a প্যারিসের যে পানিতে করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে
ঢাকা বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্যারিসের যে পানিতে করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে



বুধবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৩২
প্যারিসের যে পানিতে করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে

বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে ফ্রান্সে পানিতে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে অনেকেই পাইপলাইনের পানি পান করা বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্যারিসের যে পানিতে করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে, তা জনসাধারণের পাইপলাইনে ব্যবহার করা হয় না। মূলত প্যারিসের বিখ্যাত সেইন নদী থেকে এ পানি উত্তোলন করে শুধু রাস্তা পরিষ্কার বা বাগানে ছিটানো হয়। এছাড়া প্যারিসের বিভিন্ন ফোয়ারাগুলোতেও এ পানিই ব্যবহার করা হয়। প্যারিস ওয়াটার সাপ্লাই অথোরিটি সেইন নদী থেকে এ পানি উত্তোলন করে।

সংস্থাটি জানায়, এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এতে মানুষের কোন সমস্যা হবে না। কারণ তাদের জন্য পানীয় জলের যে পাইপলাইনগুলো আছে, তার সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। সেগুলো সম্পূর্ণ একটি বিচ্ছিন্ন সিস্টেমে চলে। তাই আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ২৭টি স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল পৌরসভার পানির নমুনা। তার মধ্যে ৪টি নমুনায় সামান্য পরিমাণে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে প্যারিস ওয়াটার অথরিটি। নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কটি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আবারও ইরানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৩২
আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আবারও ইরানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব

ফাইল ছবি

সম্প্রতি আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এর অধীনে দেশ দুইটি আগামী দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। এ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় আলোচনা। এবার সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী জানালেন, শিগিগরই ইরানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে তার দেশ।

সৌদির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-জ্যাদান বলেন, ইরানে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সৌদির। এক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ কোনো বাধা হতে পারবে না বলে জানান।

আল-জ্যাদান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশের জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ইরানে সৌদি আরবের সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবও দেশটিকে সুবিধা দেবে। প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর কয়েক দিন আগে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান।

চীনের মধ্যস্থতায় অতি গোপনে কয়েক দিনের আলোচনার পর অবশেষে দূতাবাস ফের চালু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। সৌদি ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আমেরিকা ও ইসরাইল দুটি দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনে দুটি দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্কের পেছনে আমেরিকা-ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

পশ্চিমা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একে অপরের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ পাচার করছিল। ইরান-সৌদির নতুন সম্পর্ক এসব দেশগুলোর অনৈতিক স্বার্থ হাসিল অনেকাংশে কমে আসবে। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান ও তেলসমৃদ্ধ দুই দেশের এই পুনর্মিলন বিশ্ব ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে তা বলাই বাহুল্য। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছেই


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ১০:৪৯
পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছেই

ফাইল ছবি

 

পাহাড়ে যেভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সহিংস ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।গত মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়িতে সেনা টহল দলের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় দুজন সেনা সদস্য নিহত এবং দুজন সেনা কর্মকর্তা আহত হন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিলাইছড়ি উপজেলার জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ওই স্থানের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। টহল দলটি জারুলছড়িপাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে এবং এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে এক নতুন আতঙ্ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এই কেএনএ। এটি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি সামরিক শাখা। বছরখানেক আগে বান্দরবানে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। 

জানা যায়, কেএনএফের সামরিক শাখা কেএনএ’র শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়।

২০২১ সালে একটি দল ফিরে আসে প্রশিক্ষণ নিয়ে। এ দলের সদস্যরাই এখন সেনাবাহিনীর ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা যায় যে, কেএনএ সদস্যরা মিয়ানমার থেকে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও রসদ সামগ্রী পাচ্ছে। ফলে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাহাড়ে অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এসব সংগঠন চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ নানান ধরণের অপকর্মে জড়িত। আবার বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও এসব দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মূল কারণ।

তবে কেএনএ’র তৎপরতা শুধু এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের তৎপরতা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আগের পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন পার্বত্য এলাকা ছিল এক ভয়ের জনপদ। এটিই বড় চিন্তার বিষয়। কাজেই এ ধরনের সংগঠনগুলো কঠোরভাবে দমন করা সময়ের দাবি।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নির্মূলে পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সরকারসহ সমগ্র দেশবাসীকে এগিয়ে আসার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক