a
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের পক্ষে লেবানন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে লেবাননে কামান হামলা চালিয়েছ ইসরায়েল। সোমবার লেবানন থেকে রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলের গোলন্দাজ বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইসরাইল
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছয়টি ব্যর্থ রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। যা ইসরাইয়েলি সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেনি। লেবাননের দক্ষিণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন টুইটারে জানিয়েছে, অঞ্চলটির পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
সংগৃহিত ছবি
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে তুরস্কের কৃষ্ণ সাগরীয় প্রদেশগুলোতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক এ বন্যার কারণে ৯ ব্যক্তি নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এক বয়স্ক নারী নিখোঁজ আছেন। তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
হঠাৎ সৃষ্ট এ বন্যায় তিনটি শহর তলিয়ে গেছে। সেখান থেকে ৬০০ এর অধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা। উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত আছে প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী তারা ২০ টি হ্যালিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ চলমান রেখেছেন।
তুরস্কের কাস্টামোনু প্রদেশের কাতালজাইটিন জেলায় বন্যার ফলে ভূমিধস হওয়ার কারণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই জেলার নগর কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের সামরিক পুলিশ, কোস্টগার্ড আর দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) ওই অঞ্চলের সাধারণ বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইসমাইল কাটাকলি জানিয়েছেন, তুরস্কের আনটালিয়া প্রদেশের কুমলুচা জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আরো এক ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। বার্তিন প্রদেশে ব্ন্যার কারণে ঘর-বাড়ি আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, অনেক যানবাহন পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া এ প্রদেশটিতে বন্যার প্রবল স্রোতে গণপরিবহন উল্টে গিয়ে ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহতদেরকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে যে উলুস জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। সিনোপ প্রদেশের আয়ানচিক জেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ বন্যার মধ্যেই আয়ানচিক জেলার ১৯ ব্যক্তিকে তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে তুর্কি কোস্ট গার্ড। সূত্রঃ আনাদোলু এজেন্সি
ফাইল ছবি
জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের কাছে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে নেওয়া হলে তাৎক্ষণিক তাকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না।
তবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না থাকলে তাকে কাছের কোনো হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পৃথক তালিকা এবং সেগুলোর বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে হবে।
রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রয়োজন বিশেষে যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে অসম্মতি জানানোকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে জরুরি সেবা রয়েছে এমন কাছের কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে কেন পাঠানো হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে- এমন শর্ত যুক্ত করে দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ সম্পর্কে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, এ আদেশের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য থাকবে। সূত্র: যুগান্তর