a
সংগৃহীত ছবি
তুরস্ক ও আজারবাইজান সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এই সামরিক মহড়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। মহড়ায় উভয় দেশের সেনাবাহিনীর ৬০০ সদস্য-কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। খবর রয়টার্স
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজারবাইজান ও তুরস্কের সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক-২০২১ যৌথ লাইভ ফায়ার কৌশল অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে যুদ্ধে আক্রমণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে গত ১৫ জুন আজারবাইজানের শুশা শহরে ভ্রমণ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ওই সময় তুরস্ক এবং আজারবাইজান শুশা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির অন্যতম বিষয় ছিল-প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং নতুন পরিবহন রুট শুরু করা।
গত বছর আজারবাইজান নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন করে। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজারবাইজনা সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পায় এবং নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল পূনরুদ্ধার করে।
ফাইল ছবি
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ জেনারেল আইজ্যাক ব্রিক বলেছেন, আগামীতে কোনো যুদ্ধে ইসরায়েল জিততে পারবে না। তিনি এ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপেশাদারসুলভ আচরণকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে অনাগ্রহী এবং তাদের আচরণ সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেছেন, 'সম্প্রতি আমি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছি। সেখানে সেনাদের মধ্যে হতাশা, বিশৃঙ্খলা ও অনাগ্রহ দেখেছি। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামীতে কোনো যুদ্ধেই জিততে পারবে না ইসরাইলিরা।'
সশস্ত্র বাহিনীতে যেসব সমস্যা ও ঘাটতি রয়েছে সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও জানান এই কমান্ডার। তার মতে, আগামীতে ইসরায়েল কোনো যুদ্ধে জড়ালে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটবে।
এর আগেও তিনি এ ধরণের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এই অবৈধ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্র : পার্সটুডে।
ফাইল ছবি
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।
দুই সিটি কর্পোরেশনে যে ১১টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রয়েছে ৬টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫টি এলাকা।
এগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেই নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক