a
ফাইল ছবি
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও এধরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানান কিরবি। একটি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।
জন কিরবি বলেন, ইউক্রেনে যে কোনো দিন রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে অবস্থানরত সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে যে কোনো সময়ে আক্রমণ করার মতো রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জন কিরবি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মধ্যে আমেরিকা ইউরোপে আরও তিন হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশ পোলান্ডে পাঁচ হাজার সেনার সমাবেশ ঘটাতে যাচ্ছে আমেরিকা।
আগেই ইউরোপজুড়ে ৮০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণসাগরে ৩০টির বেশি যুদ্ধজাহাজের তৎপরতাকে রাশিয়া প্রশিক্ষণ মহড়া বলে জানায়। কিন্তু জন কিরবি বলছেন, এ মহড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মর্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সতর্কবার্তা জারির পর ইউক্রেনে অবস্থানরত আমেরিকার নাগরিকদের জন্য পোল্যান্ড তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লোরিডা ন্যাশনাল গার্ডের ১৬০ সদস্যকেও সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। এসব গার্ড ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।
ফাইল ছবি
মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার গত ৮ মার্চের ঘোষণায় ধারাবাহিকতায় ১ মে থেকে পর্তুগালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সংবাদ সম্মেলনে জাতির উদ্দেশে বিস্তারিত জানান।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্পেনের সঙ্গে বন্ধ থাকা বর্ডার খুলে দেওয়া হবে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বেকারিসমূহ খোলা থাকবে রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত।
রেস্টুরেন্টে একই টেবিলে ৬ জন ও বাইরে সর্বোচ্চ ১০ জন বসতে পারবে, শপিংমল রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সুপারমার্কেট সাধারণ দিনে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনে খোলা থাকবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ১৫ দিন পর পর পর্যালোচনা করা হবে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে, না হলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। সেই সাথে পর্তুগালের চলমান জরুরি অবস্থা আজ ৩০ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাস মহামারির কঠিন পরিস্থিতির পর দেশটি শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের সবচেয়ে কম করোনা সংক্রমণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পর্তুগালে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৪ জন।
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ১৫৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬৮৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২৪৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।