির
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, আইচি ও ফুকুওকাকেও জরুরি অবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে জাপান সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিকের আয়োজন নিয়েও সন্দেহ তৈরি করেছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে জাপানে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।জরুরি অবস্থার আওতায় বন্ধ থাকবে পানশালা ও রেস্তোরাঁগুলো। এছাড়া সিনেমা হল ও কারাওকে পার্লারের মতো স্থানগুলোও বন্ধ রাখতে হবে।
সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী এই জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে জাপান সরকার দেশে মহামারি করোনার চুতর্থ ঢেউ ঠেকানোর ব্যাপারে আশাবাদী বলে মন্তব্য করেছেন করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দায়িত্ব নেওয়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
ছেলের বিয়েতে আনন্দ কার না থাকে! চীনের এক নারীরও ছেলের বিয়েতে আনন্দের কমতি ছিল না। তবে মুহূর্তের মধ্যেই বিয়ের আনন্দ আরো দ্বিগুণ হয়ে ফিরল তার কাছে। আনন্দ অশ্রুটাও তাই বেশি ছিল। কারণ পুত্রবধূ হিসেবে যাকে আবিষ্কার করলেন বিয়ের আসরে সেই মেয়েটি তারই ২০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সন্তান। গত ৩১ মার্চ চীনের জিয়াংশু প্রদেশের সুজহু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হবু শাশুড়ি হবু বউয়ের হাতে একটা জন্মদাগ দেখতে পান। এই জন্মদাগ তার হারিয়ে যাওয়া মেয়েরও ছিল।
তত্ক্ষণাত্ তিনি ঐ মেয়ের বাবা-মাকে প্রশ্ন করেন, এই মেয়ে তাদের নিজেদের কি না। এই প্রশ্ন শুনে মেয়ের বাবা-মা চমকে যান। কারণ বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। কিন্তু মেয়ের হবু শাশুড়ির চাপাচাপিতে তারা স্বীকার করেন যে, এই মেয়ে তাদের জন্মগত নয়। অনেক বছর আগে তারা রাস্তার পাশে মেয়েটিকে পান এবং সেই থেকে তারা তাকে লালনপালন করছেন। এই গল্প শুনে মেয়েটি কাঁদতে শুরু করেন এবং তার জন্মদাতা মা-বাবা সম্পর্কে জানতে চান।
এরপর মেয়েটি জানতে পারেন যে তার এই হবু শাশুড়িই তার জন্মদাত্রী মা। গল্পের এখানেই শেষ নয়। মেয়েটি চিন্তায় পড়ে যান তিনি কীভাবে তার আপন ভাইকে বিয়ে করবেন। সেই গল্পটি আরো মজার। মেয়ের মা জানান, এই ছেলে তার গর্ভজাত সন্তান নয়। মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটিকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন। বায়োলজিক্যাল ভাইবোন না হওয়ায় তাদের বিয়েতে আর সমস্যা হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই তাদের আশীর্বাদ করেন এবং দ্বিগুণ আনন্দ নিয়েই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
ফাইল ছবি
গোলাগুলি নেই, বোমবর্ষণও নেই। তারপরও আতঙ্ক কাটছে না। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত মিশ্র অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক ভয় কাজ করছে ইসরায়েলের মধ্যে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের দোকান থেকে রুটি পর্যন্ত কিনছেন না ইসরায়েলি নাগরিক। ইসরায়েলির দোকানে যাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। একের অপরের প্রতি নতুন করে বিশ্বাস গড়তে অনেক সময় লাগবে।
ইসরায়েলের মিশ্র অঞ্চলের বহু মানুষ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী সমাধান নয়। মূল সমস্যার সমাধান না হলে ফের লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। সহিংসতার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায়না।
রাজধানী তেল আবিবের প্রান্তে বহু ফিলিস্তিনি থাকেন। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। জেরুজালেমের পূর্ব অংশের ছবিও একই রকম। সেখানেও বহু ফিলিস্তিনি বাস করেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে হাইফা শহরে গেছেন সামাহ।
সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, জেরুজালেমে নিজের কৌমের মধ্যে থাকার সুযোগ থাকলেও, হাইফাতে সেই সুযোগ নেই। হাইফার জনগণকে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয়।
অভিযোগ, পুলিশও বিদ্বেষপূর্ণ মনোবভাব দেখায়। রাস্তায় বের হলেই নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বস্তুত, লড়াইয়ের সময় এই অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীই একে অপরের উপর আক্রমণ করেছিল।
এদিকে, দুই দিন যুদ্ধবিরতির পর খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির মাউন্ট। ওই মন্দিরের পাশেই আল আকসা মসজিদ। পুলিশ দর্শনার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছে মন্দিরে। এই অঞ্চলটিতে গত সপ্তাহে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল এবং মসজিদ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
মুসলমানদের কাছে এই অঞ্চলটি অনেক পবিত্র। তাই নতুন করে মসজিদ খুলে দেওয়ার ফলে সেখানে সামান্য উত্তেজনা হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি দুই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে