a
ফাইল ছবি
প্রতিদিনই ভারতে বাড়ছে করোনা রুগির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরও ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২ হাজার ৮০৬ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানা যায়।
২৬ এপ্রিল (সোমবার) সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৬ জন। ভারত আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ জন এবং বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার ৯৯ শতাংশ এবং মারা যাওয়ার হার ১ শতাংশ। ভারতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৯৪৪ জন এবং বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
ফাইল ছবি
অধিকৃত ফিলিস্তিনের পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরের পশ্চিমে বিশাল জঙ্গলে দাবানলের ভয়াবহ তাণ্ডব থামানোর চেষ্টা করছে ইসরায়েলের দমকল কর্মীরা।
আগুন নেভানোর জন্য ইসরায়েল ওই এলাকায় অন্তত ১১০টি অগ্নিনির্বাপক দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি আটটি বিমান আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
রবিবার এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয় এবং তিনদিনের প্রচেষ্টায় ইসরায়েল এখনও আগুন নেভাতে সক্ষম হয়নি। দাবানলে এরইমধ্যে জঙ্গলের বিশাল এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকটি কমিউনিটি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
১৯৪৮ সালে পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর এই পর্যন্ত যে কয়টি বড় দাবানলের ঘটনা ঘটেছে এটি তার অন্যতম প্রধান। আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলের খবর বলা হয়েছে, প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার আগুন নেভানোর জন্য সহযোগিতা চেয়ে গ্রিসকে অনুরোধ করেছে ইসরায়েল। এছাড়া, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ জানিয়েছেন, তিনি সম্ভাব্য সহযোগিতার জন্য সাইপ্রাস, ইতালি এবং ফ্রান্সকে অনুরোধ করেছেন।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত জানিয়েছেন, গ্রিস এবং সাইপ্রাস দমকল কর্মী পাঠাতে রাজি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ড থেকে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ায় জেরুজালেম শহর ছেয়ে গেছে। ইসরায়েলের অগ্নিকাণ্ড এবং উদ্ধার বিভাগের প্রধান দেদি সিমচি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্তকারীরা কাজ করছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়েছে।
এরইমধ্যে ওই এলাকার বহু লোকজনকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ইসরায়েলসহ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ আলজেরিয়া, সাইপ্রাস এবং তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।
সংগৃহীত ছবি
শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।
চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।
সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।