a
সারাদেশে চলছে দ্বিতীয় লগডাউন। সংক্রমণ পরিস্থিতি ঠেকাতে মানা হচ্ছে চলাচলে নানান বিধিনিষেধ। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি কারা ও প্রতিষ্ঠান কোনগুলো। তাদের চলাচলে মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন নেই। শুধু পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন নির্দ্বিধায়।
চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত:
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
ফাইল ছবি
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নারায়নগঞ্জের একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই মামলায় মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তাতে ইন্ধনদাতা, নির্দেশদাতা ও সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান।
মাহবুবুর রাহমান বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম জেলার ২৩টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের তদন্তের ভালো একটি সেটাপ রয়েছে। আমাদের সাইবার এক্সপার্ট, ডিএনএ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তারা ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে যে কারা কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। রবিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। সোমবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।বৃহস্পতিবার রাতে ওই পরিষদ ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করে।
ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ২৪ ভোট এবং বিপক্ষে ৯ ভোট পড়ে। আর ভোটদানে বিরত থাকে ১৯টি দেশ। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এখন একটি কমিটির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখবে।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাসে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ যেন অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এই অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব করেছিল।
গত ১০ মে থেকে ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে ভয়াবহ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল এতে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয় আরও প্রায় দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।