a
ফাইল ছবি: মিখাইল গর্বাচেভ
সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই। মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
রুশ সংবাদ সংস্থার বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স গর্বাচেভের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গুরুতর ও দীর্ঘকালীন অসুখে ভুগে মিখাইল গর্বাচেভ আজ মারা গেলেন।’
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, গর্বাচেভের মৃত্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোক জানিয়েছেন।
মিখাইল গর্বাচেভ বিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন গর্বাচেভ। রাশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলা সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। ওই পতনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে।
তাই সমাজতন্ত্রবাদীদের কাছে নিন্দিত গর্বাচেভ স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য অনেকের কাছে নন্দিত। অনেক রুশ গর্বাচেভকে ঘৃণা করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরাশক্তি থেকে রাশিয়াকে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অনেক রুশ এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেন নাই।
সোভিয়েত পতনের পর নিজেও ক্ষমতা হারান গর্বাচেভ। এর পর পশ্চিমা দেশগুলোতে বক্তৃতা দিয়েই সময় পার করেছেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি।
১৯৯৬ সালে পরিবর্তিত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন গর্বাচেভ, তবে ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৫ শতাংশ।
রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময় কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন স্বয়ং পুতিন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার হুমকি এসেছে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন শহরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। খবর: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ জুন আত্মঘাতী হামলা চালানোর হুমকি সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছে আল-কায়েদা। তারা জানায়, নবী মুহাম্মদেরর সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার শহরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, কয়েক দিন আগে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা আল্লাহর শরিয়ার বিরোধী। মুহাম্মদ আল-মুস্তাফা, আহমেদ আল-মুজতবা এবং তার পবিত্র ও মহান স্ত্রী, সবার আস্থার সায়িদা আয়েশা বিন্তে আবু বকর সিদ্দিকের নামে ভারতীয় চ্যানেলে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে। এর কারণে বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ হয়েছে। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত, বেয়াদব মুখ বিশেষ করে হিন্দুত্ব সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে লড়ব আমরা। নবীর সম্মানের জন্য সবাইকে এই লড়াইয়ে শামিল হতে বলব।
ভারতের আলোচিত জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতে গত মাসে এক টেলিভিশন টকশোতে মহানবী (সা.) প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এ ঘটনা উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। বৃহস্পতিবার নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেন রাজ্য বিজেপির অপর নেতা নবীন কুমার জিন্দাল। যদিও পরে সেই টুইট মুছে ফেলেন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলায় দুটি গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছে। এতে পুলিশের ২০ কর্মকর্তাসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার পুলিশ সহিংসতার এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে ৪০ জনের ছবি প্রকাশ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি থেকে সন্দেহভাজনদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সহিংসতার পর দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল কানপুর পুলিশ। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাফর হায়াতসহ ৫০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রবিবার নুপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এরপরও বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও তোপের মুখে পড়েছে ভারত। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্তত ১৬টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এসব দেশ ভারত ও বিজেপি সরকারের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এবারের আসরে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের মুখোমুখি আফগানিস্তান।
মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে টসের মধ্য দিয়ে এবারের আসর শুরু করলো বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান। খেলাটি শুরু হবে রাত ৮টা থেকে।
আফগানিস্তান অবশ্য জয় দিয়ে শুরু করেছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ১৫তম আসর। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে সহজ জয় পেয়েছিল আফগান শিবির।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে আফগানিস্তান। ইতোমধ্যে ১০০ ম্যাচ খেলে ৬৭টিতে জয় তুলে নিয়েছে তারা। পরাজয় মাত্র ৩৩টিতে। অন্যদিকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ১৩১ ম্যাচে অংশ নিয়ে মাত্র ৪৩টিতে জয় পেয়েছে। হার ৮৩ ম্যাচে।
বাংলাদেশ একাদশ : নাঈম শেখ, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মোসদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ : হজরতুল্লাহ জাজাই, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেট-রক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, কারিম জানাত, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, নবীন-উল হক, মুজিব উর রহমান ও ফজল হক ফারুকী। সূত্র: নয়াদিগন্ত