a
ফাইল ছবি
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেয়েছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন।
অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিকে, গত ২৩ জুন তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিলেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
ফাইল ছবি
জমির মিথ্যা দলিল করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ–সংক্রান্ত বিলে বলা হয়েছে, বৈধ দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি কোনো ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩’ উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা, প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা খাটতে হবে। ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ কারও কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণসংবলিত কোনো দলিলে স্বাক্ষর করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
— একজন বঙ্গবন্ধু —
মোসলেমা পারভীন
তুমি কখনও ভাবতে পারোনি
কোন বাঙালী কোনদিন,
তোমার কোন ক্ষতি করতে পারে!
তোমার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি
সুরক্ষিত করার প্রস্তাব
অকাতরে অগ্রাহ্য করে গেছ।
তোমার বাড়ি রেখে গেছ
অবারিত
বাংলার আপামর মানুষের জন্য।
একজন অবিসংবাদিত নেতার ও
তবে বুঝি ভুল হয় —
সেই অরক্ষিত দরজাকে দিতে হল
ভুলের মাশুল!
ঘাতকেরা ঢুকে গেল বিনা বাঁধায়,
দ্বিধা হলনা, বাঙালীর প্রতি
গভীর বিশ্বাস
জমা করে রাখা বুকে,
বুলেট চালাতে!
তার খেসারত বুঝি বা বাঙালী,
বাংলাদেশী দিয়ে যাবে চিরকাল।
বাঙালী আজ আর একে অপরকে
বিশ্বাস করেনা।
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
বেঁচেছিলে,
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
দিয়েছিলে
এই অকৃতজ্ঞ জাতিকে!
সেই বিশ্বাস আজ
পয়তাল্লিশ বছর
টুঙ্গিপাড়ার মাটির নীচে
চাপা পড়া।
বাংলাদেশ আজ তোমার জন্মশতবার্ষিকি
পালন করছে!
তুমি চোখ মেলে দেখোনা!
বিশ্বাসঘাতকের দেশে তোমার
আড়ম্বরপূর্ণ জন্মতিথী পালন!
তুমি দেখোনা!
তোমার মৃত্যুতে খেসারত
দিয়ে যাওয়া,
ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাওয়া
আমরা বাংলাদেশীরা দেখে যাই
উৎসব!