a
ফাইল ছবি
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে হঠাৎ পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী রোমান লেশচেঙ্কো। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের এক মাস পূর্তির দিনই তার এই পদত্যাগের খবর সামনে এলো। তবে রোমান লেশচেঙ্কোর পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। খবর রয়টার্সের।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা মাইকোলা সোলস্কিকে কৃষিমন্ত্রী হিসেবে লেশচেঙ্কোর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বড় কৃষি পণ্যের উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গোটা বিশ্বের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে রোমান লেশচেঙ্কো বলেছিলেন, ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর ইউক্রেনের কৃষি উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যেতে পারে। রাশিয়ার অভিযানের কারণে আবাদি দেড় কোটি হেক্টর জমি ৭০ লাখ হেক্টরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান সহায়তা চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে রাজি নয় বলে খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে এনেছে রাশিয়া। তারা দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক জৈব কর্মসূচিতে অর্থ যোগান দিয়েছে। রাশিয়া আরও অভিযোগ করেছে— ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত জৈব সামরিক কর্মসূচিতে অ্যানথ্রাক্স, প্লেগের রোগের মতো জীবানু রয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দপ্তর পেন্টাগন, রাশিয়ার এসব অভিযোগ ‘হাস্যকর’ হিসেবে মন্তব্য করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগ তুলে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেছেন, ইউক্রেনে তারা জৈব কর্মসূচি গ্রহণের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও অভিযোগ করেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের সশস্ত্র বাহিনী অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্লেগ, কলেরা, অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র রাশিয়ার এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান
ফাইল ছবি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যোন্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের ঘাতক দুই কমান্ডারকে হত্যা করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ইরাকের উত্তরাঞ্চলের এরবিল থেকে আমেরিকা ও ইসরায়েলের সেসব কমান্ডারকে হত্যা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ক্র্যাডেল’ এই খবর প্রকাশ করে।
একটি শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্র থেকে তারা খবরটি জানতে পেরেছে বলে দাবি করে।
‘দ্য ক্র্যাডেল’ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান চালায় এবং তাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর রেড হর্স ইউনিটের কমান্ডার ৫৫ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেমস সি. উইলিস এবং ইসরায়েলের নাহাল ব্রিগেডের কর্মকর্তা ৪২ বছর বয়সী কর্নেল শ্যারন অ্যাজম্যান নিহত হন। তবে আমেরিকা ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এসব কমান্ডার কয়েকদিনের ব্যবধানে আলাদা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
পেন্টাগন দাবি, উইলিস গত ২৭ জুন কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে যুদ্ধ-বহির্ভূত ঘটনায় মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পেন্টাগন।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস উইলিসকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২১০তম রেড হর্স স্কয়াড্রনের কমান্ডার বলে চিহ্নিত করেছে। এই স্কয়াড্রনে ১৩০ জন সদস্য রয়েছে যারা উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও অভিযান চালাতে সক্ষম।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, কর্নেল অ্যাজম্যান মারা গেছেন ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে ফিটনেস প্রশিক্ষণের সময় গত ১ জুলাই। ২৫ বছরের সামরিক জীবনে তিনি লেবানন ও গাজা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
তবে এসব রিপোর্ট নাকচ করে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ক্র্যাডেল বলেছে, উইলিস ও অ্যাজম্যান দু’জনই নিহত হয়েছেন ইরাকের এরবিল অঞ্চলে। জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি ক্র্যাডেল।
চলতি বছরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে লক্ষ্য করে ইরাকে কমপক্ষে দু’টি হামলা পরিচালনা করেছে। সূত্র: প্রেস টিভি, দ্য ক্রাডেল