a
সংগৃহীত ছবি
বিশ্বে ২০ হাজার বছর আগেও করোনা মহামারি হয়েছিল। তখন পূর্ব এশিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিল এই মহামারি। মহামারিটির তীব্রতা এমন ছিল যে, এটি মানুষের ডিএনএ-র ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। এক নতুন গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক জার্নাল কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছিল এই গবেষণাপত্র। খবর সিএনএন’র।
অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা গবেষকরা জানতে পেরেছেন অতীতের মহামারির এসব কথা। মানুষের ওপর সেই মহামারির প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হয়েছিল তা বোঝার জন্য গবেষকরা বিশ্বের ২৬টি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রায় ২,৫০০ জনের জিনোম নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।
তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় ২০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়ার লোকেরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানব জিনোমের প্রথম মিথষ্ক্রিয়া হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল এবং এই মিথস্ক্রিয়াটি পূর্ব এশিয়ার আধুনিক সময়ের মানুষের ডিএনএতে কিছুটা জিনগত ছাপ রেখেছে।
গবেষকরা বলেন, ‘এই ভাইরাস ইন্টারেকটিং প্রোটিনসের (ভিআইপি) সংকেত পাওয়া গেছে মানুষের মাত্র পাঁচটি জাতির ক্ষেত্রে। তারা সবাই পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা, যা সম্ভবত করোনাভাইরাস প্রজাতির বিচরণের ক্ষেত্র ছিল। সেই তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক যুগের পূর্ব এশিয়ার মানুষ প্রায় ২০ হাজার বছর আগেই করোনাভাইরাসের দাপটের সম্মুখীন হয়েছিলেন।’
গবেষকরা দাবি করেছেন, পূর্ব এশিয়া থেকে যে একাধিক করোনা ভাইরাস মহামারির উৎপত্তি হয়েছিল, তার সপক্ষে একাধিক প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
ফাইল ছবি
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। এর ফলে দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার এই ঘোষণার পর পরই এবার ন্যাটোও একই পথ অনুসরণ করছে।
ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতি রেখে তারাও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ জানান, ন্যাটো তাদের ৭ হাজার সেনার সবাইকে প্রত্যাহার করে নিবে।
তিনি আরও জানান, ১ মে থেকে ‘রেসুলুট সাপোর্ট’ সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হবে এবং কয়েক মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন হবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগন আক্রমণের দুই দশক পরও সৈন্যদের সেখানে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
হোয়াইট হাউস ভাষণের যে উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে সেখানে বাইডেন বলছেন, “আমরা আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম কারণ ২০ বছর আগে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা কোনও যুক্তি হতে পারে না যে এই ২০২১ সালেও সেখানে কেন থাকব।”
বাইডেন বলেন, “আমাদের মিত্র এবং সহযোগী, সামরিক নেতা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, কংগ্রেস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিসের সঙ্গে নিবিড় শলাপরামর্শের পরে এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, এখনই সময় আমেরিকার এই দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটানোর।”
সঙ্গে জানান, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তানে কাজ করে যাবে এবং কাবুল সরকারকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
ফাইল ছবি : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এত দিন মিথ্যাচার করেছে, রিজার্ভে এত টাকা আছে, এত ডলার জমা আছে যে কোনো চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু এখন রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আইএমএফ থেকে কঠিন শর্তে সরকার ঋণ নিচ্ছে—যার ফলেই জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এতদিন সরকার মিথ্যাচার করেছে। এখন রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে সরকার আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির কাছ থেকে ডলার ঋণ নিচ্ছে।
আইএমএফের ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলেছে যেসব পণ্যে ভর্তুকি দিচ্ছ, সেসব বন্ধ করো। সেজন্য জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বিপু সাহেব বললেন জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়ানো হতে পারে, যা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর দাম দেড়গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন, বার বার বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারমধ্যে আজ সকালে দেখলাম কাঁচা মরিচের দাম তিনশ টাকা। মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার যে শুধু বিএনপির ওপরে আক্রমণ করেছে তা নয়, এই সরকার তার বেআইনি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যে দুর্নীতি শুরু করেছে, যে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে শুক্রবার (৫ আগস্ট) মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ভাগেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। যে ডিজেলের দাম ছিল ৮০ টাকা, তার দাম করেছে ১১৪টাকা। অকটেনের দাম ছিল ৮৮টাকা তার দাম করেছে ১৩৫টাকা। ফলে আজ (৬ আগস্ট) রাস্তায় যানবাহন কমে গেছে। এটার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে সারা দেশের অর্থনীতির ওপরে। দেশের সব মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া, চাল, ডাল তেলের দাম আবার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যাবে। মাঝখান থেকে আমাদের সাধারণ মানুষ যারা দিন আনে দিন খান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সূত্র: ইত্তেফাক