a মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় মেক্সিকোতে ১৫ জন নিহত
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় মেক্সিকোতে ১৫ জন নিহত


নাঈম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৪ মে, ২০২১, ০৮:৫০
মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় মেক্সিকোতে ১৫ জন নিহত

ফাইল ছবি

মেক্সিকোতে মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জন এবং  গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে ট্রেনসহ মেট্রোরেলের সেতু ধ্বসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনবিসি নিউজ ও রয়টার্স

ট্রেনসহ মেট্রোলাইন-১২ এর একটি সেতু ধ্বসে পরায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ৩০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লাউডিয়া শেইনবাম বলেছেন, দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ভেঙে পড়া অংশের নিচে একটি গাড়ি এখনও আটকে রয়েছে। 

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় শেইনবাম জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে হতাহত মানুষ এখানে রয়েছেন। আমি দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কমান্ড সেন্টারে সহায়তা করছি। মেক্সিকোর বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মোসাদের সাবেক প্রধানের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৯:২২
মোসাদের সাবেক প্রধানের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

ফাইল ছবি

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেনের গোপন চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হলো। তথ্য সূত্রে জানা যায়, এক ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের সহিত অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কোহেন। আর সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে ইয়োসি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের স্বামী নিজেই। চ্যানেল থার্টিন নামে একটি ইসরায়েলি টিভি চ্যানেলের বরাতে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। গাই শিকার নামের ওই ব্যক্তি জানান, তার স্ত্রী কোহেনের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমে ইসরায়েলের অনেক গোপন তথ্য পাচার করেছে। অনেক গোপন তথ্য নিজের অবৈধ প্রেমিকাকে বলতেন কোহেন। আর তাদের এই অবৈধ সম্পর্ক শুরু হয় ২০১৮ সালের শেশের দিকে।

অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মোসাদ প্রধান কোহেন। তিনি বলেছেন, যা বলার এখতিয়ার তার ছিল না তেমন কোনো কিছুই কোথাও প্রকাশ করেননি। এদিকে কোহেনের এই তথ্য ফাঁসের পুরো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি আগামী বৃহস্পতিবার প্রচার করবে চ্যানেল থার্টিন নামে এক গণমাধ্যম।

ওই ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের স্বামী আরো জানিয়েছেন, মোসাদের নানাবিধ কর্মকাণ্ড, বিশ্বজুড়ে চালানো অপারেশন, নিজের ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াসহ নানা স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করেন কোহেন।

ইসরায়েলের পুঁজিবাজারের পরিচিত মুখ গাই আরও বলেন, কোহেন তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সময় ইরানের ওপর ইসরায়েলে নানা গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড নিয়েও বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করেছেন।

ইসরায়েল যে ইরানের নাতাঞ্জ পারমানবিক কেন্দ্রের ভূগর্ভে সেন্ট্রিফিউজ নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করে দেয় সে তথ্যও ফাঁস করে দেন কোহেন। এরপর তাকে মোসাদ প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোহেন মোসাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর কখন কোন দেশ ভ্রমণ করেছেন সে তথ্যও পাচার করেছেন তিনি। এ নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন হিব্রু ভাষায় প্রচার করবে ইসরায়েলি টেলিভিশন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫২
ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবকে বশে আনতে এ ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রি একটি কৌশলগত চাল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি অংশ।

তবে এই উদ্যোগে এক বড় বাধা আসে — ইসরায়েলের “গুণগত সামরিক সুবিধা” (Qualitative Military Edge, QME)। আমেরিকা পুরনো রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিশ্চিত করে ইসরায়েলকে বলেছে যে ইসরায়েল তার প্রতিবেশীদের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে সব সময় এগিয়ে থাকবে, যা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার একটি মূল ভিত্তি।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হলে ইসরায়েলের এই কৌশলগত অগ্রাধার্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইসরায়েলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্রয়কে সৌদির সঙ্গে স্বীকৃতি ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করুক। বিশেষ করে তারা চায় যে সৌদি আরব যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় — যেমন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস — তাহলে এফ-৩৫ বিক্রয় অনুমোদন করুক।

তারা যুক্তি দেয় যে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রি করা হলে এটি “বিরূপ ফল” হতে পারে এবং একটি কূটনৈতিকভাবে এটি ইসরায়েল যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে।

আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির দিক: পেন্টাগন এবং গোয়েন্দা মহল সতর্ক করেছেন যে, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ প্রযুক্তি সৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং তাদের বৈদেশিক অংশীদারিত্বের কারণে চীনের হাতেও পড়তে পারে।

এমন উদ্বেগ অন্যবারও এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর জন্য স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রতিপাদ্য ছিল — কারণ ফাইভ্থ জেনারেশন বিপ্লবী সেন্সর, স্টিলথ এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।


ট্রাম্পের এই দাবি কূটনৈতিকভাবেও বড় তাৎপর্য বহন করে: তিনি সৌদিকে এফ-৩৫ বিক্রি করার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের এক পথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন বলে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন।

ট্রাম্প একাধিক বার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌদি-ইস্রায়েল নর্মালাইজেশনকে উৎসাহিত করতে চান, এবং এফ-৩৫ বিক্রয় তার সেই কূটনীতি পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে।

সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি মর্যাদাপূর্ণ এবং শক্তিশালী অবস্থান গড়ার সুযোগ। তারা স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক ও স্টেলথ প্রযুক্তি পায় এবং এফ-৩৫-এর মাধ্যমে তাদের এয়ার ফোর্স সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি তাদের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় — বিশেষ করে ইরান ও অন্য প্রতিবেশী শক্তিগুলোর সঙ্গে — বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে, সৌদির স্বীকৃতি ও নর্মালাইজেশনের ইস্যু তাদের ফিলিস্তিনি অবস্থানের সঙ্গে জড়িত। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে আরব শান্তি পরিকল্পনা (Arab Peace Initiative) জোর দিয়েছে, যেখানে তারা বলে যে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।

এমন স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না পেলে, ইসরায়েল চুক্তিতে আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে — যেমন এমন এলাকা যেখানে বিমান স্থাপিত হতে পারবে না বা সীমাবদ্ধ সংখ্যক বিমান বিক্রি।

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এফ-৩৫ বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ দৃষ্টিকোণ থেকে সুগভীর প্রশ্ন তোলে। একদিকে, এটি মার্কিন-সৌদি সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং সৌদির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে; অন্যদিকে, এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ, অঞ্চলীয় শীতলীকরণ এবং সেন্সর-স্টিলথ প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

সবমিলিয়ে, ট্রাম্পের এফ-৩৫ বিক্রয় পরিকল্পনা কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি, নিরাপত্তা ভারসাম্য এবং শক্তি ভবিষ্যতের একটি প্রতীকী চেয়ে বেশি: এটি একটি কৌশলগত বাজি, যেখানে অস্ত্র বিক্রয়, সম্পর্ক স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ একসাথে যুক্ত হচ্ছেতেই। তবে প্রক্রিয়াটি কতটা সফল হবে, তা এখনও ওপেন প্রশ্ন — বিশেষ করে যদি কংগ্রেসের বাধা, ইসরায়েলের চাহিদা এবং প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকিগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। সূত্রঃ আল জাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক