a
সংগৃহীত ছবি
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ দখলের খুব কাছে চলে এসেছে তালেবান বাহিনী। এমনকি ইতোমধ্যে একটি টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করার দাবিও করেছে তারা। মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা অভিযানের অন্যতম কেন্দ্র ছিল হেলমান্দ। এটির পতন হলে বড় ধাক্কা খাবে আফগান সরকার। লস্করগাহের বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী। বিমান হামলা সত্ত্বেও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাজপথে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।
আজ সোমবার (৩ আগস্ট) এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। লস্করগাহের পতন হলে ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো প্রাদেশিক রাজধানী এই তালেবানদের দখলে যাবে।
এর আগে গত রোববার কান্দাহারের বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে তালেবান। ওই হামলার পর থেকে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে তারা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কান্দাহার জয় করলে তালেবানদের যুদ্ধে জয়ী হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেবে তালেবানরা।
ফাইল ছবি: ইরান ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলে
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
এদিকে, ইসরাইলের দাবি করেছে, শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ওদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, তাদের অভিযান হবে সীমিত। কিন্তু হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সেনাদের এ দাবিকে অস্বীকার করেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি সময়ের মুখোমুখি তার দেশ। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলকে সুরক্ষিত রাখতে প্রস্তুত। হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া। এসব দেশ যদি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ এক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে, গাজায় উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে মঙ্গলবার তারা কমপক্ষে ২৯ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
এ নিয়ে গত বছর ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪১,৬৩৮ জন। জর্ডান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নিলস আদলার বলছেন, দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। আম্মানের আকাশের ওপর দিয়ে তা উড়ে যায়। তবে এবার তার অনেকগুলোকে আকাশে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, গাজা, হিজবুল্লাহ ও লেবাননের মতোই শোচনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নিরাপদ রাখতে এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করতে ইসরাইলকে সমর্থন করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের কাছে রাস্তায় গোলাগুলি হয়েছে। তাতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে। তবে সংখ্যা জানা যায়নি। সূত্র:মানবজমিন
ছবি সংগৃহীত : মহান মে দিবস
আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উত্সর্গ করেছিলেন এবং এই আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আন্দোলনে শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি মিললেও আজও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে দেশে দেশে সমাজে সমাজে আন্দোলন করতে হয়। দেশে দেশে শ্রমিকেরা আজও বঞ্চিত, নি:গৃহীত। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি একটি বিরল ঘটনা এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি।
দিবসটি সরকারি ছুটি। মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের জন্য সংগ্রামী চেতনায় উদ্ভাসিত একটি দিন এই মহান মে দিবস। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উত্পাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সূত্র: ইত্তেফাক