a
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দুটি বিমানঘাঁটির একটিতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবং অন্যটিতে রকেট হামলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার এধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছে, সামরিক জান্তা সরকার অবৈধভাবে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার পর দীর্ঘ তিন মাস পর প্রথম এ ধরণের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলো। এ হামলার ঘটনা এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমারের সামরিক সরকার।
জানা গেছে, দেশটির ম্যাগওয়ে কেন্দ্রীয় শহরের পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের বিমানঘাঁটিতে প্রথমে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর ম্যাগওয়ের উত্তর-পূর্বে মেকটিলায় অবস্থিত দেশটির অন্যতম প্রধান বিমানঘাঁটিতে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়।
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকার সীমান্তে মেক্সিকোর শহর রেনোসায় গালি চালিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে রাস্তার ১৮ পথচারীকে হত্যা করে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মতো ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আততায়ী পলাতক। বেশকিছু মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে। পুলিশ আততায়ীর খোঁজে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে একটি এসইউভি গাড়ি চড়ে আততায়ী গুলি ছুড়তে ছুড়তে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রেনোসার একাধিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। তবে সীমান্ত অঞ্চল সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডারগার্ড, সেনা ও পুলিশ গোটা এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়া বা কার্টেলদের সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
অন্য আরেক ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনিও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকো প্রশাসন জানিয়েছে, আততায়ীকে ধরার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে কেন, কে এভাবে গুলি ছুড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক শ্রমিকদের বড় একটি অংশই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কে প্রায় ২৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পাশাপাশি গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শুক্রবার সকালে সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কগুলোতে এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে। তাই বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কেউ আবার বাসের অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কেউবা চলতি গাড়িতেও নানা ঝক্কি-ঝামেলা ঠেলে ওঠে যাচ্ছেন। তবে, যাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল গণপরিবহন। তাই অনেকেই ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
অপরদিকে, সাভারের চারদিকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। তিনটি সড়কের ২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে যানবহনের জটলা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের দুই লেনে পল্লীবিদ্যৎ এলাকা থেকে জিরানী পর্যন্ত আট কিলোমিটার যানজট। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বাইপাইল থেকে জামগড়া ও ধাউর থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যানজট।
অন্যদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাড়কে গাড়ির চাপ না থাকলেও গাবতলী থেকে ৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন