a
ফাইল ছবি
প্রতিদিনই ভারতে বাড়ছে করোনা রুগির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরও ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২ হাজার ৮০৬ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানা যায়।
২৬ এপ্রিল (সোমবার) সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৬ জন। ভারত আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ জন এবং বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার ৯৯ শতাংশ এবং মারা যাওয়ার হার ১ শতাংশ। ভারতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৯৪৪ জন এবং বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
ফাইল ছবি
ভারতের জম্মু বিমানবন্দরের বিমানবাহিনী স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে ২ জন আহত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে আজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
জম্মু বিমানবন্দরের রানওয়ে ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভারতীয় বিমানবাহিনী অধীনে রয়েছে। সেখান থেকে যাত্রীবাহী বিমানও চলাচল করে। সেই জায়গায় প্রযুক্তি বিভাগের কাছে রবিবার রাতে বিস্ফোরণ দু’টি ঘটে। রাত ১টা ৩৭ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণটি একটি ভবনের ছাদে ঘটে এবং দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে খোলা জায়গায় রাত ১টা ৪২ মিনিটে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ততটা তীব্র না হলেও, দু’কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটাতে ৪ কেজি ৭০০ গ্রাম মতো আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ছুড়ে এই হামলা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।
বিস্ফোরণে দু’টি বারাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিমানবাহিনীর কোনও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফরেনসিক দল এবং বোম্ব স্কোয়াড। এই ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
ফাইল ছবি
রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাড্ডা থানা–পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম চন্দন পার্সি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাড্ডা এলাকার ওই ভবনে চন্দন মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।
চন্দন পার্শির বন্ধু ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একই ব্যাচের আল-রাজী মাহমুদ অনিক বলেন, ' খুব শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি ও মিশুক ছেলে ছিল পার্শি। ওকে দেখে আমাদের কখনোই মনে হয়নি ও এমনটা করতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক্টিভ ছিলনা। আমরা ভেবেছি সামনে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু ওর বোন আজ আমাদের এক বন্ধুকে ফোন করে এই সংবাদ দেয়। এমন সংবাদ আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে। বেকারত্বের হতাশা থেকেই এমনটা করেছে বলেই পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা।'
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘থানায় সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন বছর তিনি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের পরিবার একমাত্র বোনের আয়ে চলছিল। এসব বিষয়ে তিনি প্রায় মানসিকভাবে পীড়িত হতেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।