a
সংগৃহীত ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে আবার কার্যকর করাকে এই মুহূর্তে ইইউ’র কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বোরেল বলেন, এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়া কিছুটা কঠিন হলেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি এই সমঝোতা থেকে আমেরিকার একতরফা বেরিয়ে যাওয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।
ইরানে সরকার পরিবর্তন ভিয়েনা সংলাপের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছিলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে ভিয়েনায় চলমান সংলাপের কোনও সম্পর্ক নেই।
ভিয়েনার গ্রান্ড হোটেলে রবিবার ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে সংলাপের ষষ্ঠ দফা বৈঠকের সমাপ্তি হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় এ বৈঠকে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করেন চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স জার্মানি ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা। আমেরিকা এ বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও পরোক্ষভাবে তাদের প্রতিনিধি ছিল।
ষষ্ঠ দফা বৈঠক শেষে সব দেশের প্রতিনিধিদল নিজ নিজ রাজধানীতে ফিরে গিয়ে অবশিষ্ট অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে যার যার দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভিয়েনা সংলাপে ইরানি প্রতিনিধিদলের প্রধান সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেন, পরবর্তী বৈঠকে একটি চূড়ান্ত চুক্তি সই করতে হলে প্রতিটি দেশকে কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ফাইল ছবি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন পত্রের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে লেখা এক পত্রে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
মমতা পত্রে উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ উন্নয়ন, শান্তি, ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করার পক্ষে রায় দেন।বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ভৌগোলিকভাবে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, একই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। ভবিষ্যতে এ আবেগ ও অনুভূতির সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পশ্চিমবঙ্গকে অন্য উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মমতা বলেন, আপনাদের শুভ কামনা এ যাত্রায় সহায়ক হবে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ কামালের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল বলেন, বহুগুণের অধিকারী শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে বিশেষ করে যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। শহীদ শেখ কামালকে একজন পরিপূর্ণ আলোকিত মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য সকলকে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের আলবেনীতে বসবাসরত শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামালের বড় বোন মিসেস খালেদা রহমান অনলাইনে যোগ দেন এবং মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণ করেন। সূত্র: যুগান্তর