a জ্বালানি তেলের ইস্যুতে আমেরিকার উপর ক্ষেপেছে সৌদি আরব
ঢাকা শুক্রবার, ৪ পৌষ ১৪৩২, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জ্বালানি তেলের ইস্যুতে আমেরিকার উপর ক্ষেপেছে সৌদি আরব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ০২:০৫
জ্বালানি তেলের ইস্যুতে আমেরিকার উপর ক্ষেপেছে সৌদি আরব

ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে মার্কিন কৌশলগত জরুরি তেলের রিজার্ভ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলেছে, তেলের বাজারে ‘কারসাজি করতে’ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে জরুরি রিজার্ভ হারালে অদূর ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে বলেও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদি তেলমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান মঙ্গলবার রিয়াদে বলেন, “লোকজন বাজারে কারসাজি করার উদ্দেশ্যে তাদের জরুরি রিজার্ভ কমিয়ে ফেলছে। অথচ এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হয়েছিল কখনও বাজারে ঘাটতি তৈরি হলে তা পূরণ করার জন্য।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জরুরি স্টক কমিয়ে ফেললে আগামী মাসগুলোতে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। সৌদি মন্ত্রী সরাসরি আমেরিকার নাম উচ্চারণ না করলেও তার বক্তব্যে যে মার্কিন তেলের রিজার্ভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তা স্পষ্ট।

গত সপ্তাহে আমেরিকার কৌশলগত রিজার্ভ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তার কয়েক দিন আগে ওপেকপ্লাস তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর কথা ঘোষণা করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বাইডেন।

ওপেকপ্লাসের সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারনে বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

মার্কিন তেলের খনি থেকে দেশটির সরকারি-বেসরকারি কোনও সংস্থারই তেল উত্তোলনের অনুমতি নেই। এ সম্পর্কে দেশটিতে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনে আমেরিকার বিভিন্ন খনিতে মজুত তেলকে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের কোনও খনি থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করা যাবে না।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের অন্যতম যোগানদাতা দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এরপরই বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গত মে মাসে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ থেকে ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আমরা নিশ্বাস নিতে পারছিনা মোদির কারনেই- নুসরাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৪৮
আমরা নিশ্বাস নিতে পারছিনা মোদির কারনেই- নুসরাত

ফাইল ছবি

ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট চলছে। অক্সিজেন না পেয়ে অনেকে হাসপাতালে কোভিড রোগী মারা যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় #wecan’tbreathe আন্দোলনে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব আন্দোলনে সামিল হয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। 

বৃহস্পতিবার টুইটারে এক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের কষ্ট ও দুর্দশার কথা বলেছেন। ভিডিওটি দেখে নুসরাত নিজেও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বলে জানান। 

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগীর আত্মীয়-স্বজন। কারো বাবা হাসপাতালের বিছানা থেকে লড়ছেন, আবার কারো মা, ভাই-বোন। সবাই নিঃশ্বাস নিতে চাইছেন। কিন্তু অক্সিজেন না থাকার কারণে পারছেন না। 

এসব পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই দায়ী করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। 

তিনি লেখেন, আজ আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে নিঃশাস নিতে পারছি না। তার দেশের মানুষ যখন নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য কাতরাচ্ছেন, তখন তিনি দেশের বাইরে অক্সিজেন রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বড় বড় অক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘এটা অপরাধ’।

অন্য আরেক টুইট বার্তায় নুসরাত আরও লিখেছেন, অক্সিজেনের এই তীব্র ঘাটতির জন্য দায়ী কে? দেশের জন্য সঠিক মজুত না রেখে ৬৫ শতাংশ টিকা কেন রফতানি করা হলো? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মোতাবেক দেশের মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা দেয়াও সম্ভব বলে তিনি জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:০৫
পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে

মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন ছেলে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের হিরণ পয়েন্ট এলাকা। সেখানকার তল্লাশিচৌকিতে গতকাল শনিবার বিকেলে দায়িত্বরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল জানান, দুজন আরোহীর একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে থামার জন্য সংকেত দেই। কাছে আসতেই দেখতে পাই চালকের পিঠে বাঁধা অক্সিজেনের সিলিন্ডার। পেছনে বসে থাকা নারীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক। তাৎক্ষণিক তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেন।

এমন সময় পথচারীদের কেউ দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। দ্রুতই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, মুমূর্ষু মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে মোটরসাইকেলে এভাবেই ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন জিয়াউল হাসান নামের সেই যুবক।

জিয়াউল হাসানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকায়। তাঁর মা নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা পারভীন (৫০) দশ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনাও দেন। কিন্তু প্রতিবেদন পাননি। 

এর মধ্যেই গতকাল সকালে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে একটি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে জিয়াউল হাসান। লাগানো হয় সেটি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টও তা বাড়তে থাকে রেহেনা পারভীনের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না জিয়াউল।

এরপর মাকে বরিশালের হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্য যানের খোঁজ করেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে মাকে হাসপাতালে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পিঠের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডারটি। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে পরানো হলো অক্সিজেন মাস্ক। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে পৌঁছান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছুটছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। বর্তমানে তাঁদের মা করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

রেহেনা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে মাঝেমধ্যে অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেন জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার মা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অক্সিজেন লেভেল ৯৪-৯৩ নেমে যাচ্ছে। দুপুরে দেখলাম মায়ের অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছে। সে জন্য ভাবলাম ঝুঁকিটা নেওয়া ঠিক হবে না।’

কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, ‘মোটরসাইকেলে না এসে আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। আমাকে যে যেতেই হবে। দৌড়ে যেতে পারব না। চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি। শেষে আমার গায়ের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে এসেছি। আমি বুঝতে পারছিলাম মায়ের কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন মাকে একটি কথা বলেছিলাম, উপায় নেই মা। আমার মায়ের কষ্ট হচ্ছিল, তা আমি সহ্য করতে পারিনি।’
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক