a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের চুহুভ শহরে রুশ বাহিনী ১০ দফা ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ার ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার একটি স্কুল ও বহু বেসামরিক ভবন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি জাদুঘরও।
সোমবারের এ হামলায় খারকিভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের শহরটি বিধ্বস্ত হয়। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর এস থ্রি হান্ড্রেড অ্যান্টি ক্রাফট মিসাইলে বিধ্বস্ত হয় একটি স্কুল ও বহু বেসামরিক ভবন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি জাদুঘর। আবর্জনার নিচে তিন জন জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই উদ্ধারে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে চলছে অনুসন্ধানের কাজ।
এদিকে দোনেৎস্কে বিমান হামলা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বাখমুত, ক্রমাতোরস্ক, চাসিভ ইয়ার, স্লোভিয়ানস্ক শহরে চলছে একটানা হামলা। আক্রমণ করা হচ্ছে আশপাশ এলাকাগুলোতেও।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া বিরামহীন হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেনে। এ যুদ্ধে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটলেও দুপক্ষের কেউ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে আসেনি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকে থাকতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এর মধ্যে জার্মানি অন্যতম।
এবার প্রকাশ্যে এল দেশটির ভেতরের খবর। ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে এখন নিজেই সংকটে পড়েছে জার্মানি।
জানা গেছে, এখন জার্মানির কাছে আর মাত্র প্রায় ২০ হাজার অতি শক্তিশালী বিস্ফোরক আর্টিলারি শেল অবশিষ্ট আছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোপন নথির বরাত দিয়ে এই তথ্য সামনে এনেছে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অতি শক্তিশালী বিস্ফোরক আর্টিলারি শেল জরুরি ভিত্তিতে ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বাজেট কমিটিকে বোঝানোর জন্য ওই নথি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। আর এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানির মতো অন্যান্য মার্কিন মিত্ররা হাউইৎজারের ব্যবহারের জন্য ১৫৫ এম আর্টিলারি রাউন্ড ইউক্রেনকে ব্যাপকভাবে সরবরাহ করে চলেছে। আর এতেই এসব দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য গোলাবারুদের মজুদ নিচে নামছে।
ডের স্পিগেল লিখেছে, জার্মানির সামরিক বাহিনীকে ২০৩১ সালের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার আর্টিলারি শেলের মজুদ প্রস্তুত রাখতে হবে। মূলত সামরিক জোট ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা মেনেই এটা করতে হবে যাতে ব্যাপক যুদ্ধ বাঁধলেও ৩০ দিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট আর্টিলারি হাতে থাকে। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
আগামী মাসগুলোতে কামান এবং ট্যাংক গোলাবারুদের জরুরি ক্রয়ের জন্য নয়টি চুক্তি বাজেট কমিটির সামনে উপস্থাপন করবে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, লিখেছে ডের স্পিগেল। সূত্র: রয়টার্স
ফাইল ছবি
বিপর্যয় সামলিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ফাইনালের মহারণে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়েছে দাসুন শানাকার দল।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে নানা উত্থান-পতনের পর পাকিস্তানকে ১৭১ রানের বড় টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে সেই বড় রান তাড়া করতে গিয়ে খেই হারায় বাবর আজমের দল। লঙ্কান বোলারদের তোপে রিজওয়ান ও ইফতেখার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য স্কোর করতে পারেননি। রিজওয়ান করেছেন ৪৯ বলে ৫৫ আর ৩১ বলে ৩২ রান করেছেন ইফতেখার।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে প্রমোদ মাদুশান। বাবর আজমের উইকেট নেওয়ার মধ্য দিয়েই তিনি পাকিস্তান শিবিরে ভাঙন ধরান। পরের বলেই ফখর জামানকে সাঁঝ ঘরে পাঠান শূন্য রানে।
এরপর ইফতেখার-রিজওয়ান জুটি পাকিস্তানকে খেলায় ফেরালেও আবারও ভাঙন ধরান মাদুশান। ইফতেখারকে তুলে নিয়ে তিনি আবারও লঙ্কানদের নিয়ে আসেন চালকের আসনে। সবমিলিয়ে এই লঙ্কান বোলার ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও পাকিস্তান শিবিরে ধস নামিয়েছেন ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে স্পিন ভেল্কিতে তিনিও নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাকি তিন ইউকেট ভাগ করে নিয়েছেন চামিকা করুণারত্নে ও মহেশ থিকসানা।
পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে। এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলংকা ২৩ রানে হারায় পাকিস্তানকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন