a
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দুটি বিমানঘাঁটির একটিতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবং অন্যটিতে রকেট হামলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার এধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছে, সামরিক জান্তা সরকার অবৈধভাবে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার পর দীর্ঘ তিন মাস পর প্রথম এ ধরণের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলো। এ হামলার ঘটনা এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমারের সামরিক সরকার।
জানা গেছে, দেশটির ম্যাগওয়ে কেন্দ্রীয় শহরের পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের বিমানঘাঁটিতে প্রথমে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর ম্যাগওয়ের উত্তর-পূর্বে মেকটিলায় অবস্থিত দেশটির অন্যতম প্রধান বিমানঘাঁটিতে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়।
ফাইল ছবি । নরেন্দ্র মোদি
মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দাড়ি কাটার জন্য ১০০ রুপি মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী কিছু বাড়াতেই চান তাহলে দাড়ি নয়, দেশে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করুন। করোনা টিকার সংখ্যা বাড়ান।
ওই চা বিক্রেতা মহারাষ্ট্রের বারামাটির বাসিন্দা। তারা নাম অনিল মোরে। ইন্দ্রপুর রোডে এক বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে ছোটখাটো একটি চায়ের দোকান চালান তিনি। এ বিষয়ে অনিল বারবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় থেকে এই কাজ করেননি।
অনিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। যদি কিছু বাড়াতেই হয় তাহলে সেটা হওয়া উচিত দেশের কর্মসংস্থান। পাশাপাশি দেশে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হোক। বাড়ানো হোক হাসপাতালের সংখ্যা। গত দুটি লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষকে যে দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত যাতে মানুষ এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে চেষ্টা করা।”
অনিল আরো বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্থানই যে সর্বোচ্চ তা ভাল করেই জানেন তিনি। তার মতে, “আমি তাকে একশ’ রুপি পাঠিয়েছি, যাতে উনি নিজের দাড়িটা কেটে ফেলেন। কিন্তু উনি আমাদের মহান নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তার অবমাননা করার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই। কিন্তু যেভাবে মহামারীর কবলে পড়ে দিনের পর দিন দেশের গরিব মানুষের সমস্যা বেড়েই চলেছে, তাতে এভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
উল্লেখ্য, নিজের চিঠিতে মোদির কাছে অনিলের আরো আরজি ছিল যে, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে লকডাউনে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকেও দেওয়া হোক ৩০ হাজার টাকা।
ফাইল ছবি
আবারও ভারতে দ্রুত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। শনিবার (২৪ ঘণ্টায়) দেশটিতে ৬২ হাজার ৬৩১ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন করোনায় মৃত্যুবরণ করেন ৩১১ জন।
আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬২৪ জন। আর এ ভাইরাসে মারা গেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৬২ জন