a
ফাইল ছবি
গাজার আল–আহলি হাসপাতালে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ গাজার আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরাইলের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলার জন্য চূড়ান্ত দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের।
বুধবার ভোরে টেলিগ্রামে মেদভেদেভ বলেন, গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে ভয়াবহ এই হামলা স্পষ্টতই একটি যুদ্ধাপরাধ।
তিনি আরও বলেন, এর জন্য চূড়ান্ত দায় তাদের ওপরই বর্তায় যারা বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন মহাদেশের যুদ্ধ থেকে উন্মত্তভাবে অর্থ আয় করে। যারা চিন্তাহীনভাবে অস্ত্রের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিতরণ করে। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার নামে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম চালানোর কথা ঘোষণা করে। (আর সেটি হচ্ছে) যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা হাসপাতালে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মধ্য গাজার আল–আহলি আরব নামের হাসপাতালে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। সূত্র: যুগান্তর
ছবি সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে হিটলারের দেশ জার্মানীতে আজ ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত বাহিনী। আজ রাশিয়ার নামে বিশাল দেশটি সোভিয়েত আমলের বিশ্বাল সামাজ্যেরই একাংশ। বর্তমানে এই রাশিয়া তার অস্তিত্ব টেকানোর নামে ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ঘেষা ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন ছলাকলা কৌশল অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ইউক্রেন কোনভাবেই রাশিয়ার কথা না শুনলে এবং পশ্চিমামুখী দেশগুলোর সাথে একাট্রা বাধলে গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে। রাশিয়া তার সীমান্ত ঘেষা ৪টি প্রদেশ দখল করে তা নিজেদের সাথে একীভূত করে ডিক্রি জারি করে।
রাশিয়া মনে করেছিল আক্রমণের মাধ্যমে অল্প সময়ে তারা ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারবে। কিন্তু ন্যাটো নামে যে বিশাল সংগঠন সে সংগঠনের অন্যতম শক্তি জার্মানী সব সময় ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝাল মেটানোর জন্য রাশিয়াকে পর্যদুস্ত করতে ক্ষেত্র বিশেষে আমেরিকার, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। তাদের একটাই চাওয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে জিতিয়ে নেওয়া।
পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক ইতিহাস ভুলে গেলেও জার্মানী তাদের স্থায়ীভাবে দাগাঙ্কিত কালিমা আজও মলিন হয়নি বলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে এবং ইউক্রেণকে যে কোন মূল্যে জিতিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।
সোভিয়েত বাহিনীর নিকট জার্মানীর পরাজয়ের ইতিহাসের সেই দিনটি আজ ২ মে। উল্লেখযোগ্য কী ঘটনা ঘটেছিল আজকের এই দিনে তা জানার চেষ্টা করবো। সময়টা ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একেবারে শেষের দিকে। জার্মানি-ইতালি-জাপানের সম্মিলিত শক্তিও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ১৯৪৫ সালে এ দিনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত রেড আর্মি। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বাহিনীর মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের। আজও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সোভিয়েত বাহিনী যদি তৎকালীন সময়ে বার্লিনে না ঢুকতো, তাহলে জার্মানী তথা হিটলারের পতন সেভাবে নাও ঘটতে পারতো।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার একক পরাশক্তির আত্বপ্রকাশ বিশ্ববাসী দেখে আসছে, হয়তোবা তারও পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করবো ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরবর্তীতে। আমরা আশা করবো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় যেন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো কোন বড় ধরণের পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে।
মোহা. খোরশেদ আলম
মহাসচিব
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)
ফাইল ছবি
‘আমার স্বপ্ন আমার দেশ’ নামে দুই খণ্ডের বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। জানা গেছে, বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যের সংকলন আকারে বই দু’টি প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের কয়েকটি লেখাও বইয়ে থাকছে। এর প্রকাশনা উৎসব হওয়ার কথা রয়েছে আগামী নভেম্বরে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা থেকে দুই খণ্ডের বইটি প্রকাশিত হচ্ছে। বইয়ের প্রকাশক হলেন জহির মো. দীপ্তি। আর বইয়ের ভূমিকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই লিখেছেন। আর মুখবন্ধ লিখেছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ। দুই খণ্ডের এই বইয়ের মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা। তবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
শায়রুল কবির আরও জানান, প্রথম খণ্ডে ১ থেকে ২৯টি অধ্যায় রয়েছে, পরের খণ্ডে ২৯ থেকে ২১০টি অধ্যায় রয়েছে। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে সরকার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, আমাদের লক্ষ্য গুণগত পরিবর্তন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা, আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এই সংকট বিএনপির একার নয় দেশের সবার ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরেয়ে আনতে হবে এবং মেগা প্রজেক্ট নামে হরিলুট চলছে- শিরোনামে একাধিক বক্তব্যের সংকলন রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন