a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়া স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গণতন্ত্রের মানসপুত্র, বলিষ্ঠ দেশ প্রেমিক, সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী, কালজয়ী জননেতা মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১২ এপ্রিল ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলা এই চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন, মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ন্যান্সি রহমান। ন্যান্সি রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা ভাসানী ও যাদু মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর, ছাত্রনেতা, যুব নেতা, ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জনাব জিয়াউল হক মিলু ফিতা কেটে এই চিত্র প্রদর্শনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এই সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম চৌধুরী। সার্বিক ব্যবস্থাপনার ছিলেন তারেকুল গণি, ড. যোয়েবুর রহমান, ব্যারিস্টার মারজিয়া কবির, পন্সি রহমান, আনিসুল গনি। মাসিয়ার সাইফ, মালিয়াত সাইফ, রফিক আসাদ, প্রকৌশলী আমিন, জামাল হোসেন, আল-আমিন, শাহজালাল, মাহবুব ফাসিয়ুল আলম, নূর মোহাম্মদ শরফুদ্দিনসহ আরো অনেকেই।
ছবি সংগৃহীত: গ্রামীন ব্যাংক ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ও অতিথিবৃন্দ
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এবার মিডিয়ার সামনে আসলো ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীন ব্যাংক ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের অধিকার বিষয়ে খবর। দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে আসলেও এখনো হয়নি চাকরি স্থায়ী করন। পায়না ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো কোন সুযোগ-সুবিধা। কারণ তাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়নি বলে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের হাতে গড়া স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে আর যেন বৈষম্যের শিকার না হয় তাহলে প্রেক্ষিতে আজ ৩১/০১/২০২৫, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
গ্রামীন ব্যাংক ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) এর সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন মূল বক্তব্যে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নেবেন। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকে দৈনিক ভিত্তিক কাজে লোক' হিসেবে কর্মরত আছি। দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ আমরা দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে আসছি। আমাদেরকে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো কোন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। কারণ আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়নি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অধিকার পেতে চাই। বর্তমানে দেশে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে।
আমরা দীর্ঘদিন আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের হাতে গড়া স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে আমরা দৈনিক ভিত্তিক কাজের লোক হিসেবে নিয়োজিত। আমরা ১৯৯২ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে একটি নির্যাতিত ও বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত আমাদেরকে অস্থায়ীভাবে কাজ করানো হচ্ছে। গ্রামীন ব্যাংক, ব্যাংক প্রতিষ্ঠান হলেও আমাদের নাই কোন সরকারি ছুটি, নাই কোন ব্যাংকিং ছুটি, নাই সাপ্তাহিক ছুটি, এমনকি ঈদ, পূজাতেও নাই কোন ছুটি । কোন কারণে আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের কেউ অসুস্থ বা নিজেও অসুস্থ হলে সেদিনের বেতন দেয়া হয় না। তার কারণ আমাদের চাকুরী স্থায়ী নয়। দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি স্বনামধন্য গ্রামীণ ব্যংক যে বাংলাদেশের আইন মানছে না তার জন্য কি বর্তমান সরকারের কিছুই করণীয় নাই।
আমরা পরিবার- পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বেশী দেই। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের কারণে আমরা খেয়ে পরে বেঁচে আছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কাছে আমাদের দাবি আমাদেরকে একটু বাঁচার অধিকার দিন। আমরাও দেশের নাগরিক। দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমরাও গ্রামীণ ব্যাংকের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা নানান ভাবে ভূমিকা রেখেছি। এখন এই দেশে বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি চাই। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের কাজই হচ্ছে দেশের সকল বৈষম্যের অবসান ঘটানো। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই বর্তমান সরকার পরিচালিত হচ্ছে। আমরা মনে করি ২০২৪ জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তখনই সফল বলা যাবে যখন দেশে আর কোন বৈষম্য থাকবে না।
আপনারা জানেন আজকের বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যার এই গ্রামীন ব্যাংকের বদৌলতেই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন । গ্রামীণ ব্যাংক আমাদেরকে ব্যাংকের সকল নিয়ম-কানুন মেনে ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা বোর্ড তৈরী করে আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন । গ্রামীণ ব্যাংক আমাদেরকে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান তার পরিধি বাড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু আমাদের এই সেক্টরের লোকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়নি ।
গ্রামীণ ব্যাংকে পিয়ন-কাম-গার্ড নিয়োগের নিমিত্তে শুরুতে পত্রিকায় যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন তার একটি অনুচ্ছেদ তুলে ধরছি। অনুচ্ছেদ (১৬.৬.৯) দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত পিয়ন-কাম-গার্ডদের দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ নয় মাসের মধ্যে হয় স্থিরকৃত বেতন প্রদান করতে হবে অথবা কাজকর্ম সন্তোষজনক না হলে অব্যাহতি দিতে হবে। দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত পিয়ন-কাম-গার্ডদের কোন অবস্থাতেই নয় (৯) মাসের বেশী দৈনিক ভিত্তিতে রাখা যাবে না' । এই ছিল ব্যাংকের নিয়োগ পক্রিয়া। কিন্তু নিয়োগ পরবর্তীতে আমাদের আর স্থায়ীকরণ করা হয়নি। আমরা ব্যাংকের এই বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি পেশ, মিছিল-মিটিং, সমাবেশ, সুধি সমাবেশ, সাংবাদিক সম্মেলন করি।
