a
সংগৃহীত ছবি
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একটি ভবনে শত্রুদের নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে কোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ইরানের আইআরআইবি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, আজ ভোরে পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ভবনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ কর্তৃপক্ষের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শত্রুরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আর এগোতে পারেনি।
বার্তা সংস্থাটি এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি। কারণ এখনো এ বিষয়ে বিশদ তদন্ত চলছে। নাশকতার চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
ইসলামি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর (আইআরজিসি) সাথে ঘনিষ্ঠ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বলা হয়, একটি ড্রোন ওই ভবনে হামলার চেষ্টা করেছিল। আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল কাউন্সিলের সাথে ঘনিষ্ঠ বিবেচিত নূর নিউজ জানায়, হামলাটি আগেভাগেই ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে।
ইরানে আগেও কয়েকবার অন্তর্ঘাতমূলক হামলা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ইরানি জাতির দৃঢ় মনোবল নষ্ট করতে পারেনি। শত্রুদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিসহ সব উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্স টুডে ও আল জাজিরা
ফাইল ছবি
তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বলেছেন, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য তাদের তুরস্ককে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি তুরস্কের সরকারপন্থি দৈনিক ‘তুর্কিয়া’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাদের সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা আফগানিস্তানের প্রতিটি অঞ্চলের পুনর্গঠন করব। এ ব্যাপারে আমাদের তুরস্কের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”
তালেবানের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “তুরস্ক আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বিশ্বের একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী দেশ তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বেও তুরস্কের উঁচু মানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।… আফগানিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ককে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করা চলে না।”
এর আগে কাবুল দখলের একদিন পর গত ১৬ আগস্ট তুরস্কের ক্ষমতাসীন সরকারের নিউজ চ্যানেল ‘তুর্ক খবর’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহাইল শাহিন বলেছিলেন, “তুরস্ক আমাদের কাছে একটি ভ্রাতৃপ্রতীম ইসলামি দেশ হিসেবে বিবেচিত।” তিনি আরও বলেন, “তুরস্কের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।”
এরপর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ১৯ আগস্ট তালেবানের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, তিনি হয়তো অচিরেই তালেবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা মোতায়েন ছিল। কিছুদিন আগে এরদোগান বলেছিলেন, তার দেশের সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সেসময় তালেবান কাবুল দখল না করলেও আফগানিস্তানের বিশাল অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
তুরস্কের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রস্তাব সম্পর্কে তালেবান তখন আঙ্কারাকে উদ্দেশ করে বলেছিল, আফগানিস্তানে যেকোনো বিদেশি সেনাকে ‘শত্রুসেনা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অবশ্য পরবর্তীতে পানি অনেক দূর এগিয়েছে এবং দুই দেশের কৌশলগত দিকও পরিবর্তন হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এশিয়ার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের নেতৃত্বে পতাকা উত্তোলন, আনন্দ র্যালি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কেটে দিবসটি পালন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় ছাত্রদের কথা বলে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রবান্ধব করে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগ সদা সচেষ্ট।
এছাড়া বিকাল ৪টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে কুবি ছাত্ররলীগ র্যালিটি বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করে শাখা ছাত্রলীগ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।