a
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বহরকে আটকে দিয়েছে সেই এলাকার সাধারণ জনগণ। সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের মোতায়েনের কারণে দেশটির জনগণ যে প্রচণ্ড সংক্ষুব্ধ সামরিক বহর আটকে দেয়ার ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বহরে চারটি গাড়ি ছিল কিন্তু জনতার বাধা ও অনড় অবস্থানের কারণে মার্কিন সেনারা বহর নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এসময় লোকজন মার্কিন সামরিক বহরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বহরের সঙ্গে কুর্দি গেরিলাদের একটি গাড়িও ছিল। সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদেরকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আসছে আমেরিকা।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) একটি বিশাল সামরিক বহরে করে সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশ থেকে কয়েক টন গম ইরাকের আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তানে নেয়া হয়। ওই বহরে অন্তত তিন ডজন ট্রাক ছিল। কুর্দি প্রভাবিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ’র গেরিলারা এসব ট্রাক পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
ফাইল ছবি
চাঁদে জমি বিক্রি করেন মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপ। প্রতি একর জমির দাম মাত্র ২৫ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার টাকা। চাঁদে জমির মালিকানা আইনত বৈধ। জমির দলিল, এমনকি মৌজা-পরচার মতো আইনি নথিও আছে।
তবে চাঁদে জমি কিনলেও তা চোখে দেখার সুযোগ প্রায় নেই। তাই দলিলের সঙ্গে ক্রেতাদের একটি করে চাঁদের মানচিত্র দেন হোপ। যাতে তারা বুঝতে পারেন ঠিক কোন জায়গায় নিজের জমি কিনলেন।
এ পর্যন্ত নাকি বিশ্বজুড়ে ৬০ লাখেরও বেশি ক্রেতাকে চাঁদের ৬১.১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছেন হোপ। তার দাবি, চাঁদের জমির চাহিদা ভালই। এমন নাকি অনেকেই আছেন যারা জমি কিনতে বার বার ফিরে আসেন তার সংস্থায়।
ক্রেতার ব্যাপারে কোনো বাছবিচার নেই এই হোপের। তারকা থেকে সাধারণ চাকুরিজীবী— সবাই রয়েছেন তার ক্রেতার তালিকায়। ৬৭৫ জন নামী তারকা তার কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন হোপ। ক্রেতাদের মধ্যে নাকি তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যানও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন হোপ।
জমির দাম রাখা হয়েছে সাধারণের মানুষের নাগালের মধ্যেই। ২৪.৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হয়ে হোপের বিক্রি করা একর প্রতি চাঁদের জমির দাম। শেষ ৫০০ ডলারেই। বেশি দামেরও জমি আছে। এক একটি মহাদেশের সমান সেই জমির দাম প্রায় ১৪ কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে জমি যেমনই হোক, একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন হোপ, সব জায়গা থেকেই পৃথিবীকে সমান ভাবে দেখা যাবে।
হোপ জানিয়েছেন চাঁদের সবচেয়ে বৃহদাকৃতি জমির অংশটিতে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর জায়গা আছে। যদিও সেই জমির ক্রেতা এখনও পাননি হোপ। বেশি চাহিদা ১৮০০-২০০০ একরের জমিগুলোর। ম্যারিয়ট হিলটনের মতো বেশ কিছু হোটেলও জমি কিনেছে তাদের কাছ থেকে।
হোপের সংস্থার নাম লুনার অ্যাম্বাসি। যার বাংলা অর্থ চন্দ্র দূতাবাস। চাঁদে হোপের জায়গাজমির ‘দেখভাল’ করে এই সংস্থাটিই।
হোপ নিজেই সংস্থার সিইও। যদিও এই সিইওর অর্থ চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার নয়। সেলেশ্চিয়াল এগজিকিউটিভ অফিসার। মহাজাগতিক বিশেষ অধিকর্তা। তবে নিজেকে ‘চাঁদের মালিক’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন হোপ।
চাঁদের জমির ব্যবসার বুদ্ধি এবং রসদ দুই-ই হোপ পেয়েছিলেন তাঁর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানের দৌলতে।
এ ব্যাপারে জাতিসংঘের আনা একটি প্রস্তাবের ফাঁকফোকরই সাহায্য করেছিল হোপকে। ওই প্রস্তাবের মূল বিষয় ছিল সৌরজগতের মধ্যে থাকা মহাজাগতিক বস্তু। জাতিসংঘ বলেছিল, বিশ্বের কোনো দেশ বা কোনো দেশের সরকার সৌরজগতের কোনো মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি সত্ত্ব দাবি করতে পারবে না।
১৯৬৭ সালে আনা ওই প্রস্তাবে পৃথিবীর প্রায় সবক’টি দেশ সম্মতি দিয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাবে কিছু অসম্পূর্ণতাও ছিল। মহাজাগতিক বস্তুর উপর সরকার বা দেশের অধিকার নিয়ে কথা বললেও এমনটা কোথাও বলা ছিল না যেকোনো ব্যক্তি এই দাবি করতে পারবেন না। হোপ ওই অসম্পূর্ণতাকে কাজে লাগিয়েই চাঁদের মালিকানা দাবি করেন।
বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। আটের দশকের একেবারে গোড়ার দিকে লেখা ওই চিঠিতে চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করেন হোপ। সে চিঠির জবাব আজও আসেনি। তবে জাতিসংঘের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ।
ফাইল ফটো
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি বিতান খানমকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই বিভাগের প্রভাষক টি.এন. সোনিয়া আজাদ এডিট করা এক অডিও দিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ০৩ জানুয়ারি বিভাগের প্লানিং কমিটির মিটিংয়ের একটি গোপন রেকর্ডিং বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। যেখানে বলা হয় বিভাগীয় সভাপতি তারই সহকর্মী টি.এন. সোনিয়া আজাদকে শারীরিক নিগ্রহ এবং হুমকি প্রদান করেছেন। কিন্তু বিভাগীয় প্লানিং কমিটির মিটিংয়ের মত একটি গোপনীয় বিষয়ের কথপোকথন পরিকল্পিতভাবে রেকর্ডিং করে এবং তা পরবর্তীতে এডিট করে প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিভাগীয় সভাপতি। যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্লানিং কমিটির ঐ সভায় উপস্থিত অন্য তিন সদস্য।
বিভাগীয় সভাপতি বিতান খানম বলেন, মিটিংয়ে সকল সদস্যকে আপগ্রেডেশনের সকল তথ্য উপাত্ত পর্যাবেক্ষণ করে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। আমাদের সাথে জনাব টি.এন সোনিয়া আজাদও সহমত পোষণ করেন। জনাব ইমা সুলতানা চারুর অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা গণনা ঠিক আছে এই মর্মে স্বাক্ষর করবেন বলে মত পোষণ করেন। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর এর সময় নোট অব ডিসেন্ট সহ স্বাক্ষর করেন।
বিতান খানম বলেন, আমি ও জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন জনাব টি.এন, সোনিয়া আজাদের কাছে জানতে চাই কেন সহমত পোষণ করার পর নোট অব ডিসেন্ট সহ স্বাক্ষর করলেন। আপনার যদি আপত্তি থাকত তবে তা মিটিং এ উপস্থাপন করলে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এর জবাব না দিয়ে তিনি মিটিং ছেড়ে চলে যেতে চাইলে আমি তাকে মিটিং শেষ করে যেতে বলি।
বিতান খানম বলেন, মিটিং শেষ করে যেতে বল্লে উত্তরে তিনি সবাইকে অবাক করে বলেন, যদি মিটিং শেষ করে না যাই তো আপনি আমাকে মারবেন নাকি? এবং এই কথোপকথন তিনি পূর্ব থেকেই রেকর্ড করছিলেন।
এখানে শারিরিক ভাবে নির্যাতনের কোনো অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। তবুও তিনি আমাকে জিজ্ঞেসা করলেন মারার কথা। তারপর আমি আমার প্রজেক্টের রিপোর্ট পিন-আপ করার জন্য ইস্টাপিলার হাতে নেই কিন্তু সে তখন বলে ইস্টাপিলার হাতে নিয়েছেন কি আমাকে মারার জন্য তখন আমি বলি আমি যাই হাতে নিই তাতে-ই আপনার কেন মনে হচ্ছে আমি আপনাকে মারবো? আমি এটা টেবিল ও রাখতে পারি, এটা দিয়ে পিনাপও করতে পারি বা এটা ফেলে দিতেও পারি, এই বলে আমি পাশে ফেলে দেই। তখন সোনিয়া ম্যাডাম চিৎকার করে বলে "বিতান ম্যাডাম আমাকে মারছেন”। এ কথা বলার কারণ সে ঐ সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রেকর্ড করছিলেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো ঘটনার অস্তিত্ব নেই। যা বিভাগের উপস্থিত অন্য সহকর্মীবৃন্দ উপস্থিত থেকে দেখেছেন।
এদিকে ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগীয় সভাপতি বিতান খানম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে সেই আবেদনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলেও বিতান খানমকে প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিতান খানম বলেন, সোনিয়া ম্যাডাম আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করার পর আমি তাকে জিজ্ঞেসা করি কেন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। সেটা জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন “আমি মিথ্যা অভিযোগ করছি তো আপনি আমার কি করবেন? এখন প্রশাসন আমার সাথে আমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারি।“ তখন আমি বলি “আমি আপনার কিছুই করতে পারবোনা আর পারলে তো এতো দিনে করতাম-ই কিন্তু আমি যদি এই পজিশনে না থাকতাম আর আপনি যদি আমার সহকর্মী না হতেন আর কাওকে এতো উপকার করার পর যদি সে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করতো তাহলে আমি হয়তো তার কল্লাই কাটতাম।“
প্রসঙ্গত, টি. এন. সোনিয়া আজাদ বর্তমান প্রশাসনের একজন প্রভাবশালী শিক্ষকের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত।