a
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে আবু সায়েম মুরাদ (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহিত মুরাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-২০০৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার (১৫ অক্টোবর) অ্যালামনাইয়ের অনুষ্ঠানের খোঁজ নেয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল তিনি।
ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসটি পুড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই বাসের চালক ও সহকারীকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ চালক ও সহকারীকে আটক করে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আবু সায়েম মুরাদ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ৮ নম্বর বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাস থেকে সহকারী তাকে ধাক্কা দেন। এতে আবু সায়েম মুরাদ নামের ওই যাত্রী সড়কে পড়ে মারা যান। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত মুরাদের ভাই আবু সাদাত সায়েদ অভিযোগ করেন, চলন্ত বাস থেকে মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় মুরাদ ৮ নম্বর বাসে ছিলেন। মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর পর ওই বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব চর্চায় নতুন দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা সোসাইটি ' (BHARS) নামের একটি নতুন সংগঠন।
সোমবার (৫ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে গবেষণা সংগঠনটি।
এসময় অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ তার রিসার্চ ফেলোদের নিয়ে BHARS এর প্রথম গবেষণা জার্নালের মোড়ক উন্মোচন ।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন, "এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ গবেষকদের দরজা-জানালা খুলে দিতে চাই। এর মাধ্যমে তারা যেন গবেষণার ধারাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি ইতিহাস ঐতিহ্য চর্চায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্যে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাবে।"
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন," ভলতেয়ার পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে প্রজন্ম ইতিহাস জানে না, গুরুত্ব দেয় না তাদের অতীতও নাই ভবিষ্যৎও নাই। এই সংগঠনটি দেশের মানুষকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।"
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমির সভাপতি ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "শুধু জার্নালের মাধ্যমে ইতিহাসকে জানলে হবে না; পাশাপাশি আমাদের প্রত্নস্থলগুলো পরিদর্শন করতে হবে এবং জানতে হবে। এসব কাজের পেছনে হওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।"
বিষেশ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেলে হক।
ফাইল ছবি
আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দু’টিসহ মোট ২০টি হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন খামারিরা।
দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ নয়টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে, এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।
উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান বলেন, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী একটি ও অস্থায়ী আটটি হাট বসবে। আজ থেকে ঈদের দিন সোমবার সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিন হাট বসবে। কোরবানির পশু কেনাবেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায়, সেজন্য ঢাকা উত্তরের হাটগুলোতে সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।
বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবে জানিয়ে পিয়াল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এজন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে।
এ ছাড়া হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের ওজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায়, তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা। সূত্র: নয়াদিগন্ত