a
ফাইল ছবি
‘প্রায় ভেঙে পড়া’ বৈশ্বিক নিরাপত্তা স্থাপত্যকে ঠিক করার জন্য নতুন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কারণ হিসেবে জানান, দেশটির পূর্বাঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পশ্চিমাদের কাছে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের নতুন নিরাপত্তা গ্যারান্টির জন্য জাতিসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যদের একটি বৈঠক প্রস্তাব করতে চেয়েছিলাম। যেখানে রাশিয়া, জার্মানি ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার পারমাণবিক সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে রাশিয়া। এই পদক্ষেপকে রাশিয়ার ‘তুষ্টির নীতি’ উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন জেলেনস্কি।
তিনি এমন এক সময় মিউনিখে ভ্রমন করেছেন যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘাত শুরু হয়েছে এবং গোলাবর্ষণে ইতিমধ্যে ২ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। বিষয়টি উল্লেক করে জেলেনস্কি বলেন, গত আট বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা সেনাবাহিনী ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।’
জেলেনস্কি ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য ‘স্পষ্ট, সম্ভাব্য সময়সীমা’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মস্কো বলেছে যে এটি তার নিরাপত্তার জন্য একটি বিপজ্জনক।
তবে ইউক্রেনের নেতা এও বলেছেন যে, রুশ প্রেসিডেন্ট কী চান তা জানতে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তিনি দেখা করতে ইচ্ছুক।
ছবি সংগৃহীত: অমিত শাহ
কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টা চালানোর পেছনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে কানাডীয় সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কানাডার আগের অভিযোগগুলোকেও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে ভারত সরকার তা বাতিল করে দিয়েছিল। খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের শিখ নেতাকে হত্যা বা তাদের হত্যাচেষ্টায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
কানাডার কর্মকর্তারা যে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের হত্যাচেষ্টায় অমিত শাহের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন, সে খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে। এতে বলা হয়, কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ওপর সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পেছনে অমিত শাহের হাত রয়েছে।
কানাডার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন গতকাল (২৯.১০.২০২৪) মঙ্গলবার এক সংসদীয় প্যানেলকে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমটিকে অমিত শাহের জড়িত থাকার বিষয়ে বলেছেন।
কমিটিকে মরিসন বলেন, ‘সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, এ ব্যক্তি সেই ব্যক্তি কিনা। আমি নিশ্চিত করেছি, এই সেই ব্যক্তি।’ তবে মরিসন এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ–সংক্রান্ত কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করেননি তিনি।
অটোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেয়নি।
খালিস্তানপন্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে ভারত সরকার। দেশটি তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খালিস্তানপন্থীদের ‘হুমকি’ বলে মনে করে। শিখ আন্দোলনকারীরা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খালিস্তান নামে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে বিদ্রোহ চলাকালে শিখ সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনাও ঘটে।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর শিখ দেহরক্ষীর হাতে খুন হওয়ার পর সেই দাঙ্গা হয়েছিল। খালিস্তানপন্থী শিখ আন্দোলনকারীদের উৎখাত করতে পবিত্র শিখ মন্দিরে অভিযান চালানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার পরই ইন্দিরা গান্ধী হত্যার শিকার হন।
গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ২০২৩ সালে কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভারতের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতাদের হত্যার লক্ষ্য বানানোর অভিযোগ ওঠার এই ঘটনাটি একমাত্র নজির নয়। অর্থাৎ এরকম আরও ঘটনা আছে।
নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক এক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার নাম বিকাশ যাদব। গুরপতবন্ত সিং পান্নুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক এবং ভারতীয় সমালোচক। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়কে চেকপ্রজাতন্ত্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাসিন্দার ওপর এ ধরনের হত্যাচেষ্টা নিয়ে সতর্ক করেছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারত ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের তদন্ত করবে। তবে এ ঘোষণার পর এ নিয়ে ভারত এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে খুব কম কথাই বলেছে।
এই দুই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেকটা খারাপ। সূত্র: প্রথম আলো
এক ইসরায়েলি সাবেক সেনা কমান্ডার দাবি করেছেন, হামাসের বিপক্ষে এরইমধ্যে ইসরায়েল হেরে গেছে। আইজ্যাক ব্রিক নামের ওই ইসরাইলি মেজর জেনারেল হিব্রু সংবাদমাধ্যম মারিভে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনি দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যাচার করতে পারেন না।’
ওই জেনারেল লিখেছেন, ‘গাজায় এবং হিজবুল্লাহর বিপক্ষে কী ঘটছে, তা অচিরেই কিংবা কিছুটা পরে আমাদের মুখে চুনকালি মেখে দেবেই। এটা হবে ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এরই মধ্যে হামাসের সাথে হেরে গেছি। আমরা এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় আমাদের বিশ্ব মিত্রদেরও হারিয়ে দিয়েছি।’
আইজ্যক আরো বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য কোনো রকম প্রস্তুতই ছিলো না। সামনে তাদের জন্য আরো হাাজারো কঠিন পরিস্থিতি আসন্ন। আর তা হবে গাজা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘যদি আমরা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে এটা জনগণের কাছে ইসরায়েলের বড় পরাজয় হিসেবেই গণ্য হবে।’ তার মতে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন