a
সংগৃহীত ছবি
জগতের ভালো মানুষের বদৌলতে আমি আপনি এখনও রাস্তায় বের হলে নিজেকে সেভ মনে করি। গোটা বিশ্ব যখন করোনার প্রাদুর্ভাব আর অভাব অনাটনে কাতরাচ্ছে। ঠিক তখনই বাসায় খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে রাস্তায় টাকাভর্তি ব্যাগ পেলেন এক ডেলিভারি বয়। তবে সেই টাকা আসল মালিককে ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অজিত নামের ওই যুবক। ৩ জুলাই কলকাতার বেলেঘাটায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, অজিতের সততায় মুগ্ধ কলকাতা পুলিশ তাকে পুরস্কৃত করার চিন্তা ভাবনা করেছে।
সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, গত ৩ জুলাই বেলেঘাটা প্রধান সড়ক দিয়ে খাবার নিয়ে গ্রাহকের বাসায় যাওয়ার পথে সিআইটি মোড়ের কাছে অজিত একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। তুলে দেখেন, তাতে রয়েছে বেশ কিছু দরকারি নথি আর ১০ হাজার ২০০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে বেলেঘাটা থানায় যান তিনি। পুলিশ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন সেই টাকার ব্যাগ। পরে পুলিশ আসল মালিককে ফোন করে থানায় এনে টাকা ফেরত দেয়।
সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় অজিতের হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে পুরস্কৃত করার জন্য নাম প্রস্তাব করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাননি অজিত। তার ভাষ্য, রাস্তায় এমন কিছু পেলে তো পুলিশকেই দেয়া উচিত। অন্য কোনো কিছু মাথাতেই আসেনি।
ফাইল ছবি
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। এর ফলে দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার এই ঘোষণার পর পরই এবার ন্যাটোও একই পথ অনুসরণ করছে।
ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতি রেখে তারাও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ জানান, ন্যাটো তাদের ৭ হাজার সেনার সবাইকে প্রত্যাহার করে নিবে।
তিনি আরও জানান, ১ মে থেকে ‘রেসুলুট সাপোর্ট’ সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হবে এবং কয়েক মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন হবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগন আক্রমণের দুই দশক পরও সৈন্যদের সেখানে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
হোয়াইট হাউস ভাষণের যে উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে সেখানে বাইডেন বলছেন, “আমরা আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম কারণ ২০ বছর আগে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা কোনও যুক্তি হতে পারে না যে এই ২০২১ সালেও সেখানে কেন থাকব।”
বাইডেন বলেন, “আমাদের মিত্র এবং সহযোগী, সামরিক নেতা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, কংগ্রেস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিসের সঙ্গে নিবিড় শলাপরামর্শের পরে এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, এখনই সময় আমেরিকার এই দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটানোর।”
সঙ্গে জানান, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তানে কাজ করে যাবে এবং কাবুল সরকারকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
ফাইল ছবি
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। রাজপথেই ফয়সালা হবে। আর আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাই রাজপথেই ফয়সালা হবে।
আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যাওয়ার পর যে রাজনীতি আসবে, তা ভিন্ন রাজনীতি। রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। শুধু একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আজকের আন্দোলন।
নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, তাকে বসানোই হয়েছে কারচুপির নির্বাচন করার জন্য ৷ এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই রেজিমকে সরাতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামী লীগের নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। এটা বাতিল করতে হলেও সবার ঐকমত্যে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করল। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার তাদের অধিকার নাই। সূত্র: ইত্তেফাক