a
ফাইল ছবি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে ফ্রান্সে টিকা দেয়ার ব্যাপারে সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তার বিরুদ্ধে টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনগণকে টিকার আওতায় আনার জন্য বেশকিছু নিয়ন্ত্রণমূলক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই কট্টর ডানপন্থিরা এ বিক্ষোভ শুরু করেছে। খবর আরব নিউজের।
সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্য পাস, যা লোকজনকে কোন পাবলিক প্লেসে প্রবেশের আগে পুলিশকে প্রদর্শন করতে হবে।
এই স্বাস্থ্য পাসের মাধ্যমে প্রমাণ হবে ওই ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন অথবা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণেই প্রধানত জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং তারা বিক্ষোভে নেমে পড়েছে।
লোকজন বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিস্বাধীনতার মারাত্মক লঙ্ঘন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র কার্যকর পথ হচ্ছে টিকা গ্রহণ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছে, ফ্রান্স সরকারকে যোগাযোগ এবং শিক্ষার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, নিয়ন্ত্রণমূলক আইন এবং স্বাস্থ্য পাস নয়।
করোনার নতুন স্বাস্থ্যবিধিটি গত শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়। এটি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার সিনেট সভায় উত্থাপন করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার হুমকি এসেছে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন শহরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। খবর: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ জুন আত্মঘাতী হামলা চালানোর হুমকি সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছে আল-কায়েদা। তারা জানায়, নবী মুহাম্মদেরর সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার শহরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, কয়েক দিন আগে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা আল্লাহর শরিয়ার বিরোধী। মুহাম্মদ আল-মুস্তাফা, আহমেদ আল-মুজতবা এবং তার পবিত্র ও মহান স্ত্রী, সবার আস্থার সায়িদা আয়েশা বিন্তে আবু বকর সিদ্দিকের নামে ভারতীয় চ্যানেলে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে। এর কারণে বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ হয়েছে। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত, বেয়াদব মুখ বিশেষ করে হিন্দুত্ব সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে লড়ব আমরা। নবীর সম্মানের জন্য সবাইকে এই লড়াইয়ে শামিল হতে বলব।
ভারতের আলোচিত জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতে গত মাসে এক টেলিভিশন টকশোতে মহানবী (সা.) প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এ ঘটনা উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। বৃহস্পতিবার নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেন রাজ্য বিজেপির অপর নেতা নবীন কুমার জিন্দাল। যদিও পরে সেই টুইট মুছে ফেলেন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলায় দুটি গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছে। এতে পুলিশের ২০ কর্মকর্তাসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার পুলিশ সহিংসতার এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে ৪০ জনের ছবি প্রকাশ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি থেকে সন্দেহভাজনদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সহিংসতার পর দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল কানপুর পুলিশ। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাফর হায়াতসহ ৫০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রবিবার নুপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এরপরও বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও তোপের মুখে পড়েছে ভারত। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্তত ১৬টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এসব দেশ ভারত ও বিজেপি সরকারের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
প্রতিকী ছবি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের পঞ্চম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকসহ আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের মজিদ ঢালী কান্দি এলাকার আজাহার মোল্লার ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান মোল্লা (২৬) ও তার সহযোগী লতিফ ঢালীর ছেলে শরীফ ঢালী (২৭)। অপর আসামি শুকুর মাদবরের ছেলে কাশেম মাদবরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলাসূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাইদুর রহমান মোল্লার সাথে ঐ ছাত্রীর আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে প্রেমিক সাইদুর রহমান ও তার বন্ধু শরীফ ঢালী ঐ ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কৌশলের স্থানীয় কাশেম মাদবরের বাড়িতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সাইদুর রহমান। পরে বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি সব বলে দিলে জাজিরা থানায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত (১৭ মে) জাজিরা থানা পুলিশ সাইদুর রহমান ও শরীফ ঢালীকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।