a
ফাইল ছবি।ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করা আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আহ্বানে যারা হিজরত করতে দেশ ছেড়েছেন তাদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যদি কারও সন্তান কিংবা ছাত্র হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায় তাহলে তার বিষয়ে দ্রুত পুলিশকে জানানো উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে কিংবা সেখানে কতজন অবস্থান করছে এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের থেকেই পাওয়া যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি এতজন বাংলাদেশি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিংবা আটক হয়ে কারাগারে। এসব নিয়ে দেশে যারা কাজ করে তারা সতর্ক রয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম। এসময় বিচারক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসামি আকতারুল বলেন, 'আমি ছোট ভাইকে পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলাম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ছোট ভাইকে ঢুকাতে গেলে গেট থেকে ধরে নিয়ে যায় প্রক্টর অফিস। তারপর তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।'
পরে বিচারক এজাহার পড়ে আসামিকে বলেন, 'আপনি মিথ্যা বলছেন কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মামলাটি করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পর আপনাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।' এসময় মিথ্যা বলার বিষয়টি স্বীকার করেন আসামির আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নেই, তাই রিমান্ড নেয়ার প্রয়োজন নেই বলেন এই আইনজীবী। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বড় চক্রের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিলে বাকি আসামিদের ধরা সহজ হতো। তবে আমাদের তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে আবার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন তিনি।
গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বাদী হয়ে আসামি আকতারুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মূলহোতা মো. রাব্বি ও মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।
এসময় আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমরা আজকে অবগত হলাম রিমান্ড না মঞ্জুর হয়েছে আবার এটাকে ডিফেন্ড করবে যাতে রিমান্ডে নেয়া ও এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ চলছে, যদি পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে মামলা সিআইডির হাতে হস্তান্তর করা হবে।
এইচ টি ইমামের সহিত ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ।
বুধবার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।