a
সংগৃহীত ছবি
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একটি ভবনে শত্রুদের নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে কোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ইরানের আইআরআইবি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, আজ ভোরে পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ভবনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ কর্তৃপক্ষের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শত্রুরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আর এগোতে পারেনি।
বার্তা সংস্থাটি এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি। কারণ এখনো এ বিষয়ে বিশদ তদন্ত চলছে। নাশকতার চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
ইসলামি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর (আইআরজিসি) সাথে ঘনিষ্ঠ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বলা হয়, একটি ড্রোন ওই ভবনে হামলার চেষ্টা করেছিল। আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল কাউন্সিলের সাথে ঘনিষ্ঠ বিবেচিত নূর নিউজ জানায়, হামলাটি আগেভাগেই ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে।
ইরানে আগেও কয়েকবার অন্তর্ঘাতমূলক হামলা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ইরানি জাতির দৃঢ় মনোবল নষ্ট করতে পারেনি। শত্রুদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিসহ সব উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্স টুডে ও আল জাজিরা
ফাইল ফটো
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী ১৮টি ড্রোন ও ৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সৌদি আরবে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনে সৌদি আরবের আগ্রাসন শুরুর বার্ষিকীতে পাল্টা এই আক্রমণ চালালো ইয়েমেনিরা। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো।
শুক্রবার ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, এবারের হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলফিকার, বাদ র ও সায়ির মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। ড্রোনগুলো ছিল 'সামাদ-৩' মডেলের।
তিনি বলেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে রাস আল তানুরায় আরামকো কোম্পানির পাশাপাশি আরও কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়।
এছাড়া দাম্মামের কিং আব্দুল আজিজ বিমান ঘাঁটিতেও আঘাত হেনেছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। পরবর্তীতে আরও কঠোর ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালাতে ইয়েয়েনিরা প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সৌদির আগ্রাসন আজও চলমান। এসব হামলার সহযোগিতা দিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ, ইউরোপ ও আমেরিকা। ইয়েমেনিরা এই আগ্রাসনের জন্য মূলত আমেরিকাকেই দায়ী করে আসছে।
ফাইল ছবি
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের বেশ কিছু কর্মকর্তারা। এবার সেই হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি।
তিনি বলেছেন, ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করেছে তা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বাইরের যে কোনও আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
রেজা আশতিয়ানি বলেন, “শত্রুর যেকোনও পাগলামি ও ধৃষ্টতাপূর্ণ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরানি জাতি নিশ্চিতভাবে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং শত্রুকে চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ইরান শত্রুর বিরুদ্ধে যেকোনও ক্ষেত্রে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েলের উদ্দেশে জেনারেল আশতিয়ানি আরও বলেন, হতাশা থেকেই ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে অভিযুক্ত এবং বাগাড়ম্বর করছে। তিনি বলেন, সামরিক খাতে ইরান তার উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ মস্কো সফরে গিয়ে বলেন- ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেকোনও মূল্যে তা ঠেকাতে হবে। অন্যথায় ইসরায়েল একাই ব্যবস্থা নেবে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও ইরানের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। সূত্র: প্রেস টিভি