a
ফাইল ছবি
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে ইরান। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশের পারমাণবিক প্লান্টের কাছে জনবিরল মরুভূমিতে এ মহড়া চালায় ইরান।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সোমবার ভোরে বুশের প্রদেশের দক্ষিণে এবং পারস্য উপসাগরের ওপরে এই মহড়া চালায়। এর আগে হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে ইরানের পানিসীমার মধ্যে ওমানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান।
যৌথ নৌ মহড়ায় উভয় দেশের কয়েকটি রণতরী, বেশ কিছু হেলিকপ্টার এবং ইরানে তৈরি ড্রোন অংশ নিয়েছিল। এ সময় ইরান ও ওমানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মহড়া পরিদর্শন করেন।
দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা, সাগরে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দুই দেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্ষমতাকে আরও মজবুত করতে এই মহড়ার উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়।
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান । ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় টানা কয়েকদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার তিনি আফগান ও কিরগিজ প্রেসিডেন্টর সঙ্গে ফিলিস্তিনে সম্প্রতি ইসরাইলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে আলাপ আলোচনা করেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইয়েনি শাফাক।
কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সদর জাপারোভের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, এরদোগান আশা করছেন আল-আকসা মসজিদ, গাজা ও ফিলিস্তিনিদের হামলাকারী ইসরাইলকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তার সঙ্গে তুরস্কের পাশে কিরগিজস্তানকে থাকতে অনুরোধ করা হয়।
এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি হামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানের যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে তুরস্ক পাশে রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন এরদোগান।
এর আগে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও আলোচনা করেন এরদোগান। গত বুধবার আলেজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এরদোগান। তিনি এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
ইসরাইলের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গত ৯ মে পবিত্র শবে কদরের নামাজ শেষে আল-আকসা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। এরপর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর নিশংস হামলায় এখন পর্যন্ত ৮৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন।
ছবি সংগৃহীত
বিএনপি শরিকদের সাথে নিয়ে এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার ঢাকা মহানগরে গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এবার এই কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে থাকবে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলগুলোও।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে দুটি গণমিছিল আলাদা আলাদা হবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি। যা বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দল ও জোট পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
এর আগে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক দফা’ আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী সব দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিএনপি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সূত্র: যুগান্তর