a
ফাইল ছবি
রাশিয়া অবিলম্বে সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মস্কো বলেছে, সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরিয়ে নেয়া হলে আরব দেশগুলো দামেস্কের সঙ্গে নিজেদের মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে আলজেরিয়া, মিশর, জর্দান, ইরাক ও সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মস্কো সফরে গেলে তাদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ। ওই পাঁচ আরব দেশ নিজেদেরকে ‘ইউক্রেন বিষয়ক আরব কন্টাক্ট গ্রুপ’ বলে পরিচয় দিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন আশা করছি। অবিলম্বে এই ইস্যুর সমাধান হলে আরব দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি আরে শক্তিশালী হবে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ওই বছরের নভেম্বর মাসে দেশটির সদস্যপদ বাতিল করে আরব লীগ। সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের অজুহাতে ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল আরব লীগ। তবে সিরিয়া ওই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ এবং আরব লীগের গঠন কাঠামোর পরিপন্থি’ বলে উল্লেখ করেছিল।
১৯৪৫ সালে যে ছয়টি দেশ নিয়ে আরব লীগ গঠন করেছিল, সিরিয়া ছিল সে দেশগুলোর অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বানকারী দেশের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। সূত্র: সানা
ফাইল ছবি
পরমাণু সমঝোতা নিয়ে যৌথ কমিশনের ভার্চুুয়াল বৈঠকে যোগ দেন ইরানের অন্যতম আলোচক সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি। ইরান ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা যেমন কোনও রকমের আলোচনা ছাড়াই ২০১৮ সালে তেহরানের বিরুদ্ধে অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তেমনি আলোচনা ছাড়াই তা প্রত্যাহার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া আমেরিকার সঙ্গে ইরানের কোনও আলোচনা হবে না।
পরমাণু সমঝোতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র ইরানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিকে শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছে। ওই সূত্র জানায়, পরমাণু সমঝোতা থেকে বের হয়ে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে যতগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার সবগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ইরান আমেরিকার সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসবে না।
ওই সূত্র প্রেস টিভিকে আরও জানায়, ইরানের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ইরানি কর্মকর্তারা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পরই শুধুমাত্র তেহরান পরমাণু সমঝোতার সমস্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করবে। যা গত ৮ জানুয়ারি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার আলোকেই সবকিছু হতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন বিষয়ক যৌথ কমিশন ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের যে ধারণা দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং সর্বোচ্চ নেতার দিক-নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
ছবি সংগৃহীত
রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণের আয়োজন করতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলা বা নাশকতার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, হাতিরঝিলসহ যেসব জায়গায় জনসমাগম হবে, সেখানে র্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।’
বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীদের হেনস্তা ঠেকানো প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি, নারীদের উত্ত্যক্তের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে র্যাব। কারণ, প্রতিবারই জনসমাগমস্থলে নারীদের হেনস্তার ঘটনা ঘটে। এ জন্য ইভটিজিং রোধে র্যাবের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। তারপরও জঙ্গিদের যে কোনো তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।’ সূত্র: ইত্তেফাক