a
ফাইল ছবি
রাশিয়া দাবি করেছে, গত রাতে তারা দুইটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যা করতে ইউক্রেন এ হামলা করেছিল বলে মস্কো দাবি করে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইলেক্ট্রনিক রাডার ব্যবহার করে স্পেশাল সার্ভিস ড্রোন দুইটি প্রতিহত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় বলেন, এ সময় পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না।
এতে বস্তুগত কোনো জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।
রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে কেন্দ্রীয় মস্কোতে বুধবার ভোরের দিকে কিছু ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ১৬মে রবিবার এক জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির জরুরি সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগ্লু ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ওআইসির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের বাঁচাতে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সব প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
এদিকে ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদের (ওআইসি) ৫৭ সদস্যের এক জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে টেলিভিশনে রেকর্ডকৃত বক্তব্যে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান। পাশাপাশি সামরিক হামলা বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
রবিবার টানা সপ্তম দিনের হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জনই শিশু। আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।ফিলিস্তিনে সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতিতে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি। রোববার সংস্থাটির সদস্য ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠানের পর এক যুক্ত বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে কৌশলগত অপরাধের মাধ্যমে পরিস্থিতির অবনতির জন্য দখলদার শক্তি ইসরাইল সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সংকটের সমাধানে শিগগির ব্যবস্থা নেয়ার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে ফিলিস্তিনজুড়ে চলমান অস্থিরতা ও গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকায় ওআইসি সভাপতি সৌদি আরবের অনুরোধে রোববার জরুরি এই ভার্চুয়াল বৈঠক আহ্বান করা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উদ্বোধনী ভাষণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান আল-সউদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল নগ্নভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করছে। আমরা জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ইসরাইলের দখল করার নিন্দা জানাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘পূর্ব জেরুসালেম ফিলিস্তিনি ভূমি। আমরা এর কোনো ক্ষতি মেনে নেবো না।’
ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন বন্ধে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগের আহ্বান জানান। পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর ভিত্তি করে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার জন্য চেষ্টার আহ্বান জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি বৈঠকে তার ভাষণের শুরুতে ইসরাইলের ‘কাপুরুষোচিত হামলার’ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনতার জাগরণ স্পষ্ট করেছে, জেরুসালেম এক সম্মানিত সীমারেখা। আমাদের জনগণ ইসরাইলের ঘাতক যন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পন করবে না।’
মালিকি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের বলা প্রয়োজন, শেষদিন পর্যন্ত আমরা প্রতিরোধ করবো। দীর্ঘমেয়াদের দখলদারিত্বের মধ্যে আমরা চলছি। এটি সমস্যার ভিত্তি। কোনো ধারাবাহিকতা ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।’
বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলু তার ভাষণে বলেন, ‘পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিম তীর ও গাজায় সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য ইসরাইল এককভাবে দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো। এখানো আর কোনো বিবেচ্য বিষয় নেই। এখন সময় আমাদের একতা ও ঐক্যমত প্রদর্শনের। উম্মাহ আমাদের নেতৃত্ব ও সাহসের প্রত্যাশা করে এবং তুরস্ক প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ২০১৮ সালের প্রস্তাব অনুযায়ী বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তার ভাষণে উল্লেখ করেন। একইসাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধী ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ও সামরিক কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অধীনে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ তার ভাষণে ইসরাইলকে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল শুধু প্রতিরোধের ভাষাই বোঝে এবং ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের আত্মরক্ষায় এবং বর্ণবাদী এই শাসনের বৈষম্য প্রতিকারের পূর্ণ অধিকারী।’
গাজায় অবরোধ ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব উল্লেখ করে ইসরাইলি অপরাধের প্রামান্য দলিল সংগ্রহে একটি পেশাদার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি তার ভাষণে বলেন, ‘ইসরাইল গাজায় মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে।’তিনি আরো বলেন, ‘অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাসে এমন সময় আসে যখনকার সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ করে। এই সময় ইতিহাসের সঠিক পক্ষে থাকা জরুরি। এখনই সেই রকম এক মুহূর্ত। আমাদের উচিত হবে না ফিলিস্তিনি জনগণকে সংকটের মুখে ফেলে যাওয়া।’
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসাইন তার ভাষণে বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত হলেও আমরা দখলদার শক্তিকে আমাদের নিরবতার মাধ্যমে লজ্জ্বাজনকভাবে উৎসাহিত করে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলের শত্রুতামূলক তৎপরতা থেকে রক্ষায় ওআইসির উচিত কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো।’ গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে রবিবার পর্যন্ত ১৮১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৫২ জন। ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো এক হাজার দুই শ’ ২৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ছবি সংগৃহীত: অভিনেত্রী অঞ্জনার প্রথম জানাজা বিএফডিসিতে
নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি (বুধবার) বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে যান স্বজন ও চলচ্চিত্রের মানুষেরা। এ সময় শোকে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন