a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে ইসরায়েলের অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে ‘বেপরোয়া’।
দিমিত্রি মেদভেদেভ বর্তমান রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ প্রধানের দায়িত্বে আছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে বিভিন্ন মন্তব্য করে বেশ আলোচনায় আছেন তিনি।
সোমবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘মনে হচ্ছে ইসরায়েল ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্ত ‘খুবই অপরিণামদর্শী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা রাশিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে সকল আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নষ্ট করে দিবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করে। কিন্তু মেদভেদেভের মন্তব্য নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রবাসী (ডায়াস্পোরা) বিষয়ক মন্ত্রী ন্যাসম্যান শাই রবিবার এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর পক্ষে কথা বলেন।
ইসরায়েলের এই মন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ইরান রাশিয়ায় ব্যালেস্টিক মিসাইল পাঠাচ্ছে এমন খবর বের হয়েছে। সুতরাং এই রক্তাক্ত সংঘাতে ইসরায়েলের কোথায় অবস্থান নেওয়া উচিত, তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইসরায়েলের কাছ থেকেও ইউক্রেনের অস্ত্র নেওয়ার সময় এসেছে।’ ইউক্রেন যুদ্ধে ইসরায়েল রাশিয়ার নিন্দা জানালেও কিয়েভকে এখন পর্যন্ত অস্ত্র দেয়নি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বলেছেন, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য তাদের তুরস্ককে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি তুরস্কের সরকারপন্থি দৈনিক ‘তুর্কিয়া’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাদের সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা আফগানিস্তানের প্রতিটি অঞ্চলের পুনর্গঠন করব। এ ব্যাপারে আমাদের তুরস্কের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”
তালেবানের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “তুরস্ক আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বিশ্বের একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী দেশ তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বেও তুরস্কের উঁচু মানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।… আফগানিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ককে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করা চলে না।”
এর আগে কাবুল দখলের একদিন পর গত ১৬ আগস্ট তুরস্কের ক্ষমতাসীন সরকারের নিউজ চ্যানেল ‘তুর্ক খবর’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহাইল শাহিন বলেছিলেন, “তুরস্ক আমাদের কাছে একটি ভ্রাতৃপ্রতীম ইসলামি দেশ হিসেবে বিবেচিত।” তিনি আরও বলেন, “তুরস্কের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।”
এরপর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ১৯ আগস্ট তালেবানের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, তিনি হয়তো অচিরেই তালেবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা মোতায়েন ছিল। কিছুদিন আগে এরদোগান বলেছিলেন, তার দেশের সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সেসময় তালেবান কাবুল দখল না করলেও আফগানিস্তানের বিশাল অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
তুরস্কের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রস্তাব সম্পর্কে তালেবান তখন আঙ্কারাকে উদ্দেশ করে বলেছিল, আফগানিস্তানে যেকোনো বিদেশি সেনাকে ‘শত্রুসেনা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অবশ্য পরবর্তীতে পানি অনেক দূর এগিয়েছে এবং দুই দেশের কৌশলগত দিকও পরিবর্তন হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় যেতে পারলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের একটি ছায়া সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) তিন পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া সকল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
সেই সঙ্গে সামরিক জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রোহিঙ্গাদের সাহায্য প্রার্থনাও করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। পাশাপাশি, দেশটিতে বিদ্যমান ১৯৮২ সালের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মিয়ানমারে জন্ম নেয়া বা বিশ্বের যেকোনও স্থানে জন্ম নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সন্তানদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এনইউজি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা মিয়ানমারের জনগণ।
অপরপক্ষে, বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকার। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় আট শতাধিক মানুষ, বন্দি করা হয়েছে কয়েক হাজার। সূত্র: মিয়ানমার নাউ