a
ফাইল ছবি
সারাবিশ্বের ন্যায় নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে করোনাভাইরাস ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও। সংগৃহীত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষায় ৮৪ শতাংশ রোগীর দেহে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৩০-৩১ ডিসেম্বরের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর দিল্লির স্বাস্থ্য বুলেটিনে গতকাল জানানো হয়, দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চার হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার সাড়ে ছয় শতাংশ।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৫১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
এরপর দিল্লিতে ৩৫১ জন শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। রবিবার শনাক্ত রোগী ছিল তিন হাজার ১৯৪ জন, যা আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
সংগৃহীত ছবি
চলতি বছরের মে মাসে ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় লড়াই হয়েছিল হামাসের ও ইসরায়েলি সেনাদের। সেই লড়াইয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বা ‘ওয়ার ক্রাইমে’র অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
ঘটনার ২ মাস পর এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থাটি। হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। চলতি আগস্টে হামাসের বিষয়েও একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে। সে সময় গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। এতে বহু নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ওই ১১ দিনে ইসরায়েলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস। যার ফলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ১৪ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনগুলো হলো-
(ক) মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ
করবেন;
(খ) তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি
অংশগ্রহণ করবেন;
(গ) জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন;
(ঘ) সম্মানিত মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও যিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর
রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।