a
ফাইল ছবি
রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এরই মধ্যে বাঁধটির গায়ে বিস্ফোরক বসানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। এই বাঁধ ধ্বংস করা হলে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। তাতে অগণিত মানুষের প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধটিকে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছেন, শস্যের চালান বিলম্বিত করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতিকে প্রকট করে তুলছে মস্কো। শত্রুরা আমাদের খাদ্য রপ্তানি কমিয়ে আনতে সব চেষ্টায় করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, নোভা কাখোভকা বাঁধে বিস্ফোরক বসিয়েছে রুশ বাহিনী এবং সেটি উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, এখন রাশিয়ার একটি নতুন ‘সন্ত্রাসী হামলা’ ঠেকাতে বিশ্বের সবাইকে শক্তিশালীভাবে এবং দ্রুত কাজ করতে হবে। বাঁধটি ধ্বংস করার মানে হবে বড় মাত্রার বিপর্যয়। সুদীর্ঘ দিনিপ্রো নদী ইউক্রেনকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় এটি কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত। এই নদীর ওপর তৈরি বাঁধটি ধ্বংস হয়ে গেলে আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে ইউক্রেনের দক্ষিণাংশে সেচ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।
রাশিয়া সম্প্রতি জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেত্স্ককে নিজেদের অংশ ঘোষণা করেছে। তবে খেরসনে এখনো তীব্র লড়াই চলছে দাবি করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিন গত মঙ্গলবার দাবি করেন, তার কাছে তথ্য রয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী বাঁধের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা এরই মধ্যে একটি বড় হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। সুরোভিকিন বলেন, কিয়েভ সরকার খেরসনে যুদ্ধে নিষিদ্ধ পদ্ধতি ব্যবহার এবং কাখোভকা বাঁধে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাঁধটি মস্কো নিজেই উড়িয়ে দিয়ে এর দায়ভার কিয়েভের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করতে পারে। জেলেনস্কি বলেছেন, আমি ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকে পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে জানিয়েছি। রাশিয়া কাখোভকা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে খেরসন অঞ্চলের রুশপন্থি উপপ্রধান কিরিল স্ট্রেমাসভ বলেছেন, বাঁধটিতে রাশিয়া বিস্ফোরক বসিয়েছে বলে কিয়েভ যে অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
রাশিয়া অবিলম্বে সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মস্কো বলেছে, সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরিয়ে নেয়া হলে আরব দেশগুলো দামেস্কের সঙ্গে নিজেদের মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে আলজেরিয়া, মিশর, জর্দান, ইরাক ও সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মস্কো সফরে গেলে তাদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ। ওই পাঁচ আরব দেশ নিজেদেরকে ‘ইউক্রেন বিষয়ক আরব কন্টাক্ট গ্রুপ’ বলে পরিচয় দিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন আশা করছি। অবিলম্বে এই ইস্যুর সমাধান হলে আরব দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি আরে শক্তিশালী হবে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ওই বছরের নভেম্বর মাসে দেশটির সদস্যপদ বাতিল করে আরব লীগ। সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের অজুহাতে ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল আরব লীগ। তবে সিরিয়া ওই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ এবং আরব লীগের গঠন কাঠামোর পরিপন্থি’ বলে উল্লেখ করেছিল।
১৯৪৫ সালে যে ছয়টি দেশ নিয়ে আরব লীগ গঠন করেছিল, সিরিয়া ছিল সে দেশগুলোর অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বানকারী দেশের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। সূত্র: সানা
সংগৃহীত ছবি
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শনিবার সকাল থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একে একে যখন ঘাটে বাড়তে থাকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তখন ফেরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বেলা ২টা নাগাদ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে এনায়েতপুরী ও শাহ পরান নামের আরো দুটি ফেরি বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এ নিয়ে একইদিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোট তিনটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় ৩নং ফেরিঘাট থেকে ফেরি এনায়েতপুরী ও ২নং ফেরিঘাট থেকে শাহ পরান বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঘাটে যাত্রীদের দাবি ছিল সামনে ঈদ পরিবার সবাই তাদের আশায় তাকিয়ে আছে, এই অবস্থায় তারা নিরুপায় হয়ে শহর ছাড়ছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে দেখা যায়, ঘাটে সাধারণ যাত্রী এম্বুলেন্স নিয়ে রোগী অপেক্ষা করছে কিন্তু ফেরিসহ সব যান নৌযান চলাচল বন্ধ। অন্যদিকে ভিআইপিদেরকে নদী পাড় করে দিচ্ছে কোস্টগার্ডের একটি দল, যা সাধারণ যাত্রীদের উপর একপ্রকার বৈষম্য বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।