a
ফাইল ছবি
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলংকা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন এক এমপিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮৯ জন।
সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসেসহ দেশটির মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এক এমপি ও এক বিক্ষোভকারীও রয়েছেন। এছাড়া আহতদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, কলম্বোর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ১৩৮ জনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে কলম্বোর নিতাম্বুওয়া এলাকায় বিক্ষোভকারীরা সরকারী দলের এক এমপির গাড়ি ঘিরে ধরেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান এমপি। এতে দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। পরে আহত দুইজনের মধ্যে একজন মারা যান।
সংবাদমাধ্যম এএফপিকে শ্রীলংকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই এমপি। পরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওই ভবনটি ঘিরে ফেললে এমপি নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের কুরুনেগালাস্থ বাসভবনসহ রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে দেশে চলমান আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে সরকারি সূত্র বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ দখল করে নেওয়ায় পূর্ব থেকে বিচ্ছিন হয়ে গেল রাজধানী কাবুল। রোববার সকালে শহরটি দখলের মধ্য দিয়ে কাবুল ছাড়া তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের বাকি সব প্রধান শহরের নিয়ন্ত্রণে এলো।
এর আগে শনিবার আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর উত্তরাঞ্চলীয় বলখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফসহ পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিয়া প্রদেশের রাজধানী গারদেজ, পাকতিকা প্রদেশের শারানা ও কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদ দখল করে নেয় তালেবান। জালালাবাদ দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের মোট ৩৪ প্রদেশের ২৩টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
জালালাবাদের গভর্নরের দফতরে নিজেদের অবস্থানের ছবি অনলাইনে পোস্ট করেছে তালেবান। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালেবানের জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আহমদ ওয়ালি নামের এক বাসিন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, 'সকালে ঘুম থেকে আমরা উঠে পুরো শহরে তালেবানের সাদা পতাকা দেখছি। কোনো প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই তারা প্রবেশ করেছে।'
জালালাবাদের এক আফগান সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে বলা হয়, প্রদেশের গভর্নর তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করায় কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই জালালাবাদ আফগান সরকারের হাতছাড়া হয়।
তিনি বলেন, 'তালেবানকে যাতায়াতের রাস্তা করে দেয়ার মধ্যেই একমাত্র বেসামরিক জনসাধারণের জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিলো।' জালালাবাদ তালেবানের দখলে যাওয়ায় মূলত: পূর্ব দিক থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী কাবুল।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগেই উত্তেজনা চরম আকারে পৌঁছে গেছে। বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেই এরূপ ঘটনা ঘটে থাকে। তবে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ থেকে ১৫ হাজার মাইল দূরের দেশ বাংলাদেশে এ দ্বৈরথ নিয়ে উন্মাদনা একটু বেশিই বলা চলে। বাগবিতণ্ডা, তর্ক ছাড়াও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে থাকে।
বিষয়টি সম্পর্কে ভালোই অবহিত ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আর্জেন্টাইন দূতাবাস।
আর্জেন্টিনার দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। তবে বাংলাদেশে যে আর্জেন্টিনার ভক্তের সংখ্যা অগণিত সে সম্পর্কে অবগত আছেন সেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উন্মাদনা সম্পর্কে তারা জানেন। আর তাই আর্জেন্টাইন দূতাবাসের কর্মকর্তারা ফাইনালে আর্জেন্টিনা দলের জন্য বাংলাদেশের আকুণ্ঠ সমর্থন চেয়েছেন।
এ বিষয়ে দিল্লিস্থ আর্জেন্টাইন দূতাবাস থেকে একটি প্রেস নোট এসেছে দেশের এক গণমাধ্যমে।
সেখানে তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশের নাগরিকবৃন্দকে আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে। আমরা জানি, বাংলাদেশে অসংখ্য আর্জেন্টাইন সমর্থক আছেন। মেসি ও নেইমারের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা।
আর্জেন্টাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের শুভেচ্ছা। অনুগ্রহ করে, উপভোগ করবেন দুর্দান্ত এই ফাইনাল খেলা। আমরা ফুটবল ভালোবাসি। এর উত্তেজনা ও সৌন্দর্য্যের চূড়ান্ত বিকাশে বিশ্বাসী। সারা বিশ্ববাসী এখন সুপার ক্ল্যাসিকোর ফাইনাল ম্যাচ মাঠে দেখবে।’