a
ফাইল ছবি
সৌদি সাংবাদিক এবং মার্কিন বাসিন্দা জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও ওয়াশিংটন পোস্ট পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ওয়াশিংটনের আদালতে জামাল খাগোসি হত্যা নিয়ে চলমান মামলায় অভিযুক্তদের তালিকা থেকে প্রিন্স সালমানের নাম বাদ দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় খাসোগিকে। এজেন্টদের দিয়ে এই হত্যা স্বয়ং সৌদি যুবরাজ করিয়েছেন বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
এদিকে, হত্যা থেকে সৌদি যুবরাজকে দায়মুক্তির খবরে জামাল খাসোগির বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস টুইটারে লিখেছেন, 'আজ জামালের আবারও মৃত্যু হলো!'
তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'আমরা ভেবেছিলাম হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যায়বিচারের একটি আলো আসবে, কিন্তু আবারও অর্থেরই জয় হলো। জামাল এই বিশ্বকে জানে না এবং আমি...!'
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী এবং সুপ্রতিষ্ঠিত নীতির অধীনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই আইনগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জামাল খাগোসি সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে আরবের শাসকগোষ্ঠী নিয়ে কলাম লিখতেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একটি লরির ভেতর থেকে ৪২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সবাই অভিবাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান আন্তোনিও শহরের উপকণ্ঠে একটি লরিতে এসব মানুষকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খবর: বিবিসি। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, লরির ভেতর থেকে আরও অন্তত ১৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড বলেছেন, নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিউইয়ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে গাড়ির চালক পলাতক। সান আন্তোনিওর পুলিশ কর্মকর্তারা চালককে ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহর মার্কিন-মেক্সিকান সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দূরে অবস্থিত। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এসব মানুষের মৃত্যুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, বাইডেনের ‘উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফলাফল’ এটি।
বিবিসি জানিয়েছে, কীভাবে এসব মানুষ মারা গেল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় এবং স্থানীয় পুলিশ এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
সোমবার আফগানিস্তানে চূড়ান্তভাবে শেষ হয় মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর।
এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।
এদিকে, তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে কাবুল ত্যাগের ফলে সব সামরিক বিমান নিজ দেশে ফেরত নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সেখানে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখেছে, যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যেসব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল, সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, ফেলে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।
এছাড়া ৭০টি সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।
৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