a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে নতুন সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটির তিনটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। তালেবান সরকারপ্রধান হচ্ছেন মোল্লা বারাদার তালেবানের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব ও শের মোহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানেকজাই সরকারের জ্যেষ্ঠ পদে বসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হবে আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর)। এরইমধ্যে মন্ত্রিসভার চার সদস্যের নামও ঘোষণা করেছে তালেবান। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ এবং মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মধ্যেই ক্ষমতা গ্রহণের তিন সপ্তাহের মাথায় অবশেষে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এখন চলছে তালেবান সরকার গঠনের সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুতি।
সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনদজাদা হবেন দেশটির প্রধান নেতা। তার ডেপুটি থাকবেন তিনজন। তারা হলেন শীর্ষ নেতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার, প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজিুদ্দিন হাক্কানি এবং মৌলবী ইয়াকুব। এছাড়া আগেই ঘোষিত চার মন্ত্রী হলেন, অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।
গেল ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করে নেয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে, পানশিরে নিয়ন্ত্রণে নিতে তালেবান ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। আর কাজের অধিকারের দাবিতে হেরাতে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’
‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’
‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’
‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’
‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি
ফাইল ছবি
সৌদি আরব আকাশ পথ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েলের জন্য। কি কারণে এ নিষিদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের জন্য সৌদির আকাশপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ওই বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব আকাশ পথ ব্যবহারের অনুমতি দেয় ইসরায়েলকে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি আরো জানায়, সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে আমিরাতের উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষমান ফ্লাইট বাতিল করা হয়।