a ফিলিস্তিনে পরিস্থিতির অবনতিতে দায়ী ইসরাইল: ওআইসি
ঢাকা রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ফিলিস্তিনে পরিস্থিতির অবনতিতে দায়ী ইসরাইল: ওআইসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রবিবার, ১৬ মে, ২০২১, ১১:৪৭
ফিলিস্তিনে পরিস্থিতির অবনতিতে দায়ী ইসরাইল: ওআইসি

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ১৬মে রবিবার এক জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির জরুরি সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগ্লু ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ওআইসির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের বাঁচাতে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সব প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।  

এদিকে ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদের (ওআইসি)  ৫৭ সদস্যের এক জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে টেলিভিশনে রেকর্ডকৃত বক্তব্যে  সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান। পাশাপাশি সামরিক হামলা বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

রবিবার টানা সপ্তম দিনের হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জনই শিশু। আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।ফিলিস্তিনে সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতিতে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি। রোববার সংস্থাটির সদস্য ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠানের পর এক যুক্ত বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে কৌশলগত অপরাধের মাধ্যমে পরিস্থিতির অবনতির জন্য দখলদার শক্তি ইসরাইল সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সংকটের সমাধানে শিগগির ব্যবস্থা নেয়ার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে ফিলিস্তিনজুড়ে চলমান অস্থিরতা ও গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকায় ওআইসি সভাপতি সৌদি আরবের অনুরোধে রোববার জরুরি এই ভার্চুয়াল বৈঠক আহ্বান করা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উদ্বোধনী ভাষণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান আল-সউদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল নগ্নভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করছে। আমরা জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ইসরাইলের দখল করার নিন্দা জানাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘পূর্ব জেরুসালেম ফিলিস্তিনি ভূমি। আমরা এর কোনো ক্ষতি মেনে নেবো না।’

ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন বন্ধে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগের আহ্বান জানান। পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর ভিত্তি করে শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার জন্য চেষ্টার আহ্বান জানান তিনি।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি বৈঠকে তার ভাষণের শুরুতে ইসরাইলের ‘কাপুরুষোচিত হামলার’ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনতার জাগরণ স্পষ্ট করেছে, জেরুসালেম এক সম্মানিত সীমারেখা। আমাদের জনগণ ইসরাইলের ঘাতক যন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পন করবে না।’

মালিকি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের বলা প্রয়োজন, শেষদিন পর্যন্ত আমরা প্রতিরোধ করবো। দীর্ঘমেয়াদের দখলদারিত্বের মধ্যে আমরা চলছি। এটি সমস্যার ভিত্তি। কোনো ধারাবাহিকতা ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।’

বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলু তার ভাষণে বলেন, ‘পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিম তীর ও গাজায় সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য ইসরাইল এককভাবে দায়ী।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো। এখানো আর কোনো বিবেচ্য বিষয় নেই। এখন সময় আমাদের একতা ও ঐক্যমত প্রদর্শনের। উম্মাহ আমাদের নেতৃত্ব ও সাহসের প্রত্যাশা করে এবং তুরস্ক প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ২০১৮ সালের প্রস্তাব অনুযায়ী বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তার ভাষণে উল্লেখ করেন। একইসাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধী ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ও সামরিক কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অধীনে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ তার ভাষণে ইসরাইলকে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল শুধু প্রতিরোধের ভাষাই বোঝে এবং ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের আত্মরক্ষায় এবং বর্ণবাদী এই শাসনের বৈষম্য প্রতিকারের পূর্ণ অধিকারী।’

গাজায় অবরোধ ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব উল্লেখ করে ইসরাইলি অপরাধের প্রামান্য দলিল সংগ্রহে একটি পেশাদার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি তার ভাষণে বলেন, ‘ইসরাইল গাজায় মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে।’তিনি আরো বলেন, ‘অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’

পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাসে এমন সময় আসে যখনকার সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ করে। এই সময় ইতিহাসের সঠিক পক্ষে থাকা জরুরি। এখনই সেই রকম এক মুহূর্ত। আমাদের উচিত হবে না ফিলিস্তিনি জনগণকে সংকটের মুখে ফেলে যাওয়া।’

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসাইন তার ভাষণে বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত হলেও আমরা দখলদার শক্তিকে আমাদের নিরবতার মাধ্যমে লজ্জ্বাজনকভাবে উৎসাহিত করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলের শত্রুতামূলক তৎপরতা থেকে রক্ষায় ওআইসির উচিত কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো।’ গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে রবিবার পর্যন্ত ১৮১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৫২ জন। ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো এক হাজার দুই শ’ ২৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

ইসরাযেল যুদ্ধবিরতিতে আসতে বাধ্য হলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩, ০৯:২৬
ইসরাযেল যুদ্ধবিরতিতে আসতে বাধ্য হলো

ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েল দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক চাপে অবশেষে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিতে বাধ্য হলো। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে ইসরায়েল সরকার।

চুক্তির শর্তানুযায়ী, ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। বিনিময়ে ইসরায়েলেও তাদের জেলে বন্দি থাকা প্রায় সমসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এদিকে, বন্দি বিনিময় সাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে এখনো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।  সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন ও বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

লিবিয়ার পথে তুর্কি সেনারা: গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি। আমেরিকা নিরব!


