a
ফাইল ছবি
দোনেৎস্ক বিমানবন্দরে একটি মপ-আপ অপারেশন সম্পন্নের পর সেখানে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের এম ৪ হাইওয়ের পেছনে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোনেৎস্ক পিপলস মিলিশিয়ার কর্নেল আর্টিওম জোগা।
সোমবার স্পার্টা পুনরুদ্ধার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য দেন। খবর তাস নিউজের।
তিনি বলেন, এর আগে সামরিক সংবাদদাতা সেমিয়ন পেগভ রিপোর্ট করেছেন যে, দোনেৎস্ক বিমানবন্দরের অঞ্চল শত্রু সেনা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা হয়েছে। আমি তার কথাগুলো নিশ্চিত করছি এবং দোনেৎস্ক বিমানবন্দরে শত্রুর শেষ শক্ত ঘাঁটি ধ্বংস করার ভিডিও ফুটেজ আপলোড করছি।
জোগা বলেন, বিমানবন্দরের সব বিল্ডিং ২০১৫ সাল থেকে ডিপিআর বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কিন্তু ওপিটনয়ে বন্দোবস্তের এলাকায় অবস্থানগুলো খালি রয়ে গেছে। বিমানবন্দরের মোট এলাকা ১০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি।
কর্নেল বলেন, ‘আমরা এক মাসেরও বেশি সময় আগে বিমানবন্দরের দখল নিয়েছিলাম, কিন্তু নিরাপদে থাকার জন্য শত্রু বাহিনীকে এম৪ হাইওয়ের পেছনে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
অপারেশনগুলো আর্চেঞ্জেল মাইকেল ব্যাটালিয়নের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছিল একটি পৃথক ট্যাংক ব্যাটালিয়নের ট্যাংকার এবং ২৩৮তম আর্টিলারি ব্রিগেডের আর্টিলারিম্যান, ঝোগা নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন। স্পার্টা ব্যাটালিয়ন ২০১৪ সালে তৈরি করা হয়েছিল, তারা স্লাভিয়ানস্ক ও দোনেৎস্ক বিমানবন্দরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আগামীতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। শনিবার লন্ডনে হোটেল ক্ল্যারিজে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানান, তার দেশ বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
সাক্ষাতের পর হোটেল ক্ল্যারিজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সাক্ষাতে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ছাড়াও দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
নির্বাচন নিয়ে আলাপের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলেন। তারাও চান একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।’ একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন— আমরাও চাই একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন। আর আমার দল (আওয়ামী লীগ) সবসময় গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন— আমরাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বলিষ্ঠ একটা অবস্থান তৈরি করেছি। আমাদেরও প্রতিশ্রুতি— আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সবাইকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অন্যরা যদি আমাদের সহযোগিতা করে তা হলে ভালো।’
বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যা যা করার তাই করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোট ছিল, সেই ভুয়া ভোট যাতে না হয়, সে জন্য বায়োমেট্রিক ফটোআইডি, ফটোযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন, কেউ যাতে আগে বাক্সে ব্যালট ঢুকাতে না পারে, সেই জন্য স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর অত্যন্ত স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া যত ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, স্বচ্ছ-সুন্দর করা হয়েছে।
ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়েস্টমিনস্টারে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সেটিতে আমরা বিশ্বাস করি। ওয়েস্টমিনস্টারের মতোই আমিও আমার দেশে প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করেছি। ব্রিটিশ এ সিস্টেম অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রতি বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর চালু করেছি।
রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগদান করায় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন জেমস ক্লেভারলি।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এ দেশে থাকেন। এরা অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেমস ক্লেভারলি বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটিশের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ব্যবসাবাণিজ্য সব দিক থেকে আমাদের সম্পর্ক বাড়ছে। গত কয়েক বছরে সেই সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথম জেল থেকে বের হয়ে এই লন্ডনে এসেছিলেন। তখন এ দেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। আর সেই থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ভালো সম্পর্ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, রানি সবসময় তার এবং তার ছোট বোনের (শেখ রেহানা) খোঁজখবর রাখতেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, শুক্রবার ‘কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। রাজা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান।
আবদুল মোমেন জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা যে মানবিকতা দেখিয়েছেন, নির্যাতিত লোকদের সাহায্য করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
ব্রিটিশমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। আগামীতেও তারা এ সমস্যা যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান হয়, সেই জন্য যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে আছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করে ব্রিফিংয়ে আবদুল মোমেন বলেন, ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজুলেশন আনে। তারা এই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই রেজুলেশন তখন পাশও হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ সৌজন্য সাক্ষাতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির সঙ্গে তার স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
শনিবার লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে টেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সাম্প্রতি সময়ে আলোচিত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রলায়ের পিএস এর কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন এবং হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: নূরে আলম আব্দুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ মে ২০২১ সোমবার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জনাব রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে সেখানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক যিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানাবিধ অনিয়ম সম্পর্কে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে আসছিলেন তাঁকে হেনস্তা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম তাঁর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গোপনে সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-এর একান্ত সচিবের কক্ষে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তুলছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর নথি সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ যেখানে সাধারণত অপেক্ষমান দর্শনার্থীরা অবস্থান করেন, সেখানে ফেলে রাখা দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার শামিল। প্রশ্ন জাগে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর গোপনীয় নথি তাঁরা কীভাবে অনিরাপদে রাখলেন? ফলে, স্পষ্টত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ হয় দায়িত্বে অবহেলা করেছেন অথবা তাঁদের উত্থাপিত দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জনমনে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া একজন সাংবাদিক কোনো অন্যায় করলে তাঁকে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ না করে প্রায় ০৬ ঘন্টা মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখে নির্যাতন করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
এমতাবস্থায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং একই সাথে সাংবাদিক জনাব রোজিনা ইসলামকে আইনগত সুরক্ষা প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।