a তালেবান ৬ষ্ঠ প্রাদেশিক রাজধানী দখল নিয়েছে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তালেবান ৬ষ্ঠ প্রাদেশিক রাজধানী দখল নিয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১০ আগষ্ট, ২০২১, ১২:৫৩
তালেবান ৬ষ্ঠ প্রাদেশিক রাজধানী দখল নিয়েছে

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের সশস্ত্র সংগঠন তালেবান দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সামানগানের রাজধানী আইবাক দখল করে নিয়েছে। সোমবার শহরটি দখলের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে আইবাক তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এলো।

তালেবানের মুখপাত্র সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তার মাধ্যমে শহরটি দখলের ঘোষণা দেন। অপরদিকে সামানগানের উপ প্রাদেশিক গভর্নর বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে শহরটি তালেবানের দখল করার খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, শহরটি পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। এদিকে আফগানিস্তানের দখল নিয়ে দেশটির সরকারি সামরিক বাহিনীর সাথে বিভিন্ন স্থানে তুমুল লড়াই চলছে তালেবানের। এরমধ্যে গত তিনদিনে দক্ষিণের একটি ও উত্তরের চারটিসহ মোট পাঁচটি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি।

কান্দাহার, হেরাত ও লশকরগাহের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের শহরের চারপাশে প্রচণ্ড লড়াই চলছে।

আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টা কান্দাহার ও হেলমান্দ প্রদেশে তালেবানের সাথে তুমুল লড়াই হয়েছে আফগান সামরিক বাহিনীর। লড়াইয়ে কয়েক শ’ তালেবান যোদ্ধা নিহত বা আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

অপরদিকে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়ায়িস স্তানাকজাই বলেছেন, লড়াইয়ে তালেবানের ‘বিপুল ক্ষতি’ হয়েছে এবং শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘শহরগুলোতে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী টহল দিচ্ছে।’

সোমবার তালেবানের এক মুখপাত্র ঘোষণা দিয়েছেন, তারা এখন দেশটির উত্তরের বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফকে লক্ষ্য করে অগ্রসর হচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মুখপাত্র ঘোষণা দেন, শহরটি দখলে তারা চারদিক থেকে আক্রমণ চালিয়েছেন।

অবশ্য শহরের বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবান আক্রমণের বিষয়টি বাড়িয়ে বলছে। বলখ প্রদেশের রাজধানী শহরটির আশেপাশের জেলাগুলোতে এখনো লড়াই চলছে।

এর আগে শুক্রবার দক্ষিণের নিমরোজ প্রদেশের যারানজ ও শনিবার উত্তরের জাওযজান প্রদেশের রাজধানী শেবারগান দখল করে নিয়েছে তালেবান। রোববার একদিনে তালেবান উত্তরাঞ্চলীয় তিন প্রদেশ কুন্দুজ, সার-ই-পুল ও তাখার প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী তালোকান দখল করে নেয়।

দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।

এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলেও এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে। সমঝোতা না হওয়ার জন্য আফগান সরকারকে অভিযুক্ত করছে তালেবান।

এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া শুরু করে তালেবান এরমধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সংযোগসহ গ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা তালেবান দখল করে নিয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবেনা: পুতিন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২, ০১:০৭
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবেনা: পুতিন

ফাইল ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে  ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।

রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’

‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’

‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’

‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’

‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মিয়ানমারে প্রতি রাতে নামছে চীনের রহস্যঘেরা ফ্লাইট


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ০২ মার্চ, ২০২১, ০৯:৪৫
মিয়ানমারে প্রতি রাতে নামছে চীনের রহস্যঘেরা ফ্লাইট

ফাইল ফটো: প্রতিকী ছবি

প্রতি রাতে চীন থেকে অজানা পণ্য ও কর্মী নিয়ে মায়ানমারে অবতরণ করছে অনিবন্ধিত প্লেন। এব্যপারে চীনা সরকার এবং মিয়ানমার এয়ারওয়েজ দাবি করেছে, বিমানগুলো সামুদ্রিক খাদ্যদ্রব্য বহন করছে।
 
এক্ষেত্রে ফ্লাইটের চলাচল সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।  

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিমানগুলো কী বহন করছে তার জন্য দুটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। এর একটি হচ্ছে তারা চীনা সৈন্য এবং সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসছে তথ্য এবং ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য বাড়াতে এবং অন্যটি হচ্ছে মিয়ানমার সরকার অস্ত্রের চালান বাড়িয়ে যাচ্ছে।  

গবেষকরা উল্লেখ করছেন, প্রতি রাতে গড়ে ৫টি ফ্লাইট, ৩টি বিমান ইয়াঙ্গুন থেকে দক্ষিণ চীনের কুমিং ভ্রমণ করছে। ২টি বিমান মিয়ানমার এয়ার লাইনের রঙে আঁকা থাকলেও, অন্যটি অচিহ্নিত। এর সবগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ইজারা নেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়।  

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করার মত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফ্লাইট লুকানোর চেষ্টা করা হলেও ইঞ্জিন থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য এবং ইয়াঙ্গুনের বিমানবন্দরের কর্মীরা এবং সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী মিয়ানমারের নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলনের সদস্যরা টুইটারে ছবিগুলোর পোস্ট থেকে জানা গেছে।

মিয়ানমারের অত্যাচারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মুসলিম সংখ্যালঘু বা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য নৃশংসতাসহ নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিকভাবে। 

যদিও তারা বারবারই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসলেও মিয়ানমারের সামরিক শাসকে মোড়ক গনতান্ত্রিক সু-চির সরকার তাদের নির্যাতন পার্শ্ববর্তী কিছু দেশের সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ অমানবিক নৃশংস- নির্যাতনগুলো ঠান্ডা মাথায় চালিয়েছে।

সর্বশেষ, এবছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সু-চির সরকারকে উৎখাত করে এবং নবনির্বাচিত সংসদ অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে এক বছরব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। সূত্র: এএনআই

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম কে আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক