a
ফাইল ছবি।ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করা আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আহ্বানে যারা হিজরত করতে দেশ ছেড়েছেন তাদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যদি কারও সন্তান কিংবা ছাত্র হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায় তাহলে তার বিষয়ে দ্রুত পুলিশকে জানানো উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে কিংবা সেখানে কতজন অবস্থান করছে এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের থেকেই পাওয়া যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি এতজন বাংলাদেশি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিংবা আটক হয়ে কারাগারে। এসব নিয়ে দেশে যারা কাজ করে তারা সতর্ক রয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আইজিপি বেনজীর আহমেদ
হরতালে নাশকতা ও হামলার মামলায় হেফাজতে ইসলামের ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
আজ বুধবার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
মামলায় হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম কেন আসেনি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাম না থাকলে যে তদন্তে তাদের নাম আসবে না, এমন কোনো কথা নেই। আমরা কোনো কিছুকে প্রভাবিত করতে চাই না। আমাদের দেশে একটি কাজ করলে দশ রকমের সমালোচনা শুরু হয়। আমরা মনে করি, যারা হামলা করেছে, তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ নির্দেশদাতা থাকে, নিশ্চয় তাদের নামও আসবে। কাউকে বাদ দিচ্ছি, এমন কোনো কথা বলছি না। আমরা বলছি, যারা অনস্পট ছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের সময় যারা নির্দেশ দিয়েছেন, তারাও আসবেন আমরা মনে করি। তারা স্বাধীনতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন।’
ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশের নেতারা প্রকাশ্যে রুবলে গ্যাস কিনবেন না বললেও তারা গোপনে গোপনে রাশিয়ার মুদ্রাতেই গ্যাস কিনছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ গার্জেলি গুলিয়াস রোববার এক রেডিও অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও পার্সটুডের।
তিনি বলেন, ইউরোপের যে সব দেশ রুবলের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে সেসব দেশের নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় হওয়ার জন্য। গুলিয়াস জানান, রাশিয়ার গজপ্রম ব্যাংকে তার দেশ একটি ইউরোর অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা রাশিয়াকে রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে গ্যাসের দাম পরিশোধের জন্য রুবেল ব্যবহার করতে হবে বলে যে ডিক্রি জারি করেছেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তা পূরণ করা সহজ।
হাঙ্গেরির ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা যে পদ্ধতিতে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করছেন, একই সিস্টেমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়টি দেশ মূল্য পরিশোধ করছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো রকমের সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কিন্তু তারা কেউ এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় সাজতে।
তিনি কোন কোন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে রুবলের বিনিময়ে গ্যাস কিনছে তার নাম উল্লেখ করেননি। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দেশ রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য রুবলের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য গজপ্রম ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং এরইমধ্যে চারটি দেশ রুবলের এর মাধ্যমে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করা শুরুও করেছে। সূত্র: যুগান্তর