২০১৫ সালে আমাদের গ্রামীন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভূক্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকেও আমাদের দাবি জানাই। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম উপদেষ্টা বরাবর আমাদের দাবি কয়েকবার তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠানের ৪০টি জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজারদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তুলে ধরেছি। আমরা ২০১৮ সালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের কর্মসূচিতে দেশের অনেক বিবেকবান ব্যক্তি সংহতি জানান ৷
আমরা একসময় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, মিরপুর- ২ এ কর্মসূচি পালন করি। সেই কর্মসূচিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠানের মদতে আমাদের উপর আক্রমন করে কর্মসূচি নস্যাৎ করে। বিভিন্ন সময়ে দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালন করার অপরাধে গ্রামীণ ব্যাংকও আমাদের অনেক সহযোদ্ধাদের চাকুরীচ্যুতি, বদলী, হুমকি-ধামকি দেয়। আমাদের চাকুরী স্থায়ী না হলেও প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে স্থায়ী কর্মীর মতো করে বদলী করে, চাকুরীচ্যুত করে।
গ্রামীণ ব্যাংক দেশের একটি সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান। দেশের আর কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভূক্ত নয়। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলি। আমরা কাজ করলে মজুরী পাই না করলে নাই। তারপরও প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে নানাভাবে শোষণ করে। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বিদায়কালীন পেনশন দেয়ার কথা বলে প্রতি মাসে ৪৩০০ টাকা করে জমা করা হয়। যার পরিমান বছরে দাঁড়ায় ৫১,৬০০/- টাকা । আমাদের ২০ বছর চাকুরী হলে গচ্ছিত টাকার পরিমান দাঁড়ায় ১০,৩২,০০০/- টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান সার্কুলার জারী করেছে আমরা ২০ বছর চাকুরী করলে আমাদেরকে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেবে। এই সামান্য টাকা নিয়ে আমরা কি করবো ? আমরা আমাদের জীবনের মূল্যবান বয়স এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করছি। জীবনের শেষ বেলায় আমাদের ভাগ্যে লাঠি আর বাটি ছাড়া কিছু জুটবেনা। এ এক বড়ই নির্মম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অডিট রিপোর্টে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে নানান অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। অডিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি, নিয়োগ পক্রিয়া সংশোধনের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ করে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তারপরেও আজ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নির্দেশনা মানছে না। আমরা আজ এই সময়ে দাঁড়িয়ে বলতে চাই আমাদের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হোক।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩২০০ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছেন। এর বাইরে রয়েছে গাড়ী চালক। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ জন কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও প্রায় ৮০০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে। আমাদের দেশে আরো ছোট ছোট অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সকল কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত। আমরা মনে করি গ্রামীণ ব্যাংক তার সুনাম ধরে রাখতে অবিলম্বে আমাদেরকে স্থায়ীকরণ করবেন।
আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে আমাদের বৈষম্যের কথা, আমাদের মনের দুঃখ কষ্টের কথা দেশবাসীর কাছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে চাই। আমরা এই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার কারিগরদের কাছে তথা দেশবাসী ও গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরছি।
দাবিসমূহ:
১। অবিলম্বে দৈনিক ভিত্তিতে পিয়ন-কাম-গার্ড হিসেবে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়োগের ৯ মাস পর থেকে সার্কুলার অনুযায়ী স্থায়ীকরণ এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরও চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।
২। নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সবেতনে সকল প্রাপ্ত ছুটি, বোনাস-সহ বাংলাদেশের শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত অধিকার দিতে হবে।
৩। গ্রামীণ ব্যাংকের চাকুরীবিধি অনুযায়ী মাসিক বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্রাচুইটি, ঋণ সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে।
৪। আন্দোলন ও সংগঠন দমনে শাস্তিমূলক ছাঁটাই, বদলী বন্ধ করতে হবে। আন্দোলনের কারণে চাকুরীচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৫ । চাকুরী স্থায়ীকরণ করে নিয়োগের শুরু থেকে অদ্যাবধি সকল প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।
১-৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও জোন পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন (মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন, কর্মবিরতী)। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমাদের দাবীর পক্ষে (চাকুরী স্থায়ীকরণ) কর্তৃপক্ষ যদি কোন পদক্ষেপ না নেন তাহলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ফাইল ছবি: সের্গেই লাভরভ
তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য সফর নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দীর্ঘ এক টেলিফোনে আলোচনা হয়। চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এ নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, রাশিয়া আশা করে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যেটি তাইওয়ানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেবে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক চীন নীতিতে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রও মুখে ঠিক একই কথা বলে। কিন্তু আপনারা জানেন তাদের মুখের কথার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। চীনের সার্বভৌমতা রক্ষার নীতিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি কোনো বিরক্তকর, কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না যেটি এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে দেবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম এনবিসি টিভি জানিয়েছে, হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শুক্রবার তার এশিয়া সফর শুরু করবেন। কিন্তু এ সফরে তার তাইওয়ানে যাওয়ার নিয়ে কোন ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি। উ্ল্লেখ্য, ন্যান্সি পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। সূত্র: টাস নিউজ (রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা)