a
ফাইল ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা কমে এসেছে। যা সম্ভব হয়েছে লকডাউনের কারণে। এমনটিই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর এনডিটিভি
বরিস জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা কমিয়েছে লকডাউনের ফলে। এই বিধিনিষেধ শিথিল হলে আবারও বাড়বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
তিনি আরও জানান, সংক্রমণ কমলেও অর্থনীতি পুনরায় চালুর যে রোডম্যাপ আগে ঘোষণা করা হয়েছিল সরকার সেখান থেকে সরে আসবে না।
এ প্রসঙ্গে জনসন আরও বলেন, ‘আমরা যদি সব কিছু খুলে দেই তাহলে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে আমরা আরও সংক্রমণ দেখতে পাব এবং দুঃখজনকভাবে আমরা হাসপাতালে আরও রোগী ও মৃত্যু দেখতে পাব।’
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল। মোট জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার হারের ক্ষেত্রে বিশ্বে ইসরায়েলের পরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। তবে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে জানুয়ারি মাসে পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করে বলে জানায় দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১২৩ জনের।
ফাইল ছবি
তুরস্কের সীমান্তে ২৯৫ কিলোমিটার কংক্রিটের দেয়াল তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আফগানিস্তানে নতুন করে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটি ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার নাগরিক। বেশিরভাগ মানুষ প্রতিবেশী দেশ ইরান হয়ে তুরস্ক ঢোকার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে শরণার্থীর চাপ সামলাতে নিজের সীমান্তে বিশাল প্রাচীর তৈরির কাজ করে যাচ্ছে তুরস্ক।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার আগেই কয়েকটি পরিবার ইরান হয়ে তুরস্ক ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের একজন সিবিএস নিজউকে জানান, তুর্কি সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো অর্থ ও খাদ্য নেই।
পাকিস্তান ও ইরান শরণার্থী ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক শরণার্থী তুরস্ক ঢুকতেছিলেন। তাই দেশটি শরণার্থীদের চাপ সামলাতে সীমান্তে ১০ ফুট উচ্চতার দেয়াল তুলছে।
ফাইল ছবি
বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলন আজ শুরু হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মহামারী ইস্যু গুরুত্ব পাচ্ছে। গতকালই ইতালির রোমে পৌছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত থাকছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর সিএনএন ও রয়টার্স
করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের সম্মেলনের আগে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা শুক্রবার আলোচনা করেছেন কিভাবে করোনা মহামারী এবং অর্থনৈতিক দূরাবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। অর্থমন্ত্রীরা রোমে সরাসরি বৈঠক করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা করেছেন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে। জি-২ ব্লকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এবং জার্মানির মতো দেশ আছে।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই এই দেশগুলোর এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এদের ৮০ শতাংশ অবদান রয়েছে। এবারের সম্মেলনে হতাশাও আছে। কারণ চীন, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলো সম্মেলনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করছে না।
জি-২০ এর এজেন্ডা
এবারের সম্মেলনে জলবায়ু ইস্যু বিশেষ করে কয়লা থেকে স্বচ্ছ জ্বালানির দিকে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। জ্বালানির মূল্য কমানো এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা যা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে সেটাও গুরুত্ব পাবে সম্মেলনে।
বিশ্ব নেতাদের এই সম্মেলনে বড় বড় কোম্পানির জন্য ন্যুনতম ১৫ শতাংশ কর আরোপের বিষয়ে একটি চুক্তি হচ্ছে। চলতি মাসেই চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। বাংলাদেশ সময় কাল সোমবার থেকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন ২৬ শুরু হচ্ছে। তবে তার আগেই জি-২০ সম্মেলনে জলবায়ু ইস্যু গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ বিশ্বের কার্বন নি:সরণের ৮০ শতাংশ এই ব্লকের দেশ থেকে হয়। এই সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা বিশ্বের তাপমাত্রা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।