খোরশেদ আলম:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১, ০৮:৪৯
লিবিয়ার পথে তুর্কি সেনারা: গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি। আমেরিকা নিরব

ফাইল ছবি । ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাসেম সোলেমানী

তুর্কি পার্লামেন্ট ২ জানুয়ারি লিবিয়ায় সৈন্য মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়ায় ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার টিকিয়ে রাখার লক্ষে তুর্কি সেনারা লিবিয়ার পথে রওয়ানা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর এএফপি’র। 

ন্যাটো সমর্থিত আন্দোলনে ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকেই লিবিয়ায় বর্তমানে বিশৃংখলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রশাসন একক ক্ষমতা গ্রহণ করতে লড়াই চালিয়ে আসছে। 

বর্তমানে ফয়েজ আল-সরাজের নেতৃত্বে ত্রিপোলি সরকার ক্ষমতা চালিয়ে আসলেও এপ্রিল মাস হতে সামরিকভাবে শক্তিশালী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতার বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে শিকার হয়ে আসছেন। এদিকে তুরস্কের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরব, মিশর, সংযোগ আমিরাত সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে খলিফার হাফতার বাহিনীকে সহযোগিতা করায় লিবিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রাণহানি ঘটছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দাবি, ত্রিপোলির পক্ষ থেকে সাহায্য চাওয়ায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকারের স্থিতিশীলতা আনতে সামরিক সহায়তা দিতে তাদের এ পদক্ষেপ। 

অপরদিকে তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি জানিয়েছে গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরাইল। প্রথমদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানালেও ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশের পর থেকে নিজেকে ও নিজের দেশকে রক্ষায় বর্তমানে সবচেয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকায় তুর্কি সৈন্য লিবিয়ায় মোতায়েনের ব্যাপারে ঐ তিন দেশের সাথে আর কোন উচ্চবাচ্য করছেননা। 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণ গ্রামের অসৎ মাতব্বরের সেই দুষ্টু ছেলেটির ন্যায়। যে পাশের ঘরে আগুন লাগিয়ে মাঁচার নীচে লুকিয়ে থাকার মতো। পাশের ঘর আগুন লাগালে সেই আগুন যে নিজের ঘরে লাগবেনা তা হলফ করে বলা যাবেনা। বর্তমানে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন ইরানের জেনারেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে শক্তি, সাহস ও নৈতিকতা সব থেকে নিজেকে আড়াল করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেমন- লিবিয়ায় তুর্কি সেনারা অবস্থান নেওয়ায়, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলে হুশিয়ারি দিলেও আমেরিকা একেবারে নিরব। 

অপরদিকে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ত্যাগের নির্দেশের পাশাপাশি কাশেম সোলামানিকে হত্যার পর পরই ভারত মহাসাগরে ও ওমান উপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে ইরান, চীন ও রাশিয়া। 

ইরাকের পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বিপরীতে ট্রাম্প ইরাককে অবরোধের হুমকি দিলেও জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা খুব একটা সহায়ক হবেনা। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই মুহুর্তে যুুক্তি বাদ দিয়ে হুমকি প্রদান করে কোন কাজ হবেনা।

এই মূহুর্তে ইঙ্গো-মার্কিন বলয়ের দেশগুলো বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের বিরাট হুমকির মধ্যে থাকলেও মার্কিনীদের সহযোগিতা আগের মতো আশা করা দূরুহ। ফলে উভয় সংকটের মাঝে তাদের বর্তমান অবস্থান পরিস্কার করাও খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের মাঝেই ভারতের নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে ফোন করেছেন। যদিও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন মোদি। পাকিস্তানও সতর্কতার সহিত তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। সৌদি আরব ও ওমান কাসেম সোলেমানিরক নিহতের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটানোর আহ্বান জানিয়েছে। 

এদিকে মালয়েশিার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহাথী ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্য করেছেন। তিনি সোলাইমানি হত্যাকে সৌদির সাংবাদিক খাসোগীর হত্যার মতোই বে-আইনী আখ্যা দিয়েছেন এবং সারা বিশ্বের মুসলমানকে এখন এক জোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন। 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ইরানের কুদস ফোর্সের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকান্ডকে বিনা জবাবে ছেড়ে দেযা ঠিক হবেননা। ইরানের চারপাশে রয়েছে অজস্র মার্কিন লক্ষ্যবস্তু। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে স্থাপিত যে কোন মার্কিন স্থাপনায়, সৈন্য, বিশেজ্ঞগণ ইরানের সহজ নিশানায়। 

এসব দেশে ইরান হুকুম না দিলেও সেখানে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়ানক হুমকি হিসেবেই কাজ করবে। ভীত সন্ত্রস্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হুমকি মনে করে গ্রিস সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে যান। উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়াসহ মার্কিনবিরোধী দেশগুলো তাদের অমীমাংসিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করলেও পূর্বের ন্যায় অপরাধী বা অপবাদী খ্যাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করার সুযোগ কমই থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। 

তারা আরও বলেন, লিবিয়ায় তুর্কি সেনাদের মোতায়েনে বর্তমানে আমেরিকার নিরবতা সেটাই প্রমাণ করে এবং অদূর ভবিষ্যতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামরিকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসসূহ। 

খোরশেদ আলম: কলাম লেখক ও বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকানিউজ২৪/প্রকাশ: জানুয়ারি ৭, ২০২০

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক