a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের চুহুভ শহরে রুশ বাহিনী ১০ দফা ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ার ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার একটি স্কুল ও বহু বেসামরিক ভবন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি জাদুঘরও।
সোমবারের এ হামলায় খারকিভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের শহরটি বিধ্বস্ত হয়। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর এস থ্রি হান্ড্রেড অ্যান্টি ক্রাফট মিসাইলে বিধ্বস্ত হয় একটি স্কুল ও বহু বেসামরিক ভবন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি জাদুঘর। আবর্জনার নিচে তিন জন জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই উদ্ধারে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে চলছে অনুসন্ধানের কাজ।
এদিকে দোনেৎস্কে বিমান হামলা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বাখমুত, ক্রমাতোরস্ক, চাসিভ ইয়ার, স্লোভিয়ানস্ক শহরে চলছে একটানা হামলা। আক্রমণ করা হচ্ছে আশপাশ এলাকাগুলোতেও।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া বিরামহীন হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেনে। এ যুদ্ধে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটলেও দুপক্ষের কেউ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে আসেনি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি । নরেন্দ্র মোদি
মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দাড়ি কাটার জন্য ১০০ রুপি মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী কিছু বাড়াতেই চান তাহলে দাড়ি নয়, দেশে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করুন। করোনা টিকার সংখ্যা বাড়ান।
ওই চা বিক্রেতা মহারাষ্ট্রের বারামাটির বাসিন্দা। তারা নাম অনিল মোরে। ইন্দ্রপুর রোডে এক বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে ছোটখাটো একটি চায়ের দোকান চালান তিনি। এ বিষয়ে অনিল বারবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় থেকে এই কাজ করেননি।
অনিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। যদি কিছু বাড়াতেই হয় তাহলে সেটা হওয়া উচিত দেশের কর্মসংস্থান। পাশাপাশি দেশে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হোক। বাড়ানো হোক হাসপাতালের সংখ্যা। গত দুটি লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষকে যে দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত যাতে মানুষ এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে চেষ্টা করা।”
অনিল আরো বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্থানই যে সর্বোচ্চ তা ভাল করেই জানেন তিনি। তার মতে, “আমি তাকে একশ’ রুপি পাঠিয়েছি, যাতে উনি নিজের দাড়িটা কেটে ফেলেন। কিন্তু উনি আমাদের মহান নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তার অবমাননা করার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই। কিন্তু যেভাবে মহামারীর কবলে পড়ে দিনের পর দিন দেশের গরিব মানুষের সমস্যা বেড়েই চলেছে, তাতে এভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
উল্লেখ্য, নিজের চিঠিতে মোদির কাছে অনিলের আরো আরজি ছিল যে, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে লকডাউনে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকেও দেওয়া হোক ৩০ হাজার টাকা।
সংগৃহীত ছবি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকালে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর পদ্মা সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জ হয়ে সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। ১০টা ৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান।
এরপর সেখানে শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে সেখানে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও দুঃস্থ মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদান বিতরণ করেন। এরপর ৩ দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করেন। সূত্র: যুগান্তর