a
ফাইল ছবি। আশরাফ গনি
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
রাজধানী কাবুলে তালেবান প্রবেশের খবরে শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও সাধরণ মানুষ ভয়ে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাষ্ট্রপতি গনির একটি রেকর্ডেড ভাষণ প্রচার করা হয়। ওই ভাষণে তিনি তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছিলেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাবুলের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দ্রুত তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সিএনএন-এর এক খবরে বলা হয়েছে, কয়েকজন জ্যৈষ্ঠ তালেবান নেতাকে যুক্ত করে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
ফাইল ছবি
গাজার আল–আহলি হাসপাতালে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ গাজার আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরাইলের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলার জন্য চূড়ান্ত দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের।
বুধবার ভোরে টেলিগ্রামে মেদভেদেভ বলেন, গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে ভয়াবহ এই হামলা স্পষ্টতই একটি যুদ্ধাপরাধ।
তিনি আরও বলেন, এর জন্য চূড়ান্ত দায় তাদের ওপরই বর্তায় যারা বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন মহাদেশের যুদ্ধ থেকে উন্মত্তভাবে অর্থ আয় করে। যারা চিন্তাহীনভাবে অস্ত্রের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিতরণ করে। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার নামে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম চালানোর কথা ঘোষণা করে। (আর সেটি হচ্ছে) যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা হাসপাতালে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মধ্য গাজার আল–আহলি আরব নামের হাসপাতালে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আগেই কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাইডেন প্রশাসন। এবার মিয়ানমার থেকে কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিলো দেশটি। খবর রয়টার্স ও আনাদেলু এজেন্সির।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন গণতান্ত্রিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভে সামরিক সহিংসতার প্রাথমিক পর্যায় ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে আরো বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি কেথরিন টাই জানান, যতদিন না মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে। এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে চলা যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিলো, তা স্থগিত হয়েছে।