a
ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে মার্কিন কৌশলগত জরুরি তেলের রিজার্ভ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলেছে, তেলের বাজারে ‘কারসাজি করতে’ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে জরুরি রিজার্ভ হারালে অদূর ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে বলেও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি তেলমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান মঙ্গলবার রিয়াদে বলেন, “লোকজন বাজারে কারসাজি করার উদ্দেশ্যে তাদের জরুরি রিজার্ভ কমিয়ে ফেলছে। অথচ এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হয়েছিল কখনও বাজারে ঘাটতি তৈরি হলে তা পূরণ করার জন্য।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জরুরি স্টক কমিয়ে ফেললে আগামী মাসগুলোতে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। সৌদি মন্ত্রী সরাসরি আমেরিকার নাম উচ্চারণ না করলেও তার বক্তব্যে যে মার্কিন তেলের রিজার্ভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তা স্পষ্ট।
গত সপ্তাহে আমেরিকার কৌশলগত রিজার্ভ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তার কয়েক দিন আগে ওপেকপ্লাস তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর কথা ঘোষণা করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বাইডেন।
ওপেকপ্লাসের সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারনে বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন তেলের খনি থেকে দেশটির সরকারি-বেসরকারি কোনও সংস্থারই তেল উত্তোলনের অনুমতি নেই। এ সম্পর্কে দেশটিতে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনে আমেরিকার বিভিন্ন খনিতে মজুত তেলকে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের কোনও খনি থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করা যাবে না।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের অন্যতম যোগানদাতা দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এরপরই বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গত মে মাসে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ থেকে ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছের একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলসহ সারা দেশে তালিবানের অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে সেখানে থাকা আমেরিকানদের যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তানে বসবাসরত আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, 'যেভাবে সম্ভব দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করুন।'
আর্থিক সংকট বা অন্য যেকোনো কারণে কেউ দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে অসুবিধায় পড়লে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদেরকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে বলা হয়েছে, 'নিরাপত্তার অবস্থা ও লোকবলের কমতি থাকায় কাবুলসহ আফগানিস্তানে খুব কম সংখ্যক আমেরিকানকেই সহায়তা করতে পারবে দূতাবাস।'
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেয়ার পর থেকে দেশটিতে ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীর সাথে একাই লড়াই করছে আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী।
কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে গত ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তাদেরকে যতটা সম্ভব দূতাবাসের বাইরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন দূতাবাসের কর্মসূচীর কোন পরিবর্তন হয়নি, তবে প্রতিদিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে গতকাল রোববার রাতে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। তাঁকে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানালেন চিকিৎসকেরা।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সূত্র: প্রথম আলো