a পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার
ঢাকা শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩২, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২৩, ০৯:২০
পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি: শাহ মাহমুদ কুরেশি

ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ইসলামাবাদে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পিটিআই-এর টুইটার অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করা হয়।

পিটিআইয়ের টুইটারে বলা হয়, ‘পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে আবারও অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ইসলামাবাদের বাসভবন থেকে পুলিশের একটি বড় দল এসে হেফাজতে নিয়ে যায়।’

পিটিআই জানিয়েছে, কুরেশিকে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ওমর আইয়ুবের মতে, কুরেশি একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শেষে যখন বাড়ি পৌঁছান তখনই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। বক্তৃতায় তিনি দলের মধ্যে বিভক্তির খবর অস্বীকার করে ঘোষণা করেছিলেন যে তারা সাধারণ নির্বাচন দেরি হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।

এর আগে ১১ মে ইসলামাবাদ পুলিশ তাকে হিংসাত্মক বিক্ষোভে উসকানি দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে হেফাজতে নিয়েছিল। পরে ১৮ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুক্তির নির্দেশ দেয়।

এরপর ২৩ মে তারিখে কুরেশিকে মুক্ত করা হলে রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার তার আটকের আদেশ জারি করে। তখন তাকে আবার আদিয়ালা জেলের বাইরে থেকে পাঞ্জাব পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।

লাহোর হাইকোর্টের রাওয়ালপিন্ডি বেঞ্চ তার অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেওয়ার পর এবং তার আটকের আদেশ বাতিল করার পর অবশেষে ৬ জুন তাকে মুক্তি দিয়েছিল। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইন্দোনেশিয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৯
ইন্দোনেশিয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ে

সংগৃহীত ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে, ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে মুসলিম প্রধান দেশটি।

অনেক বাড়িঘরে পড়ে আছে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দেহ। যাদের মৃত্যুর সময় পাশে কেউ ছিল না। এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন অক্সিজেন সংকটে। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বিবিসির স্থানীয় সাংবাদিক ভালদিয়া বারাপুতরি বলছেন, গত দেড় বছরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় সংক্রমণ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে হয়ে উঠেছে নতুন আরেকটি হটস্পট।

ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত ২৬ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে।

অতি সংক্রামক ভারতীয় ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জাকার্তায় অগ্নিনির্বাপণ কর্মী উইরাওয়ানের কথা তুলে ধরা হয়। আগুন নেভানোর পরিবর্তে তিনি এখন করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার ও শেষকৃত্যের কাজ করছেন। গত এক বছরে আরও সাত সহকর্মীসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজ করছেন তিনি।

উইরাওয়ান বলেন, বেশির ভাগ মানুষ একা একা মারা যাচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে তারা হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা পাননি, নয়তো হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরাই ফোন করে এসব মানুষের খবর দিচ্ছেন।

করোনার সর্বশেষ ঢেউ আসার আগে উইরাওয়ান প্রতিদিন দুই-তিনটি মৃতদেহ কবর দেওয়ার জন্য ফোন পেতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন ২৪টি ফোন পাচ্ছেন।

ইন্দোনেশিয়ার পরিসংখ্যান গ্রুপ ল্যাপোর কোভিড-১৯ বলছে, জুন মাস থেকে এখনো পর্যন্ত ৪৫০ জন বাড়িতে মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে তারা সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন, কারণ হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করানোর জায়গা ছিল না।

মে মাসের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন ঈদের ছুটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে যাতায়াত করেছে।

বিদেশ থেকে যারা ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকছে তাদের কোয়ারেন্টাইন করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়াতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কখনও বন্ধ করা হয়নি। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আট দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি আগে ছিল ছিল পাঁচ দিন।

করোনায় দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৬৯ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

ইন্দোনেশিয়ার ভেতরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সবচেয়ে জনবহুল জাভা দ্বীপ। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সেখানকার একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে ৬৩ জন করোনা রোগী মারা গেছে।

এসব মৃত্যুর ঘটনা পুরো দেশকে শোকাহত করেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে সংবাদমাধ্যম মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছে। সূত্র: বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সেট টপ বক্স লাগবে টিভি দেখতে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১২
সেট টপ বক্স লাগবে টিভি দেখতে

ফাইল ছবি

আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের সেট টপ বক্স সরবরাহ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে সেট টপ বক্স না বসালে ১ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকদের টেলিভিশন দেখা বাধাগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের কেবল নেটওয়ার্কিং পদ্ধতি ডিজিটাল করা হবে। আর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরের সঙ্গে পুরনো ১১টি জেলা শহরের কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা হবে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এবং ড্রিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে দেশে ক্লিনফিড চালু করতে সহায়তা করায় কেবল অপারেটরদের ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়েই কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা করা হবে। কেবল অপারটেররা জানিয়েছেন, তারা ডিজিটাল ডিভাইস বসিয়েছেন। এখন গ্রাহকদের সেট টপ বক্স সরবরাহ করা হবে। গ্রাহকরা এই সেট টপ বক্স না বসালে ৩০ নভেম্বরের পর টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্থ হবে। কেবল অপারেটররা বলেছেন সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

সেট টপ বক্স নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেট টপ বক্সের দাম কেবল অপারেটররা একসঙ্গে নেবে না, সেটি ১২ থেকে ৩০ কিস্তিতে নেবেন। এটা গ্রাহকদের সঙ্গে তাদের বিষয়, এটা সরকার ঠিক করে দেবে না। সরকার থেকে মনিটরিংয়েরও প্রয়োজন নেই। কারণ চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। চাহিদা বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রাহক যদি চায় কেবল অপারেটরের কাছ থেকে না নিয়ে নিজেই বাজার থেকে কিনে নিতে পারবেন। সেপটপ বক্স নিয়ে কাউকে মনোপলি করতে দেব না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক