a যুক্তরাষ্ট্রে পাতাল রেলওয়ে ষ্টেশেনে গোলাগুলির পর পেন্টাগন লকডাউন
ঢাকা সোমবার, ৭ পৌষ ১৪৩২, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যুক্তরাষ্ট্রে পাতাল রেলওয়ে ষ্টেশেনে গোলাগুলির পর পেন্টাগন লকডাউন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৪ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:২৫
যুক্তরাষ্ট্রে পাতাল রেলওয়ে ষ্টেশেনে গোলাগুলির পর পেন্টাগন লকডাউন

ফাইল ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের একেবারে নিকটে একটি পাতাল রেলওয়ে স্টেশনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপরই মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, পাতাল রেলওয়ে স্টেশনের বেশ কয়েকটি এলাকায় গোলাগুলি হয়। এ সময় ওয়াশিংটনের আরলিংটনের কাছে পেন্টাগনের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কয়েকজন আহত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগণের প্রধান প্রবেশ পথ রয়েছে।

এক টুইট বার্তায় পেন্টাগনের নিরাপত্তা বহিনীর প্রধান বলেন, ট্রানজিট সেন্টারের একটি ঘটনায় পেন্টাগন লকডাউন করা হয়েছে এবং সাধারণ লোকজনকে আক্রান্ত এলাকাটি এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ইসরায়েল গাজায় শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ করেছে: এইচআরডব্লিউ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১২ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:৩৩
ইসরায়েল গাজায় শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ করেছে: এইচআরডব্লিউ

সংগৃহীত ছবি

চলতি বছরের মে মাসে ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় লড়াই হয়েছিল হামাসের ও ইসরায়েলি সেনাদের। সেই লড়াইয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বা ‘ওয়ার ক্রাইমে’র অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

ঘটনার ২ মাস পর এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থাটি। হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। চলতি আগস্টে হামাসের বিষয়েও একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে। সে সময় গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। এতে বহু নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ওই ১১ দিনে ইসরায়েলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস। যার ফলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, টি-ব্যাগে বিপজ্জনক ধাতু বিদ্যমান


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ‍মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৩
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, টি-ব্যাগে বিপজ্জনক ধাতু বিদ্যমান

ছবি: সংগৃহীত


নিউজ ডেস্ক: বাজারে বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় একাধিক ‘টি-ব্যাগে’ সিসা, ক্যাডমিয়াম, পারদ, আর্সেনিক ও ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিপজ্জনক মাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধাতুগুলো স্থিতিশীল ও অজৈব হওয়ায় সহজেই শরীরে প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তনালি ক্ষতি, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, লিভার, কিডনি ও ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ্যত্ব ও শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ‘ব্রিউইং টক্সিনস : এক্সপোসিং দ্য হেভি মেটাল হ্যাজার্ড ইন টি-ব্যাগস অ্যান্ড ড্রাইড লুজ টি’ শীর্ষক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণাটি করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘এনভায়রনমেন্ট ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (এসডো)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় এসডো কার্যালয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
 এ সময় জানানো হয়, দেশের ৯৬ শতাংশের বেশি মানুষ প্রতিদিন চা পান করে। তবে ৯৯ শতাংশ মানুষ জানে না যে, টি-ব্যাগের উপকরণে ভারী ধাতু থাকতে পারে। ৯০ শতাংশ মানুষ কখনোই টি-ব্যাগ ও চা-পাতার লেবেল বা সার্টিফিকেশন দেখে না। ল্যাব পরীক্ষায় টি-ব্যাগ ও চা-পাতা-উভয় ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিরাপদ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত পাওয়া গেছে; যা অনেক মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলছে। দুর্বল নিয়মকানুন ও কার্যক্রর প্রয়োগ না থাকায় ভোক্তারা সুরক্ষিত নয়।

গবেষণায় স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা ১৩টি নমুনা (১২টি টি-ব্যাগ এবং একটি চা-পাতা) পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় ভারী ধাতু রয়েছে। পরীক্ষায় টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে ক্রোমিয়াম সর্বোচ্চ ১,৬৯০ পিপিএম (নিরাপদ সীমা ৫ পিপিএম), সিসা ৫১ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা ৫ পিপিএম), পারদ ১০৮ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা শূন্য দশমিক ৩ পিপিএম) এবং আর্সেনিক ১৪ পিপিএম (সীমা ২ পিপিএম) পাওয়া গেছে। টি-ব্যাগে এ ধরনের ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়মিত চা পানকারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসডোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ বলেন, ‘এটি ভোক্তা অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।’

গবেষণায় টি-ব্যাগ থেকে চা-পাতা আলাদা করার পর ভারী ধাতু অ্যান্টিমনি (সর্বোচ্চ ১৫৪ পিপিএম) পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নগণ্য পরিমাণে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম শনাক্ত হয়েছে। তবে ইতিবাচকভাবে চা-পাতার পরীক্ষায় আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক এবং কোবাল্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও পাওয়া গেছে, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রতিবেদনে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ৩ হাজার ৫৭১ জনের মতামত নেওয়া হয়, যা দেশের সাধারণ মানুষের চা পানের অভ্যাস ও চা কেনার সচেতনতা তুলে ধরে। জরিপে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ এবং ১৭ শতাংশ ৪ বা তারও বেশি কাপ, ১০ শতাংশ ৫ কাপ বা তার চেয়ে বেশি এবং ১৮ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন এক কাপ চা পান করে। কিন্তু উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ধারণা রাখে যে টি-ব্যাগে ভারী ধাতু থাকতে পারে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তা দেয়। আমরা আগে জানতাম না টি-ব্যাগের প্যাকেজিং এত ঝুঁকি বহন করে। গবেষণার সময় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা সমন্বয় করলে ভালো হতো। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের অংশগ্রহণমূলক গবেষণা করা জরুরি।’ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)-এর সহকারী পরিচালক ইসমাত জাহান বলেন, ‘এমন যুগান্তকারী গবেষণাকে স্বাগত জানাই। আমরা দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। তবে আমাদের অবশ্যই দেশীয় চাশিল্পকে টিকিয়ে রাখা ও বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে।’ বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মারূফ মোহায়মেন বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক গবেষণা। এটি আমাদের আরও গবেষণা করার দরজা খুলে দিয়েছে।’

খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, ‘আমাদের আরও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।’

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, ‘যদি আমরা চায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তবে এটি মানুষের জন্য শারীরিক ঝুঁকি তো বটেই, মানসিক চাপও তৈরি করবে। আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে বিষাক্ত ভারী ধাতু প্রবেশ করার পথ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। আমাদের উদ্দেশ্য দোষারোপ নয়, বরং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে সংকট মোকাবিলা করা।’

প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো-বাগান, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিক্রয় পর্যায়ে নিয়মিত চা পরীক্ষা এবং এর ফলাফল স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা। মাটি ও বাগান ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং কৃষিতে ভারী ধাতু আনতে পারে-এমন ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো। চা জাতীয় সব পণ্যের নিরাপত্তা লেবেল ও সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা প্লাস্টিক ও পিইটি টি-ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং নিরাপদ বিকল্প চালু করা। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক